মহাদেও,আসাম
১। ১৮/৪/১৯৭১
রেণু,
‘এইটা আপ্নের কেমুন বিবেচনা চেয়ারমেন সাব’?
শাহাদুজ্জামানের লেখার সাথে পরিচয় ছিল না। কয়দিন আগে বাংলাওয়েবপোর্টালে তার একটি স্বাক্ষাতকার দেখলাম। তিনি তার বইমেলায় প্রকাশিত বই এবং অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছেন। ঐটা দেখেই '' আধো ঘুমে ক্যাষ্ট্রোর সঙ্গে '' নামের ডকুফিকশন টা পড়ার ইচ্ছা হল। ডকুফিকশন নামটাও সেদিন নতুন শোনা।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে।
তখনকার মিরপুর এত ইট কাঠের জঙ্গল হয়ে ওঠেনি। পাশের বিল্ডিংয়ে কেউ জোরে কথা বললে অন্য বিল্ডিং থেকে শোনে যেতো। পাকিস্তানের প্রতিটি রানে এবং ওয়াসিম আকরামের উইকেট লাভে আশেপাশে অনেক বাসা থেকে আনন্দ ধ্বনি আসতো। অনেক বারান্দায় ছাদে উড়তো পাকিস্তানের পতাকা।
গত কয়েকবছর ধরে, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে, অনেক মানুষের জীবনের একটি বড় সময় গেছে দেশের বাকি মানুষদের কিছু সহজ সত্য জানাতে। কি সহজ সত্য?
আগের পর্বে শুধু কেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের দুঃখজনক পারফর্মেন্স বর্ণনা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আজ বাকি দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাজে পারফর্মেন্সের উদাহরণ দিতে যাচ্ছি।
জিম্বাবুয়েঃ
১।
রোগীর প্রায় মরে থাকা বা বৃদ্ধাঙ্গুলের সুতাসদৃশ শিরায়ও সর্বদা অব্যর্থভাবে ক্যানুলা করতে পারত সেই সাইকেল ডাক্তার...কিন্তু যেদিন মাথাখারাপ নবনীর তিন মাইল দূর থেকে দেখা যাওয়া সদা জেগে থাকা তরতাজা শিরায় সামান্য একটা বাটারফ্লাই ক্যানুলা সাইকেল ডাক্তার দিতে পারেনা সেদিনই নবনী স্পষ্ট করে বুঝতে পারে জগতে সবকিছু জাগতিক না বরং তাতে হঠাৎ হঠাৎ স্বর্গ দেখা দিয়ে ওঠে....
শ’য়ে- শ’য়ে নাকি হাজারে হাজারে কিছু পাখি উড়ে যাচ্ছে- যারা মানুষের মতো দেখতে; দুটো হাত একটু এঁকেবেকে গিয়ে ডানার মতো হয়ে গেছে, ডানা ঝাপটাচ্ছে অনভ্যস্ত ভঙ্গিতে।
ঘোরপাখি
গৃহশিক্ষক। (১)।
অনেক কায়দা করে রাফসানের আব্বার কাছ থেকে আগের দুই মাসের বেতন আদায় করলাম। আজব মানুষ। প্রথম যেদিন পড়াতে গেলাম সেদিন ছাত্রের থেকে ছাত্রের পিতার আগ্রহ বেশি।
- কোথায় পড়েন?
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
- কুন সাবযেক্ট?
- এগ্রোটেকনলজী।
- সেটা আবার কোন সাবযেক্ট? কি পড়ায় তাতে?
- এগ্রোনোমি, বায়োটেকনোলজী, বায়োকেমিষ্ট্রি, ষ্ট্যাটিস্টিক্স, সয়েল সাইন্স, !!!!
এক নিঃশ্বাসে বলে গেলাম।
ছোটবেলার থেকে আমার প্রাগে যাওয়ার শখ। লন্ডন মিউনিখ বার্লিন নিউ ইয়র্ক সিডনি আমাকে টানে না। আমি যেতে চাই প্যারিস, ভিয়েনা, প্রাগ, বুদাপেস্ট, যে শহর ঝকঝকে মসৃণ নয়, কিন্তু প্রতিটা পাথরে একটা করে গল্প আছে। ইউরোপে আসার পরেই, আমার কাজ হলো, কিভাবে কত বেশি জায়গায় ঘোরা যায়। আমার বন্ধুভাগ্য সুপ্রসন্ন, ব্রাজিলের এক ছেলের সাত্থে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো, যে আমার মতই কাধে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বের হয়ে যায়, একটা পাউরুটি নিয়ে