শোনার, বোঝার ও রসাস্বাদনের প্রস্ততি
বাঙলা ভাষার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। হিন্দুয়ানী ভাষার অভিযোগ গেলেও, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এটি অত্যন্ত দুর্বল (!)। কারন এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল বিষয় সাবলীলভাবে প্রকাশ করা যায় না। আর অতি নব্য প্রজন্মের কাছে তো বাঙলা অত্যন্ত 'খ্যাত'। (এই "ইয়ো ড্যুড, তুমি বাংলায় টক করো? ইয়াক!" প্রজন্মের অভিযোগের সমাধান কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না)
স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ ১৯১২ সালে শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে অবস্থান করেছিলেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। কষ্টকর চিন্তাসাধ্য লেখালেখির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি তখন নিজের কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। মূলত ১০টি ভিন্ন ভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতাগুলো নেওয়া হলেও এর অর্ধেকই ছিল গীতাঞ্জলির।
[justify]আজ সকালে বিছানায় কফি আসেনি, বাংলা কোন চলচ্চিত্র খুঁজে পেলাম না দেখবো বলে। সেক্স এন্ড লুসিয়া দিয়ে সকাল শুরুর দুঃসাহস করে ফেললাম, বাংলা অভিধান মতে যৌন কামনা উদ্রেককারী স্থূলচিত্র ছিল এর বিষয়বস্তু। চলচিত্রের ভালো খারাপ দিক নিয়ে মন্তব্য না করে সোজাসুজি ভাবনায় চলে যাই, কিংবা আমার মানসিকতা কিভাবে তা গ্রহন করলো বা বিশ্লেষণ করলো সেই আলোচনায়।
কইলটা কী নরেন মোদি?
হের প্রতিবাদ আমরা যদি
না করি, তো করবে কিডা?
--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!
সাঈদী মামা চান্দে গেছে,
শুইন্যা সবে হাইস্যা দিছে
...টাটকা ঘায়ে নুনের ছিডা!
--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!
ইসলামি দেশ, এইখানে বাল
হিন্দু এত হুদাই কেন?
মাইর বুঝে না? রেপ বুঝে না?
হিন্দুগুলা ভুদাই কেন?
রাইত্তে পালা ইন্ডিয়াতে
বেইচ্যা তগো বসত ভিডা!
--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!
জয়ন্তী। নামটা যেমন মিষ্টি দেখতেও। আমরা তো গেলাম শেষ চৈত্রের ঠাঠা রোদ্দুরে, শরতে, শীতে তার অন্য সাজ। আমার বাড়ী, মানে কোচবিহার থেকে মেরেকেটে পঞ্চাশ কিলোমিটার। অ্যাতো কাছে, অথচ দেখুন, আগে যাওয়া হয়নি। দেশ বিদেশ থেকে টো-টো কোম্পানীর লোকজন এসে বেড়িয়ে যায়, আমার যাওয়া হয়নি এদ্দিন। তবুও হল তো অবশেষে।
০১
ফেসবুক ছেড়ে দিলাম।
বৈশাখ মানেই সূর্যের বাহাদুরী। ধানকাটা সারা। খালি মাঠে খাঁ খাঁ রৌদ্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ। কৃষকের ব্যস্ততা নাইকো আর। বাগানজুড়ে শুকনো পাতার আস্তর। তপ্ত মরুর নির্জনতা ভর করে মাঠজুড়ে। বাঁশঝাড়ের কঞ্চি-পাতার জটলা থেকে নেমে আসা শ্যামা পাখির সন্তর্পণ পদচারণা। প্রাণহীন দুপরে খসখসে মৃদু ভৌতিক আওয়াজ। নির্জনতার বুক চিরে হঠাৎ ছাতারে দলের তীক্ষ্ণ চিৎকার। শিমুল গাছের মগডালে বাজপাখির জাজ্বল্যমান শ্যেন দৃষ্টি। হঠাৎ রকেটের গতি ভর করে তার ডানায়। ছাতারে দলের পাখায় পিস্টনের উল্লাস। ভীত প্রস্থান। জেট বিমানের মত ডাইভ দেয় বাজপাখি, ছোঁ মারে। বাজের নখরে আটকে থাকা ইঁদুর পুর্ণ আত্মসমর্পণে পৃথিবীকে বিদায় জানায় বৈশাখী হাওয়ায় ভেসে। সেকি জানে এই মৃত্যুই তাঁকে আকাশজয়ী করেছে। করেছে অনন্য। দোপেয়ের লাঠির আঘাতে, গর্তে ধুঁকে ধুঁকে, ড্রেনে পচে কিংবা শ্বাপদের নখরে ছিন্নভিন্ন হওয়ার চেয়ে আকাশজয়ী হয়ে মরা কি শ্রেয় নয়? বাজপাখি উড়ে যায় গ্রীষ্মের লেলিহান শিখার দিকে। বৈশাখের টকটকে বহ্নিশিখা যেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। বাজপাখি সেই আগুনে আত্মাহুতি দেয়; মরণের জন্য নয়, রাজসিক ভোজন পর্বটা মহিমান্বিত করতে।
আজ নতুন এক সূর্যোদয়, গতদিনের লেবাস ঝরে গেছে সব
আলোময় আঙুল আর ঘুম জড়ানো চোখের সাথে সাথে।
আগামী আসবে তার সবুজ পা ফেলে
আর ভোরের জলস্রোত কেউ রুখতে পারবে না
নদীর মত তোমার হাতের গতিময়তা
রোধ করতে পারে কি কেউ, প্রিয়তমা?
তুমি মুহূর্ত-স্পন্দন; আমৃত্তিকালম্বিত আলো
আর ঘন হওয়া আঁধারের মধ্যবর্তিনী
তোমার ওপর অসীম ডানা ছড়িয়ে দিয়ে আকাশ
তোমায় দুই হাতে সযত্নে তুলে সঁপেছে আমায়