খালিদ টেবিলের ওপরে হাসিমুখ ধরে রেখে টেবিলের নিচে আমার পায়ে একটা লাথি মারলো। বিশ্বকাপের সিজনের কারণেই হয়তো লাথিটাতে প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি বিষ ছিলো।
ভদ্রলোক ভুরু ওপরে তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "কী হইলো?"
আমি শার্টের হাতায় চোখের কোণ মুছলাম, খালিদ স্কুলে শেখা প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব শব্দটাকে আবার মনে করিয়ে দিয়ে বললো, "উফফ, মশা!"
বেশ ঘটা করে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর প্রায় ফুরিয়ে এলো। পিতিমির কোণা ঘুপচি থেকে নানান দেশের খেলোয়াড় সকল এসে বাতাস ভর্তি একটা নিরীহ গোলাকার বস্তুতে ঠেসে লাথি কষালো। মনের ভেতর ঘাপটি দিয়ে থাকা রাগ ঝারবার এই মোক্ষম ব্যাপার, ফাইন্যাল এবং তৃতীয় চতুর্থস্হান নির্ধারণী পর্যন্ত চলবে। ঝি কে মেরে বউ কে শিক্ষা দেবার কুমন্ত্রণাটি এখান থেকেই আগত কিনা তাহা আমার জ্ঞানী মনের প্রশ্ন। লাথালাথির এই হিংসুটে কর্মপদ
আজকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের সাথে বাংলাদেশিদের বিয়ে অবৈধ হবে এবং এই বিয়ে পড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। খুব গভীর বিশ্লেষণে না গিয়েই বলা যায় এটা বর্বর বিধান। দুটি মানুষ বিবাহ বন্ধবে আবদ্ধ হবে, এখানে কে কোন জাতির, কে কোন সম্প্রদায়ের এগুলো আমলে আনা কোন সভ্য চিন্তার ফল হতে পারে না।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখছি। বিভিন্নরকমভাবে আমরা আমাদের প্রিয় দলের বা বিপক্ষ দলের খেলাকে বর্ণনা করি। আবেগাপ্লুত হয়ে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি খেলাটা কী দারুণ বা কী বাজে হয়েছে, কোন দল কত ভাল খেলেছে ইত্যাদি।
কিন্তু ইদানিং, খেলার ধরন বোঝাতে একটা শব্দের ব্যবহার প্রায়ই দেখছি- 'রেইপ' বা 'ধর্ষণ'।
যেমন, মানুষ অবলীলায় বলে যাচ্ছে-
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
সময়টা হবে গত বিশ্বকাপের আগে আগে, হয়ত ২০০৮ কি ০৯। তখনই প্রথম জানতে পারি যে দক্ষিণ আফ্রিকার পরেরবার বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। ১৯৫০ এর পর এই প্রথম !
ইটা মারলে পাটকেল খাইতে হয়, এটাই জগতের নিয়ম। চার বছর আগে আরিফ জেবতিকের ছোড়া ইটের আধলার জবাবে এক্ষনে পাটকেলের এই মৃদু বর্ষণ। জার্মান ভাইয়েরা ছিল্লা কাইট্যা দিয়া গ্যাছে, অহন সেই কাটা ঘাওয়ে এট্টু লবন লাগায়া দেই! মু হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ..........................
কইরে শালা কইরে শালী
আমায় ফেলে কই পালালি!
আয় দেখে যা কি করেছি
নেইমারের ও ডি মারিয়ার সেমিফাইনাল খেলার অনিশ্চয়তা বা বিভিন্ন ফুটবলদদের ভীড় ঠেলে পত্রিকায় জায়গা করে নিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবং স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গেছে তার পক্ষ ও বিপক্ষ নিয়ে কথার তুবড়ি। আমিও ব্যাতিক্রম নই। আর সচল-ই বা বাদ থাকবে কেন এই আলোচনা থেকে?
গত আট মাসে সাকিব বেশ কয়েকবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন। একটু চোখ বুলিয়ে নেই সেখানেঃ
[[i]এই লেখাটি প্রথমে আমি বিডিনিউজ২৪.কমের জন্য লিখি প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের তৃতীয় লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর পর। কিন্তু পর দিনই নুরুল ইসলাম নাহিদের লেখাটি আসায় পরিস্থিতি পাল্টে যায় (আমার লেখাটি কিছুটা প্রাসংগিকতা হারায়)। কিছুদিন পরে আমি আবার ঘষামাজা করি কিন্তু দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে তদন্ত কমিটি আর শিক্ষাবিদদের সাথে মন্ত্রণালয়ের সভা হয় এবং পরিস্থিতি ঘন ঘন পাল্টাচ্ছে। আমি তাই লেখাটি প্র