Archive - 2014

May 9th

ডাক-২

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৫/২০১৪ - ১০:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্বের পর...

২।

“ও ও ও, সামার ওয়াইন"


টাইম মেশিন

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৫/২০১৪ - ২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
বাবাকে বড় ভয় পায় মুকুল। তবে অবশ্য ভয় পাওয়ার কারণও আছে। মুকুলের বাবা মতিউল্লাহ সাহেব ঝিগাতলা হাই স্কুলের জাঁদরেল অঙ্কের শিক্ষক। চেনা পরিচিত প্রায় সবাই তাঁকে ভয় পায়। টকটকে গায়ের রঙ, চোখে মোটা কাচের গোল চশমা, মাথায় কাঁচাপাকা চুল। একটু নাকি সুরে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন তিনি। রাশভারি গম্ভীর লোক, দেখলে মনে হয় এখনই গর্জে উঠবেন।


May 8th

ভাইরাস

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৫/২০১৪ - ১২:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবছরের ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৪৫ জন MERS মধ্যপ্রাচ্যের কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে মোট ১০৭ জনের। আর সৌদি আরবে সর্বাধিক লোক আক্রান্ত হয়েছে। তা ছাড়াও আরব আমিরাত, ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার মোট ১১ টি দেশে এই রোগে আক্রান্ত লোকের খোঁজ পাওয়া গেছে।


ডেভিড অ্যাটেনবোরোর জাদুমুহূর্ত – ১

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৫/২০১৪ - ১১:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হতশ্রী এক রাক্ষুসে পোকা যে কিনা ভেসে ভেসে জলার কোণে কোণে খুঁজে ফিরত ব্যাঙ্গাচি বা দুর্বল ছোট মাছ, তাঁর হঠাৎ যেন শখ হল জল ছেড়ে ডাঙ্গায় উঠবার। সেই অভিযানের লোভেই অনেক কষ্টে সৃষ্টে প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে সে জলার যে কোন গাছ, বিশেষ করে ঘাসজাতীয়গুলোর প্রান্ত বেয়ে , কখনো বা ডাঙ্গায় ঘষতে ঘষতে চলত সে অন্তকালের মত। জলে সাবলীল সাঁতরে বেড়ালেও তার বাহিরে পোকাটির অবস্থান বড়ই করুণ, কুৎসিত শুককীটের মত শরীরের মাঝখানে


May 7th

আজো সভ্যতার চিবুক চুঁইয়ে পড়ে লুকোনো কালিমা...

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৫/২০১৪ - ৪:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'স্লেভ' শব্দটা উচ্চারণের সাথে সাথেই কেন জানিনা অ্যালেক্স হ্যালির রুটসের 'কুন্তাকিন্তে' কথা মনে পড়ে যায়! যে মানুষটা মালিকপক্ষ আর কর্মক্লান্তির নির্মম পেষণেও নিজের শেকড় বিস্মৃত হন না কখনো। 'আই অ্যাম স্লেভে'র মালিয়া যেন কিন্তাকুন্তের পদচিহ্ন ধরে হেঁটে আসা একজন। যে দিনশেষে রোজ নিজেকেই শোনাতো সে কে! কোথায় প্রোথিত রয়েছে তার শেকড়। তার সে শেকড়ের টানে ফিরে যাবার একাগ্রতায় আশকারা পায়না আর্তনাদের হাহাকার; বরং ঢের বেশি একরোখা ইচ্ছে নিয়ে যুযতে থাকে বিরুদ্ধ পরিস্হিতি। সহানুভূতিশীল অনেক মন মালিয়ার সে যাত্রায় জুড়ে গিয়ে তাকে নিজস্ব ঠিকানায় পৌঁছে দেবার জন্য আর্দ্র হয়েছে হয়ত। তাকে বিজয়ী দেখবার জন্য প্রার্থনাও করেছে কায়মনোবাক্যে কেউ কেউ।


পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৯৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/০৫/২০১৪ - ৪:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন মূহূর্ত আসবে একদিন, যেদিন বৃক্ষের, নক্ষত্রের
নীরবতা বুঝবে মানুষ, পাবে স্বচ্ছতার নিখাদ আওয়াজ,
আর বেহালার রিনরিনে স্বর ভরে উঠবে
অফুরান জ্যোত্স্নার সৌরভে!

