সপ্তম শ্রেণীতে যখন পড়ি, ছোটোখাটো এক বিষণ্ণ চেহারার শিক্ষিকা এলেন আমাদের ক্লাসে। আমরা নতুন এই ম্যাডামকে খালি হাতে ক্লাসে ঢুকতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম, একটু নিরাপদে বিটকেলপনা করা যাবে, এ-ই ভেবে। সেই ভুলজন্মা স্বস্তি মিনিট পাঁচেক স্থায়ী ছিলো। ম্যাডাম নিচু গলায় জানালেন, তাঁর নাম মিসেস ত্রিবেদী। তাঁর পূর্বপুরুষ তিনটি বেদ কণ্ঠস্থ করেছিলেন বলে তাঁদের এই পদবী। তারপর তিনি চেশায়ার বেড়ালের মতো হাসিমুখ
লালচরী মাঠের উপর সুলতান মহব্বত জং এর তাঁবু। সকাল।
বড় একটা গাছের গুঁড়ি মাঠে পোঁতা, তাতে পিছমোড়া করে বাঁধা মধ্যবয়েসী হাসিন বানু। একটু দূরত্ব রেখে তাকে ঘিরে গোল হয়ে দমবন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে প্রচুর মানুষ। ভীড় ঠেলে কসাই জমির আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল তার দিকে, হাতে ছুরি। প্রতিদিন বিশটার উপর গরু জবে দেয় সে, চিকন ছুরি দিয়ে পশুর ছাল ছাড়িয়ে আনা তার জন্য কোন ব্যাপারই না। তবে জ্যাতা মানুষের ছাল ছাড়ানো তার এই প্রথম।
খুব সাবধানে হাসিন বানুর ঘাড়ের পিছনে ছুরি দিয়ে পোঁচ দিতে শুরু করল জমির, আর হাসিন বানুর আর্ত চিৎকার শুনে ভয়ে ডানা ঝটপট করে উড়াল দিল পাশের ডালে বসা দুইটা পাখি।
পেয়েছি! আর কিছু চায় না। এ যে বিভূতিভূষণের ময়নাকাঁটা। কত বন-বাঁদাড়ে এর খান তল্লাস করেছি, পায়নি। চিনিই না তো পাব কীভাবে? যারা দেখেছেন, চেনেন, তাঁদের মুখে বর্ণনা শুনে খোঁজার চেষ্টা করেছি। তবুও দেখা মেলেনি। আজ এভাবে অপ্রত্যাশিত দর্শনের কথা ভাবিইনি। ময়নাকাটা বাংলাদেশের সবজায়গায় ছিল কিনা জানা নেই। তবে আমাদের এলাকায় যে এর প্রাচুর্য ছিল তার সাক্ষ্য বিভূতিভূষণই দিয়েছেন।
আমার কোনো শেষ বার নেই, নেই চির প্রতিশ্রুতি;
বালির ওপর জয় তার পায়ের ছাপ ফেলে রেখে গেছে।
আমি এক দরিদ্র মানুষ, যে মানুষকে ভালবাসতে চায়।
তোমাকে চিনিনা, অথচ ভালবাসি,
কাঁটার উপহার দিইনা কখনো, বেচিনা তার ধার।
কেউ হয়ত জানতেও পারে, আমার হাতে তৈরী মুকুট
গত বেশ কয়েকটি অর্থবছরে বাংলাদেশ হাজারকোটি টাকার বিশাল ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করে আসছে। আমাদের দেশের দূর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এত বিশালাকার বাজেট বাস্তবায়নই হলো প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলেই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ছাড় করানোর প্রবণতা লক্ষনীয়। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের গুণগত মান যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেম
'সুপারম্যানে'র যায় না পাওয়া দেখা,
হয় না দেখা 'ফ্ল্যাশে'র কয়েক ঝলক,
'ব্যাটম্যান'ও কোন অন্ধকারে থাকে,
'ভ্যাম্পায়ার'ও কেবল নামের ফলক,
'আয়রনম্যান' নগর গড়ে বুঝি
'স্পাইডারম্যান' কেবল পেষে কলম,
'ম্যানড্রেকে'রা অবিশ্বাসের কোপে
পাড়ার মোড়ে হয়ত বেচে মলম,
প্রেমহীন জীবন অত্যন্ত বেদনামূলক ও বিষাদময় এতে আসলে কোনো সন্দেহ নাই। যদিও প্রেম অপার্থিব ও অবিনশ্বর বলে 'খ্যাত' কিন্তু এই নশ্বর বস্তুগত জীবনেও যে তার উপযোগীতা বিশাল তা অস্বীকার করবার উপায় নাই। বাটে পড়লে এর মূল্য দিতে হয় ঘাটে ঘাটে! যাই হোক, এই দীর্ঘ ত্যানাপ্যাচানি, দুঃখ জাগানিয়া পোস্টের মূল প্রসঙ্গে আসি।
শেষ বসন্তের এই দিনগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। বেলা অনেক বড়ো হয়ে গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটাতেও দিনের আলো। গ্রীষ্মের তপতপে দিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডার। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত পর্যায়ে রাত নটায় সন্ধ্যা হবে।