হেনরিয়েটা অসাধারণ কিছু করে বসে অমর হননি। ওনার কেবল একটা রোগ হয়েছিল। ক্যান্সার। জরায়ু মুখে। জরায়ুর মুখকে যদি একটা দেয়াল ঘড়ির সঙ্গে তুলনা করা যায় তাহলে হেনরিয়েটার প্রাথমিক টিউমারটি ছিল চারের কাঁটার কাছাকাছি।
[justify]
তার আগে থ্যাকারে সাহেবের গল্প শুরু করা যাক।
১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে আসার সাথে সাথেই সিলেট চলে আসে ইংরেজদের অধিকারে। ঢাকার কাউন্সিলর প্রথম দিকে সিলেট শাসনের দায়িত্বে থাকলে ও দূরত্বের কারনে পরবর্তীতে আলাদা প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ১৭৭১ সালে মিঃ সামনার প্রথম কোম্পানী প্রতিনিধি হিসেবে আসেন। সামনার ছিলেন মুলতঃ রাজস্ব সংগ্রাহক, ছিলেন সামান্য কয়দিন- তার তেমন উল্লেখ পাওয়া যায়না।
সামনারের পর আসেন মি: থ্যাকারে ১৭৭২ সালের অক্টোবর মাসে। সিলেট জেলার প্রধান রাজস্ব আয় ছিলো চুনাশিল্প থেকে। ইছাকলস( ছাতক) ও লাউড় (তাহিরপুর) পরগনায় পাথর পুড়িয়ে চুন বানানো হত। মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর এনে জমানো হতো পাড়ুয়াতে( বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ থানা- কোম্পানীর বাজার হিসেবেই কোম্পানীগঞ্জ)। ইছাকলস ও লাউড়ে তৈরী চুনার পাইকারী আড়ত ছিলো ভাটির আজমিরীগঞ্জবাজার। আজমীরি থেকে মেঘনা নদী হয়ে একেবারে কলকাতা, পাটনা। মীরকাশেমের সাথে ইংরেজের যে চুক্তি হয় সেই চুক্তিতেও সিলেটের চুনাশিল্পের বন্দোবস্ত নিয়ে আলাদা কথাবার্তা ছিলো।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এক কালে ছিলো হ্যালির ধূমকেতুর মতো। বহু বছর পর একবার দেখা যেতো। সামরিক জান্তা যেমন খুশি তেমন ভাবে একে গড়তেন, ভাঙতেন, কোলে রেখে খেলতেন। গত দুই দশকে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গণতন্ত্র এখন ধূমকেতু থেকে লোকাল বাস হয়েছে। বিপুল আওয়াজে চলে, বিবিধ জটে আটকা থাকে, এবং কিছুদূর পরপর বিরতি নেয়।
[justify]
একটা উপন্যাস লিখবো বলে নিজেকে প্রস্তুত করছি অনেকদিন। একটা উপন্যাস লিখবো। ইতিহাস নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বাংলাদেশ নিয়ে। উপন্যাসে স্বপ্ন থাকবে, উৎসব থাকবে, ভালোবাসা থাকবে। উপন্যাসে বেদনা থাকবে, বিবমিষা থাকবে, বিশ্বাসঘাতকতা থাকবে।
বনানিয়র্ক ইউনিভার্সিটির হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক মাজিদ মাহমুদের ক্লাস ছিল না আজ। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছয়তলা ভবন সর্বস্ব ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের আনাগোণা ছিল কম। কিছু নিরাপত্তাকর্মী এখানে ওখানে আধো ঘুমে আধো জাগরণে মোবাইল ফোনে গান শুনছিল। সে গানের হাল্কা সুর মাজিদ মাহমুদের কানেও আসছিল। চার তলার অফিস রুমে তিনি পরীক্ষার খাতায় ডেবিট ক্রেডিট দেখায় মনোযোগী ছিলেন, তবুও হিন্দি গানটির সুর তার কানের সুড়ঙ্
‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ কিংবা ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’-এর মতো চটকদার নির্বাচনী স্লোগান সম্বলিত ইশতেহার প্রকাশ করলেও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী প্রচারণায় বিপরীত চিত্রটিই নজরে আসছে বেশি। গান্ধী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কর্তৃক আশীর্বাদধন্য নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, যিনি তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট রাজ্যের এবং সেই সুবাদে যিনি গুজরাটের মডেলে দেশ গড়ার প্রতি