হয়ত সেদিন এক অখণ্ড রুটি,
ধারণ করবে তোমার সফেদ ময়ান, তোমার কণ্ঠস্বর
আর হেমন্তের নিখোঁজ ঘোড়াগুলি
তোমার ধ্বনিময়তায় কথা ক'বে।

হয়ত তুমি এমনটাই হুবহু চাওনি কখনো,
তবু, ভালবাসা প্রাচীন রাখালী মধুর মত
ছলকে তুলবে মৃত্পাত্র আমার ।


কথামালা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ০৭/০৫/২০১৪ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু কথা আগুনের কাছে বলি। ওরা কিছু বা নিঃশেষে পুড়ে যায়, কিছু বা মিশে যায় লকলকে শিখায়, কিছু বা ধোঁয়া হয়ে যায়। ওদের আর দেখতে পাই না।

কিছু কথা নদীর কাছে বলি, নদীর পাশে ঝুঁকে পড়া অশ্বত্থের মূলে চুপ করে বসে বসে বলি নদীকে। স্রোতের টানে ফেনিয়ে ফেনিয়ে ওঠে নদী, কলকল কুলকুল করে নিজেও কত কথা বলে। আমার বলা কথা ঘূর্ণীতে ঘোরাতে ঘোরাতে কেজানে কোথায় নিয়ে যায়, হয়তো বা দূরের সমুদ্রে, যে সমুদ্র নাকি নীল।


কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-১ : গোরস্থানের বিভীষিকা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০১৪ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গরু আর কুকুরের উদাহরণ দেয়া হয় বারবার। গাঁয়ের গোরস্থানে কুকুর আর গরুদের অস্থির আচরণই মানুযকে ভয় পাইয়ে দেয়, ভুল বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুদ করে। শুধু শোনা কথা নয়, কিছু ব্যাপার নিজেও দেখেছি। ছোটকালে মাঝে মাঝে গরু চরতাম আমি। কুকুর নিয়ে শিয়ালের পেছনে ধাওয়া করার অভিজ্ঞতাও আমার কম নয়। এই দুই প্রাণীকে দেখেছি, গোরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেমন যেন অস্থির হয়ে যায়। ছোটাছুটি করে। দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যেতে চায় গরু। ফোঁস ফোঁস করে গর্জায় কখনও কখনও। শুধু তা-ই নয়, দেখা যায় একটা গোরস্থানে শত শত কবর থাকে কিন্তু তার ভেতরে নির্দিষ্ট একটা কবরের দিকে তেড়ে যায়। শিং দিয়ে গুঁতিয়ে কবরের মাটি আলগা করে ফেলে প্রবল আক্রোশে। যদি কবর রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকে, তবে প্রবল বিক্রমে সেই বেড়া ছিন্ন ভিন্ন করতে পিছ পা হয় না নীরিহ গরু। লোকে তখন ভাবে, কবরের ভেতরে যে মানুষটি শুয়ে আছেন, তিনি বড্ড পাপি ছিলেন, ভয়াবহ আজাব হচ্ছে তাঁর।


শূন্যের অস্তিত্ব

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০১৪ - ৮:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন আনন্দ দিদির পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে, সচলায়তনে পোস্ট দিয়েই রাখি, কেউ পড়লে পড়বে, না পড়লেও ক্ষতি নাই।
আপাতত আমি ধুমায়ে মার্ডার-মিস্ট্রি-খুন-জখম পড়ছি। নেরুদার মতো বিখ্যাত কারও, প্রেমের মতো জটিল বিষয়ের কবিতা আনাড়ি হাতে অনুবাদ করার ফলে সচলেরা আমাকে প্যাদানি দেয়ার আগেই আশাকরি কয়েকদিনের মাঝেই ফর্মে চলে আসবো একটা খুন-জখম অনুবাদ নিয়ে! দেঁতো হাসি


