মার্চ মাস এলেই টিভিতে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের স্বজনদেরকে ডেকে ডেকে ১৯৭১ এর স্মৃতি বলতে বলা হয়। ঘুরে ফিরে কিছু মানুষের কাহিনীই আমরা বারে বারে শুনি। কিন্তু শুধু তারাই কেন শোনাবেন? একাত্তরে এদেশে মারা গেছে ৩০ লক্ষ মানুষ, আমাদের তো ৩০ লক্ষ গল্প থাকার কথা। অন্তত ৩০ লক্ষ সাহসিকতার গল্প। সে সময় বাঙালি ছিলো সাড়ে সাত কোটি, তত কোটি গল্প কি আমরা শুনেছি?
১
“এই যে! এই যে! বললাম না? প্রতিদিনই যায়!”
মাথার উপরে আওয়াজ পেয়ে মুখ তুলে দেখি তিনতলা বাসার দোতলার দুই ফ্ল্যাটের দুই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এক, দুই, তিন – তিনজন বছর ৩-৮এর খুকী। ডানের ব্যলকনিতে দাঁড়ানো পিচ্চি সাথীদেরকে নিজের পূর্বোক্ত কোন কথার হাতেনাতে প্রমাণ দিতে পেরে মহা ভাব নিয়ে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে। আর বামের বারান্দায় দাঁড়ানো অপর দুই পিচ্চি চোখ গোল গোল করে আমাকে দেখছে।
১।
সন্ধ্যের দিকে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করেন কামরুল হাসান। সকালে থেকে চলছে এই কবিতা পাঠের আসর। ফয়েজ আহমেদ তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসেন। বুঝতে পারেন পটুয়া মহা ক্লান্ত। একটি কাজেই পটুয়ার কখনো ক্লান্তি আসে না, আঁকা আঁকি। আশেপাশে যা কাগজ পাচ্ছেন পটুয়া সকাল থেকে সেখানে নানা আঁকিবুঁকি করে যাচ্ছেন। এখন কবি রবীন্দ্র গোপের ডায়েরীতে চলছে পটুয়ার আঁকা আঁকি। কিছুক্ষণ আঁকিবুঁকি করে হঠাৎ মনে হল পটুয়া কিছু একটাতে মন বসিয়েছেন। পটুয়ার মাঝে কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সারাদিন ধরে এত কবিতা শুনলেন কিন্তু এখন আর মনে করতে পারছেন না কি কবিতা শুনলেন। মাথার মধ্যে শুধু মোহাম্মদ রফিকের চারটি লাইন ঘুরপাক খাচ্ছে -
সব শালাকবি হবে, পিপীলিকা গোঁ ধরেছে উড়বেই, বন থেকে দাঁতাল শুওর, রাজ আসনে বসবেই।
গ্যালারির অগুণতি দর্শকের হাত, গাল, বুক, পিঠ আর জামায় ভর করে পাকিস্তানী পতাকা উড়ে। স্বাধীনতার মাসে, পাকিস্তানীদের চালানো গণহত্যা সূচনার মাসে এ দেখে জীবিত অনেকেরই তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না, তবে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো ত্রিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ ধর্ষিতার দীর্ঘশ্বাস মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা থাকলেই টের পাওয়া যায়। একটা পুরো দেশতো আর অমানুষে ভরে যেতে পারে না, তাই স্বজাতির রক্তঋণ অস্বীকারকারী কুলাঙ্গারদের ভীড়ে
আমি তেমন ঘুরাঘুরি টাইপ পাব্লিক না। তাই বলে ঘুরতে যে আমার ভাল লাগে না তা না। কিন্তু একবার বাসায় ঢুকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে বের করা যায় না। সবাইকেই দেখি বেশ ঘোরাঘুরি করে, অনেক যায়গায় যায়। আমিও মনে মনে ভাবি, এই শেষ, আর বাসায় বসে থাকবোনা। কিন্তু এই শেষ আর শেষ হয় না। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে সংকল্প করি যে এরপর থেকে সপ্তাহে একদিন হলেও নতুন নতুন যায়গায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু খোদা মনে হয় দুনিয়ায়
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না কিছুই, মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। চেনা হাতঘড়ি, রোদচশমা কিংবা প্রিয় মানুষটিকেও অসহ্য মনে হয়। যেনো অন্যকোথাও যাবার কথা ছিল—
মৃত্যুমুখ অবধি ছড়ানো এ গাথা— এক অসম্ভব সেতু ছড়ানো চারপাশে। মেঘের মধ্যে উড়ছে আমাদের ঘরবাড়ি যাবতীয় ভালো লাগা। দ্যাখো, দু’হাতে চোখ ঢেকেও আমি তাকে থামাতে পারছি না! শিথিল স্বপ্নের মতো ঘুমন্ত আগুন থেকে বেরিয়ে সে বসে আছে নিষিদ্ধ করাতকলের পাশে।
বনগাঁ এখনও জেগে উঠেনি পুরোপুরি। ভোর বেলা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে লতা পাতা, পাখির গা আর ঘরের চাল ধুয়ে চকচক করছে। রাতের বৃষ্টি দুঃস্বপ্ন, বিকেলের বৃষ্টি মন খারাপের বার্তা আর সকালে বৃষ্টি আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির পানিতে গোসল করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতায় সোনালী রোদের চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদু বাতাসে ঋষি মুণিদের মত ধানের ছটা গুলো এদিক ওদিক মাথা দোলাচ্ছে। ভারতের এই অংশটি বাংলাদেশের স
অফিসে এসে রোজকের অভ্যেস মতো মেইলগুলো চেক করছিলাম। আনসোর্টেড লিস্টে একটি নামে হোঁচট খেলাম। গট আ মেইল ফ্রম এঞ্জেলিনা গোমেজ। গির্জার ঘন্টার মতো থেকে থেকে নামটা বাজতে থাকলো মাথায়। ধেয়ে আসা ঢেউয়ের সামনে দাঁড়াতে যতটুকু শক্তি প্রয়োজন তার শূন্য দশমিক দশ ভাগেরও কম নিয়ে আমি ওর মুখোমুখি হলাম। জানতে চেয়েছে - আমাকে মনে আছে তোমার?
শেখের টেক থেকে শনির আখড়া অথবা কামরাঙ্গির চর থেকে টঙ্গি ব্রিজ পর্যন্ত যে মানুষগুলি থাকে, রায়ের বাজার কাটাসুর লেন অথবা উত্তরা তিন নম্বর সেক্টর অথবা রামপুরা বনশ্রীর অলিতে গলিতে যে মানুষগুলি বসবাস করে আর প্রতি সকালে অফ হোয়াইট কালারের ফুলশার্ট দিয়ে চকলেট কালারের প্যান্টে কালো চামড়ার বেল্ট পরিপাটি করে গুঁজে দিয়ে বাটার স্যান্ডেল শু পরে সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে অথবা বেক্সিফেব্রিক্সের ছাপা সালোয়ার কাম
হুমায়ুন আজাদের দেশপ্রেম কবিতা টি এই কয়েক দিন মাথার ভিতর ঘুরছে। কতটা বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এই কবিতাটি লিখেছেন এখন তা বুঝতে পারি। আসলে নিজেই এখন সেই চরম বিরক্তি, হতাশা আর ঘৃনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
আপনার কথা আজ খুব মনে পড়ে, ডক্টর জনসন।
না, আপনি অমর যে-অভিধানের জন্যে, তার জন্যে নয়, যদিও আপনি
তার জন্যে অবশ্যই স্মরণীয়। আমি অত্যন্ত দুঃখিত তার জন্যে