Archive - 2014

June 2nd

এক বৃষ্টি দিনের চড়ুইভাতি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০১৪ - ৮:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালের বৃষ্টির ঝাঁঝালো শব্দ ছাপিয়ে টিঁউটিঁউ করে একটা কোলাহলময় মিষ্টি শব্দ কানে এলো। শব্দটা তেমন জোরালো না। একটু খেয়াল করে শুনলেই বোঝা যাচ্ছে। শব্দের উৎস খুঁজতে জানালার দিকে চোখ গেলে দেখলাম একজোড়া চড়ুই কার্নিশের আড়ালে বসে পালকের পানি ঝাড়ছে তিরতির করে। আমি জানালার এপাশে। ওরা নীলচে কাঁচের আড়ালে আমাকে দেখতে না পেলেও আমি ওদের স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। পাখির জগত প্রায় সবসময় জুটিময়। তবে হলিউডের অ্যাকশান মুভিতে যেমন পুরুষের পাশে জোর করে একটা নারী চরিত্রকে বসিয়ে দেয়া হয় সেরকম আরোপিত কিছু না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ওরা পাশাপাশি থাকে।


June 1st

অরগ্যানিক ইলেক্ট্রনিক্সঃ ভবিষ্যতের পরশ পাথর (পর্ব-৩)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০১৪ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১ম পর্বের গল্পটা শেষ হয়েছিল সিলিকনের বিকল্প কি আসলেই সম্ভব-সেই প্রশ্ন রেখে

গল্পের ২য় পর্বে ছিল সেই বিকল্পটা খুঁজে পাওয়ার প্রথম ধাপ, মানে কিনা, বস্তুর পরিবাহিতা কিভাবে হয় সেটা বোঝার চেষ্টা

আমরা জেনেছিলাম, কোন বস্তু বৈদ্যুতিকভাবে পরিবাহি, উপ-পরিবাহি বা কুপরিবাহি হতে পারে। পরিবাহি বস্তুগুলোর দুমাথায় ভোল্টেজ পার্থক্য তৈরী করে দিলেই ইলেকট্রনগুলো প্রবাহিত হতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ভোল্টেজ পার্থক্য বজায় রাখা হয় ততক্ষণ এই প্রবাহ চলে। আর কুপরিবাহি বস্তুগুলো থেকে এমনি করে কোন ধরনের পরিবাহিতা পাওয়া যায় না। উপ-পরিবাহিগুলো থেকে কিছু পরিবাহিতা পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এর চেয়ে পরিবাহি বস্তুগুলো অনেক বেশি কাজের। কিন্তু পরিবাহিতা নিয়ন্ত্রণ করার প্রশ্ন যখন আসে তখন এই পরিবাহি বস্তুগুলো তেমন কোন কাজে আসে না। কেন? কেননা, পরিবাহিতা তাদের সহজাত আর তাই সেই পরিবাহিতা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমরা জেনেছিলাম, ডোপিং নামে এক ধরনের পদ্ধতি, যেটা আসলে 'খাঁটি বস্তুর সাথে ভেজাল মিশ্রণের পদ্ধতি', সেই পদ্ধতিতে উপ-পরিবাহি, যেমন সিলিকনের পরিবাহিতা চমৎকার ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আর উপ-পরিবাহির পরিবাহিতাও বাড়ানো যায় পরিবাহি বস্তুগুলোর মত।


ঈশপের গল্প (১০১ - ১০৫)

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০১৪ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশা করি, এর আগেও যেমন হয়েছে বিভিন্ন বারে, এবারের এই গল্পগুলিও বার্তা দেবে এই সময়ের।


কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-৩ : কালকেউটের ছোবল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩১/০৫/২০১৪ - ৮:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যেহেতু অনেক পাঠক এই পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তথ্যসূত্র চেয়েছেন, পর্যাপ্ত তথ্যসূত্র আমার হাতে নেই, তাই পোস্ট থেকে লেখাগুলো সরিয়ে ফেললাম। যারা আমার কথায় আঘাত পেয়েছেন, তাদেরকে আঘাত দেয়ার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।


এক একদিন প্রতিদিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩১/০৫/২০১৪ - ৬:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

