ভ্যাপসা বিচ্ছিরি একটা গরম। জ্যৈষ্ঠ মাসের এই সময়টায় বৃষ্টি হলে একটা আরামদায়ক আবহাওয়া বিরাজ করলেও বৃষ্টি না হলে অসহ্য গরমে টেকা দায় হয়ে যায়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি তো নেই-ই সাথে কাঁঠ ফাঁটা রোদ। খড়খড়ে মাটির উপর দিয়ে একটু বাতাস গেলেও ধুলো ওড়ে। বড় গাছগুলো মাটি থেকে সাধ্যমত রস শুষে নিয়ে প্রাণপণে নিজেদের সতেজ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে যেন। আশেপাশের ছোট গুল্ম আর ঘাসেদের ভাগে জুটছে না কিছুই তেমন। পানির অভাবে লত
এককালের মসজিদের শহর ঢাকা, মাঝে কিছুদিন রিকশার শহর হয়ে এখন সম্ভবত এপার্টমেন্ট বাড়ির শহর হতে চলেছে। আমাদের বাসাটাও সম্প্রতি ভেঙ্গে এপার্টমেন্ট হলো। একদিক দিয়ে সুবিধে, নতুন কাঠামো, বাড়তি আবাসান, আবার সবাই মিলে সমিতি করে দারোয়ান/তত্ত্বাবধায়ক রাখলে নিরাপত্তাও কিছুটা হলে পাওয়া যায়। তো মোটামুটি প্রতি এপার্টমেন্ট বাড়িতে নিচতলায় গ্যারেজ থাকে, আর থাকে একটা কমিউনিটি ঘর
বাংলাদেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো (বা পড়ুন পেহলী রোশনী) বদলে যাও, বদলে যাও বদলে দাও শ্লোগান দেশের অন্যান্য কর্পোরেট মিডিয়া হাউসের ঘোষিত শ্লোগানগুলোর মতো না। এরা রীতিমতো হাতেকলমে এসবের নজির আমাদের সাথে হাজির করে। এদের বেতনভুকেরা রিকনসিলিয়েশন তত্ত্ব খাড়া করে মেহেরজান সিনেমার পক্ষে জান লড়ে দেয়, জামাত বান্ধব বুদ্ধিজীবি পুল দিয়ে জামাতি এ্যাজেন্ডা পুশ করে, পেট্রোল বোমার জন্য দুই দলের ঘাড়ে সমান দোষ চাপিয়
আপনি পারজ? হতেই পারেন- সেটা আপনার চয়েস। আপনার যদি পারজ বা খাঞ্চোত হতে ইচ্ছে হয় তো হবেন- সেটা আপনার চয়েস।
আমরা থাকি বেশ গ্রাম গ্রাম টাইপের জায়গায়। দশতলা একটা স্টুডেন্ট হোস্টেল আছে আমাদের শহরে, যেটা আমদের এখানে সবচেয়ে উচু বিল্ডিং। ১২-১৩ তলা বিল্ডিংও কোন শহরে দেখলেই আমরা চোখ ট্যারা বানিয়ে তাকিয়ে থাকি। দূরে গেলে বড় শহর আটলান্টা যাওয়া যায়, তবে সেখানে বেশি গ্যাঞ্জাম, সেটা বাদ। এরপর, লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্স যাওয়া যায়, সেটা আরও অনেক বেশি দূর। মাঝারি আকারের একটা শহর আর দেখার মত কিছু টুকটাক আছে এমন একটা জায়গার খোঁজাখুজি করে জলপ্রপাত বের করে ফেলল টেনেসি রাজ্যের চ্যাটানুগা'র (Chattanooga) নাম। নামটা নিয়ে আমার নিজেরই সমস্যা বেঁধে গেল, অনেকটা চাটগাঁর মত নাম। তার উপর, এর উচ্চারণ চাট্টানুগা, না চাত্তানুগা, এটা নিয়ে কনফিউজড। যাই হোক, আপাতত, চ্যাটানুগা চলুক। চ্যাটানুগার আশে পাশের লুক আউট মাউন্টেনের রুবি ফল, হেলানো রেললাইন আর রক সিটিকে সিলবাসে ভরে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।
আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।
উপকরণ অতি সামান্য।
: আমার জন্য, কি করতে পারো তুমি?
- আমি তোমাকে সূর্যের ঐপারের ঘোর অন্ধকারে পাঠিয়ে দিতে পারি।
: মানে!
- দেখবে অন্ধকার আর অন্ধকার। চারপাশে কেউ নেই। কেউ নেই। কেউ না।
তুমি ভয়ে কুঁকড়ে যাবে।
চিৎকার করে ফেটে যাবে।
কিন্তু কাউকে পাবে না তুমি। কাউকে না।
তুমি সহ্য করতে পারবে না। ধ্বংশ হয়ে যেতে চাইবে।
ঠিক তখনই বুঝতে পারবে
অন্ধকারের মধ্যে আরও গাঢ়ো অন্ধকারের মতন একজন
দাঁড়িয়ে আছে একাকী
আমি
যখন মৃত্যুর কথা ভাবি
তখন তোমার কথাও ভাবি
মৃত্যুর সাথে তোমার এমন যোগযোগে
কিছুটা বিস্মিত, কিছু আস্বস্ত হয়ে যাই
এই যে অমোঘ রাতের নিঃশব্দতা
ঝিঁ ঝিঁ পোকা, শিশুর সরল মুখ
নিজের স্বস্তির প্রতিবিম্ব
সবকিছু ছাপিয়ে কোনো এক মুখ--
যখন পালাবো ভাবি, পিছুটান
সহজ জলের নদী সহজ সাঁতার
যখন সহজ পথ নির্জন প্রান্তরে এসে থামে
তখন মৃত্যুর কথা
তখন তোমার কথা ভাবি!