আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি; আমাদের গ্রামে ৫-৭ জনের একটা দল ছিল যারা প্রায় প্রতি সপ্তাহে হলে গিয়ে ছবি দেখত। কোন কোন সময় একই ছবি দুই-তিনবারও দেখা হত। তারা বাংলা ছবিই দেখত এবং অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্পর্কে তাদের বেশ কিছু মজার মন্তব্যও ছিল। এরকম একটি মন্তব্য হল, “সে (কোন একজন অভিনেতা) পেটে-ভাতে অভিনয় করে।” এরকম আরো বেশ কিছু মন্তব্য চালু ছিল তখন। অর্থাৎ এরা ছবি দেখত এবং নিজেদের মধ্যে সমলোচনাও করত তবে ব
(১)
চন্দনের বনে হাঁটছি আমরা।
‘ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে, দেখা হবে চন্দনের বনে’।
পাণ্ডা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা কালোর মিশেলে প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টিকে। ভালুক গোত্রের এই নির্বিবাদী শান্তশিষ্ট প্রাণীটি কিন্তু নিজ গোত্রের অন্য প্রাণীদের মতই শক্তিধর, কিন্তু অহিংস নিরামিষাশী (বাঁশখেকো) পাণ্ডাদের শক্তির প্রকাশ দেখা যায় না বললেই চলে। এহেন এক নাদুস-নুদুস প্রাণীকে নিয়ে একটি তুমুল এ্যকশন ভিত্তিক ‘কুংফু’ চরিত্রে উপস্থাপনের আইডিয়াতে চোখ কপালে উঠেছিলো তাই অনেকের। শেষ পর্যন
আমার কড়ে আঙুল ধরে নেভা হাঁটছে আর অবিরাম প্রশ্ন করে যাচ্ছে এটা কি, ওটা কি? আর প্রতিটিই জবাবের পর অবধারিত পরের প্রশ্ন- 'কেন'? মেয়ের কাছে পৃথিবীর সবজান্তা আমি উত্তর দিয়ে যাচ্ছি অবিরাম। 'এটা? এটা হচ্ছে ডাস্টবিন। ময়লা ফেলে।'
'কেন?'
'রাস্তা নোংরা হয়ে যাবেতো তাই সবাই একজায়গায় ফেলে; এটাতে ফেলে।'
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যারা ব্যক্তি হিসেবে বা কোন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখে তাদের পরিশ্রমের প্রথম ফলটি পেয়েছেন। এটি হল কাদের মোল্লার ফাঁসী, ১৬ কোটি মানুষের বহুআকাংখিত ন্যায়বিচার। ১৯৭১ সালে যারা এই দেশে শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যার একটি চালিয়েছিল, যারা অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছিল তাদের ভিকটিমদের যে প্রাপ্য ন্যায়বিচার এটি কিন্তু একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। সেটি
১
প্রদীপ বিরক্ত মুখে পঞ্চম কাপ চা হাতে নিয়ে বসে আছে চায়ের দোকানে। সকাল থেকে কিছুই পেটে পড়ে নি। চিনি বেশি দিয়ে চা খেলে ক্ষুধা কমে যায়। কিন্তু খালি পেটে চিনি বেশি দিয়ে পরপর পাঁচ কাপ চা খেলে যে বমি ভাব শুরু হয় তা জানা নেই প্রদীপের। এখন তার বমি পাচ্ছে। প্রানপন চেষ্টা করছে বমি আটকানোর। সে বমি বিষয়ক চিন্তা ভাবনা বাদ দেয়ার চেষ্টা করলো। অন্য দিকে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে প্রদীপ। উজ্জ্বল আসলে চায়ের দাম তো দেবেই সাথে কিছু টাকাও দেবে।
-স্যার, দেখেনতো আমাকে কেমন লাগছে?
তিথির কথা শুনে আমি মুখ তুলে তাকাই। তিথি (আমি হুমায়ূন পাগলা মানুষ। উনার লেখা আমি গিলি। পড়িনা। তাই ছাত্রীর আসল নাম উহ্য রেখে নাম দিলাম ‘তিথি’) আমার ছাত্রী। আজকে শুক্রবার তাই জুম্মার নামাজ পড়ে পাঞ্জাবী আর খুলি নাই। দু’টো ভাত মুখে দিয়েই চলে এসেছি পড়াতে। আমাকে দেখেই তিথির মুচকি হাসি।
- স্যার আপনি বসেন। আমি আসছি। দশ মিনিট।
শেষ বিকেলে বসে ছিলাম ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চের সিঁড়িতে । লাল রঙের সূর্যটা মুক্তমঞ্চের পিছনের আকাশমণি গাছের পাতার আড়ালে অদৃশ্য হচ্ছিল ক্রমশ ।
হু হু করে বাতাস হচ্ছে সেই দুপুর থেকে । অদূরের ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে আসা গাঁজার গন্ধ, ঝালমুড়ি বিক্রেতার ঝালমুড়ির গন্ধ আর মহুয়া ফুলের গন্ধ
মিলে কেমন যেন মাতাল মাতাল আমেজ ।
কিচ্ছু বদলায়নি এই ক’বছরে ।
কবি বলেছিলেন -
তোমার পতাকা যারে দাও
তারে বহিবার দাও শক্তি।