আসে না আসে না করে শেষ পর্যন্ত বসন্ত এসেই গেল। কাজের পথে অনেক ফুল ফুটতে দেখছি গত কয়েকদিন। নজর কেড়ে নিচ্ছে মূলত ফোরসাইথিয়া আর ড্যাফোডিল। চেরি আর ম্যাগনোলিয়া এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ ফুটে যাবে মনে হচ্ছে।

কাল বাড়ি ফিরে নিজের বাগানের দিকে তাকাচ্ছিলাম, আমার ওদের এখনো মাটির সাথে মাখামাখি। কেবলমাত্র ড্যাফোডিল গুলোকেই দেখা যাচ্ছে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে। এমনিতেও আমার ওরা একটু দেরিতে ফুটে। তাতে ভালো হল, সবার যখন ফুল ফোটা শেষ আমার তখন আমার প্রাঙ্গণ জুড়ে ফুল ফোটানোর খেলা। তবু এবার যেন একটু বেশী-ই দেরী হচ্ছে।


May 31st

পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৯২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৫/২০১৪ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার আগে যদি আমার মৃত্যু হয়
অথবা আমার আগে তোমার দেহান্তর,
তবু যেন আমরা বেদনার সীমানা না বাড়াই
কারণ বেঁচে থাকার মত বিপুল আর তো কিছু নেই।

গমের ভেতর লুকোনো ধুলি, আর বালির ভেতর সূক্ষ্মতর বালি
আমাদের উড়িয়ে নেয়। মুহূর্তের ঝিরঝিরে স্রোত, বেঘোর বাতাস
আমাদের বীজের মতন বাহিত করে,


৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৫/২০১৪ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। কাঁটায় কাঁটায় চার মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। আমি ঘড়ির দিকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। জিনিশটা অদ্ভুত। কারও সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করতে পারলে মনটা একটু হাল্কা লাগত। কিন্তু কে বিশ্বাস করবে আমাকে?

সারওয়ার? লায়লা ডাকল।

ঠিক ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড আগেই আমি জানতাম আমাকে লায়লা ডাকবে। আমি কোন উত্তর দিলাম না। লায়লা আমাকে কেন ডাকছে সেটাও আমি এই মুহূর্ত থেকে ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড আগেই জানতে পেরেছি। বসার ঘরে পত্রিকা পড়ছিলাম। দরজায় এসে দাঁড়াল লায়লা।


May 30th

গল্পটা মিথ্যে হোক

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৫/২০১৪ - ৫:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১)


আঁচলের জীবন্ত রূপকথা!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৫/২০১৪ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[সিঁড়িতে পায়ের শব্দ শুনেই দুই বোন দরজায় এসে দাঁড়ায়। আঁচল দরজা খুলতে পারে এবং সে কৃতিত্বের জন্য তাকেই কোলে নিতে হয় আগে । চারু হাত দুটো উঁচু করে আঁ আঁ করতে থাকে। কোলে নেই তাকেও। করপরেট খাটুনীতে বলহীন শরীর থাকে আরো দূর্বল। কিন্তু এই সুযোগ প্রতিদিন হয় না। বাসায় ফিরে দেখি বেশীর ভাগ দিন দুই বোন ঘুমিয়ে পরেছে। আঁচলের তিন বছর হওয়ার পরে আমাদের সংস্কৃতির অন্তত কিছুটা ছোঁয়া দিতে তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ভারতীয় উচ্


May 29th

ঐক্য

তাহসিন রেজা এর ছবি
লিখেছেন তাহসিন রেজা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৫/২০১৪ - ৪:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ওদেরকে দেখে থেমে গেলাম।

এই নির্জন শুনশান রাস্তায় একটা দোকানের শাটারের সামনে ওরা কিছু একটা করছে।

মনে হচ্ছে ওরা শাটার খোলার চেষ্টা করছে। তবে শাটারটা বেশ ভারী আর মজবুত। তাই বেশ বড়সড় একটা শাবল ব্যবহার করেও ওটা খোলা যাচ্ছে না।

আমি আসলে রাতের বেলা একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম, নির্দিষ্ট করে কোথাও যাচ্ছি না আমি। এই এদিক ওদিক ইতিউতি ঘোরাঘুরি আরকি!

আমি ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।