১।
ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে সেই সকাল থেকে। দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু উড়িয়ে নেবে বলে পণ করেছে দক্ষিণের এই নাছোড়বান্দা বাতাস।
ডাকপিয়ন কোনমতে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর হাতে থাকা কাগজপত্র গুলো উড়ে যেতে চাইছে বাতাসের দমকে।
আমার মা কোনক্রমে দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়ালেন।
“আপনার একটা চিঠি আছে” ডাকপিয়ন হেসে বললেন।
এটা ঠিক ভ্রমন কাহিনী না। তবু অজানা এক দেশে অদ্ভুত এক নির্ঘুম রাতের ঘটনা বলতে ইচ্ছে করছে।
আহসান সাহেব হুঁকার নলে চুম্বন করিয়া গম্ভীর কণ্ঠে কহিলেন, "আমার পুত্রটি সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়াছে। এই বয়সে ছেলেপিলে একটু আধটু দুষ্টামি করিয়াই থাকে। মেট্রিক পরীক্ষার পূর্বে তুমি অভিযোগ আনিলে শাস্তি বাবদ উহাকে বেতপিটা করিতে পারিতাম। কিন্তু এখন ত সে নওজোয়ান। তাহাকে বড় শাসন করিতে গেলে সে যদি অভিমানে ঘরছাড়া হয়?"
ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে ফুটে রয়েছে অজস্র ফুল। কিন্তু সেসব ফুলের ছবি তোলাও কম ঝকমারি নয়। কখনো বা হৈ হৈ করে তেড়ে আসছে দারোয়ান, কখনো পুলিশ। সাধারণ মানুষ তেড়ে না এলেও মাঝে মাঝে বাঁকা মন্তব্য করতে ছাড়ছে না।
[justify]
গতবার কিছু ছবি পোস্ট দিয়েছিলাম। অনেকের কাছে থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনাপেয়ে সাথে সাথে আরো কিছু ছবির পোস্ট দিতে লোভ সাম্লাতে পারলাম না।
আমরা এখন যে যায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছি এটা শাহবাগ মোড়। অবশ্য এটাকে আমরা ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলতেই বেশি পছন্দ করি। এই প্রজন্ম চত্বরেই আমাদের জাতিসত্ত্বার পুনর্জাগরণের শুরু। ভাবছেন, তিরিশ লাখ শহীদ আর সাড়ে চার লাখ (চার লাখ আটষট্টি হাজার১) নির্যাতিত নারীর মূল্যে যে দেশ স্বাধীনতা পেল তার মূল চেতনা ঢাকা পড়ে যায় কিভাবে?
নবনির্মিত ফতে জং কিল্লার সামনের বাগান। মধ্য দুপুর।
শান্ত পানির নহরের সামনে দাঁড়িয়ে কিল্লার মূল কারিগর ওস্তাদ আলি খাঁ ধীরে ধীরে ডান হাত তুলে সঙ্কেত দিলেন। আশপাশের সকলের চোখ কপালে তুলে দিয়ে সেই শান্ত নহর থেকে ছ্যাঁৎ ছ্যাঁৎ ভুসস শব্দ করে ঠান্ডা পানির ফোয়ারা ছিটিয়ে উঠল। খুব কাছে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের কামিজে পানির ছিটা লেগে গেল অল্প, তাই দেখে দাঁত বের করে তাদের সে কী হাসি! পুরো এলাকা যেন হঠাৎ বেহেশতের মত ঠাণ্ডা হয়ে উঠল। ছোট একটি ছেলে পানির খুব কাছে গিয়ে আনন্দে লাফ দিল দুইবার।
কিল্লার মালিক সুলতান বুরহানউদ্দিন তৃপ্ত চোখে পানির খেলা দেখতে দেখতে গাঢ় কণ্ঠে বললেন, মাশ্-আল্-লাহ্! মাশ্-আল্-লাহ্!