দেখতে দেখতে লোকজনে ঘর ভরে উঠতে লাগলো, গোল করে পাকানো ডায়াগ্রামের তাড়া নিয়ে সেমিনার দিতে আসা ছাত্রছাত্রীরা, সঙ্গে তাদের গাইড শিক্ষকরা বা শিক্ষিকারা, তাছাড়া এমনি দর্শক, শ্রোতা, ছাত্রছাত্রীরাও আসছে। জাজেরাও শোনা গেল এসে গিয়েছেন, তবে তাঁরা তখন অন্য ঘরে বিশ্রাম করছেন আর টিফিন খাচ্ছেন।
অন্বেষার মুখ আরো খানিক ভয়-ভয় হয়ে গিয়েছে, আমি কিছু জোকস বলে খানিকটা হাসি হাসি করে দিলাম ওকে।
অনেকদিন বনে বাদাড়ে ঘুরাঘুরি হয়না। আমেরিকা এসেছি দুই বছর হয়। তার মধ্যে একবছর হয় রকি মাউন্টেনের দেশ কলোরাডোতে। লোকজন কেন যে পাহাড়ে ওঠে সেটা এখানে এসে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। পাহাড়ের আছে চুম্বকের মতো আকর্কষণ যা যে কাউকেই টানবে। এই টান পাহাড়ের যত কাছে যাওয়া যায় ততই বাড়ে। কিন্তু পাহাড়ের চেয়ে বড় টান হল জীবিকার টান। আর সেই টানের কারণেই আজ অব্দি তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। যাওয়ার মধ্যে ডেনভার চিড়িয়াখানায় আর বার দুয়েক রকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কে।
আমি এখন বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি,
জ্ঞান বুদ্ধি পাকা হয়েছে, এইতো বেশ করে খাচ্ছি,
আমি এখন অনেক কিছু বুঝতে পারি, মা।
জানো? আমি অনেক অনেক বই পড়েছি, গান শুনেছি।
তোমার কথা এখন আমার খুব বেশি আর মনে পড়ে না।
আমার এখন অনেক কিছু করার আছে, বুঝবে না মা।
অনেক কিছু বুঝছি বলেই, জানছি বলেই,
বিশ্ব এখন আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তাঁদের কথা ভাবতে হবে।
তুমি এসব বুঝবে না, মা।
-এইডা কেমায় সম্ভব, আমার মাথায় খ্যালে না, বাবা!
বৃদ্ধ মাথা নাড়াতে থাকে, ক্রম-পুঞ্জিভূত বিস্ময়ের ভার সইতে না পেরে কেমন বিহ্বল দেখায় তাকে! আশ্চর্য, এই বয়সেও শিশুর মত করে বিস্মিত হতে পারে সে!
পাশেই বসা কুড়িতে পড়া ছেলের বউ এদিকে হাসতে হাসতে শ্যাষ! কত ঢং যে জানে বুইড়া তার বুইড়া হয়ুরে!
কাজের মহিলাটা সবসময় দেরী করে আসে। ফিরোজা বেগম ভাবল আজ কাজের মহিলাটা আসলে আচ্ছা করে ধমক লাগাতে হবে। কিছু না বলতে বলতে অনেক লাই পেয়ে গেছে। ফিরোজা বেগম যখন একথা ভাবছিলেন তখনি কলিং বেলের শব্দ হল। দরজা খুলে দেখলেন কাজের মহিলা হাস্না তার চার বছর বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাস্নাকে বাইরে দাড় করিয়ে রেখেই ফিরোজা বেগম বলতে লাগলেন, ‘তোমার কি আক্কেল বলতো?
[justify]
আরাফ ছেলেটা ছোট-ই, বয়স এগার।
ও অবশ্য একটু কায়দা করে বলে-- সাড়ে এগার।
কিংবা কেউ বয়স জানতে চাইলে বাবার মতো গটমটে গলার স্বর বানানোর চেষ্টা করে বলে-- আম ইলেভেন প্লাস নাও।
ছোটবেলায় গ্রিনিচ মানমন্দির সম্পর্কে পড়েছিলাম আর এতদিনে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হল।
এই যে দাদা, শুনছেন? আরে ও ভাই, হ্যাল্লো, ও দাদা, হ্যাঁ, আপনাকেই ডাকছি! কই যান আপনি? স্ক্রল করার আগে দাঁড়ান, দুইটা কথা বলে নেই। কি? ব্যাস্ত আপনি? আপনার জীবনের দামের চাইতেও ব্যাস্ততা বেশী আপনার? হ্যাঁ, তাইলে ভাই যাইতে পারেন, আপনার জীবন; আপনেই সেইটার দাম চুকাইবেন, আমি কথা বলার কে! আহ্, খারাপ পাইয়েন না বস্, ব্যাস্ত থাকলে যান না আপনি, সমস্যা নাই। কি, থাকতে চাইছেন? আচ্ছা, থাকেন তাইলে, পড়েন পুরাটা!
১৯৯৯ সালের এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে এই অঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচির উপর একটি নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশ বাদে এই অঞ্চলের দেশগুলো হল ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।
১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে ব্যাংককের বৈঠকে তারা নীতিমালার প্রাথমিক মানদণ্ডগুলো নির্ধারণ করে।
৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। সেই উপলক্ষে ৮ আগস্ট, শুক্রবার, বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশের আদিবাসীদের উপরে তোলা আলোকচিত্রের প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে।