আমি আর অন্বেষা জাঁকিয়ে বসি আড্ডা দিতে। পরদিন আর তারপরদিনও ছুটি, আজ অনেক রাত অবধি আড্ডা দিলেও ক্ষতি নেই। সেই কলেজের দিনগুলোর আড্ডাস্মৃতি মনে পড়ে, অবশ্য তখন অন্বেষাকে পাই নি।
ডায়রীর পাতা থেকে:
বাংলা ভাষাতে একটি বহুল আলোচিত উক্তি হলো কাচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে টাশ্ টাশ্। এর মানেটা হলো ছোট বেলা থেকেই যদি শিক্ষাটা সঠিকভাবে না দেয়া হয় তাহলে বুড়ো বয়সে যাই করেন তাতে কাজ হবেনা। আমরা ইদানিং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এগুলো সামনে আসছে আর আমরা সোচ্চার হচ্ছি। প্রতিবাদের ভাষাতে সেগুলো রুখে দিচ্ছি কিন্তু আসলেই কতটা উপকার এতে হচ্ছে?
মানুষের সকল দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রন করে মূলত ২২ জোড়া জিন। যা বংশানুক্রমিক ভাবে পিতা-মাতা থেকে সন্তানের মাঝে বাহিত হয়। কিন্তু মানুষের মনোজগত, মানুষের বোধ, ভালোলাগা টুকু থাকে সতন্ত্র. এগুলো জিনগত বৈশিষ্ট্য নয়, এগুলো আনিত বৈশিষ্ট্য.
[justify]তৃতীয় পর্বের পর ..................
পুলপ্রিটের চূড়ায় উঠার অনুভূতি ছিল এক কথায় অসাধারণ।
ঠেলে ধাক্কিয়ে যখন পুলপ্রিটের উপরে উঠেই পড়লাম ভাবলাম কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেই, একটু নাহয় পাহাড়ের আলো বাতাস খাই, ঊর্ধ্বপানে চেয়ে নাহয় গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি "হায় জীবন এত ছোট কেনে? "
পাহাড় চূড়ায় বসে বসে একবেলা যদি সেই রকমের উদাস-ই না হতে পারলাম তাইলে কিভাবে চলে।
গ্রীষ্মকালে আমায় যখন কেউ প্রশ্ন করে, পাহাড়ে ক্যান যাস? জবাবে হাসিমুখে ভারিক্কি চালে বলে দিই “আমাকে জিজ্ঞেস করলে এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাবিনা”। উক্তিটা আমার না, বিশ্বখ্যাত মার্কিন পর্বতারোহী এডমুণ্ড ভিশ্চাসের। শীতকালে পাবলিক যখন মুচকি হেসে শুধায় “কিরে ঘরে বসে আছিস ক্যান, পাহাড়ে উঠবি না?” তখন মুখ লুকিয়ে বলতে হয় মা’র পিটুনি আর বউর বকুনির ভয় ছাড়াও স্বীকার করতে হবে ওই তুষারআবৃত শৃঙ্গ জয়ের সাহস আমার নেই। এই বয়সে পিছলে পড়ে হাড়গোড় ভাঙার হুটকো ঝামেলায় নিজেকে জড়াতে চাইনা।
বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপদজনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতের শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহর
ছেলেটি ডান হাতের তর্জনি দিয়ে নাক খুঁটতে খুঁটতে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনের নাম কবুতর ফারুক?
আমি খেয়াল করলাম নাকের ময়লা সে তার পিরানে মুছল। ভেজাল। আমি উত্তর না দিয়ে বললাম, পাকশালায় তোর কি কাম?
ছেলেটি বলল, আমি ময়দা মাখি। নান রুটির ময়দা।
কুত্তারে যে ভদ্রসমাজে কুকুর নামে ডাকা হয় সেটা হয়ত সবুজবাগ মহল্লার লোকজন ভুলে গিয়েছিলো অথবা কুত্তাকে তারা কখনো কুকুর নামে ডাকার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে নাই। কিন্তু যখন সবুজবাগ মহল্লায় একটা মালিক বিহীন পা-ভাঙ্গা বিলাতি কুত্তার আবির্ভাব হয় তখন ওই কুত্তাকে "বিলাতি কুত্তা" কইতে তাদের সংকোচ লাগে। আবার "বিদেশি কুকুর" শব্দদ্বয়েও তারা ঠিক স্বাছন্দ বোধ করেনা। তখন তারে তারা টমি নামে ডাকা শুরু করে। টমি কেন?
১
"এখনও বিবর্ণ স্বপ্ন আমার, নীরবে এঁকে যায় ধূসর রঙে আমায়। শূন্যতায়।
বাস্তবতার নিয়মে মন, সবই যেন শূন্যতা এখন। হঠাৎ আমি হারিয়ে আজ, সত্ত্বার বিপরীতে বসবাস। শূন্যতায়। "