May 6th

বুয়েটে পরীক্ষা পেছানো - সমস্যা ও সমাধান (?)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০১৪ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিস্ক্লেইমার ১: আমি একজন অ্যালাম্নাস। কিন্তু যে কথাগুলো বলবো, সেগুলো ছাত্র থেকে অ্যালাম্নাস হওয়ার পরে মাথায় গজায় নাই। এই কথাগুলো আগে থেকেই ছিলো। ছাত্র থেকে অবস্থায় পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ছিলাম না, এখনো নাই। কাজেই, যাদের ছাত্র-অ্যালাম্নাই নিয়ে চুলকানি আছে, তারা পোস্ট নাও পড়তে পারেন।

ডিস্ক্লেইমার ২: উপরের ডিস্ক্লেইমার দেখে আবার ভেবে বসবেন না আমি টিচার ফাইটার জাতীয় কিছু ছিলাম। নিতান্তই সাধারণ এক ছাত্র আমি। একেবারেই সাদামাটা রেজাল্ট। আমাদের ব্যাচের মানুষজনের রেজাল্টের তুলনায় আমার রেজাল্ট বেশ খানিকটা নিচের দিকেই।

ডিস্ক্লেইমার ৩: অনেককেই ইদানিং বলতে শুনি/দেখি, আপনারা অনেক দিন আগে পাস করে গেছেন। আপনারা এখনকার অবস্থা বুঝবেন না। আপনাদের জন্য একটা গল্প। এক মেয়ে প্রেগন্যান্ট। খুব যন্ত্রণায় চিৎকার করছে! তার মা তার পাশে দাঁড়িয়ে সান্তনা দিচ্ছেন, "এই তো মা, আর কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।" মেয়ের উত্তর, "তুমি বাচ্চা হওয়ার ব্যাথা কী বুঝবা?!" গল্প শেষ। এবার আপনি আসতে পারেন। স্লামালিকুম!

ডিস্ক্লেইমার ৪: যারা সব কিছুতেই মনে করেন সিস্টেমের দোষ, তাদের জন্য এই পোস্ট না। কারণ আমি কোন কিছুতেই সিস্টেমের দোষ দেয়ার পক্ষে না। সিস্টেম বলে কিছু নাই। আমরা নিজেরাই সিস্টেম। আপনার মানসিকতা যদি সিস্টেমের ঘাড়ে দোষ দেয়ার জন্য তিন পায়ে খাড়া থাকে, তাহলে আপনি নিচে অনেক কর্কশ কথা পড়বেন। কাজেই, নিজ দায়িত্বে, খুউব খিয়াল কইরা।

মূল কথা
বুয়েট থেকে পাস করেছি প্রায় বছর পাঁচেক হয়ে গেলো। আমাদের ব্যাচ মনে হয় খুব অল্প কিছু ব্যাচের মধ্যে অন্যতম, যারা তিনটি (বিএনপি-জামাত, তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ) শাসনামলে বুয়েটে পড়েছে। সব ব্যাচের মতোই আমরাও বুয়েটে থাকতে একটি ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়েছিলাম, ২০০৬ সালে। মূলত বিশ্বকাপের জন্যই পরীক্ষা পেছাতে পেছাতে শেষমেশ স্যারদের বাসায় ঢিল ছোঁড়া, সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন প্রোভস্টকে জিম্মি করার মতো ঘটনাও ঘটে, সাথে হলের ভেতর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া, হল ভ্যাকেন্ট তো আছেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েট বন্ধ হয়ে যাবার পর বুয়েটের তৎকালীন সব ব্যাচের কিছু ছাত্র (আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম) মিলে সিদ্ধান্ত নেই, আমরা স্যারদের কাছে যাবো। তাঁদের সাথে খোলামেলা কথা বলে ছাত্র-শিক্ষক সবাই মিলে সিস্টেমের ভেতরের 'বাগ'গুলো সমাধা করার চেষ্টা করবো।