Archive - 2014

March 4th

সীমান্তরেখা-৬

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুজুর এতক্ষণ হামদ-নাত গাইছিলেন। যথেষ্ট জন-সমাগম হয়েছে বুঝতে পেরে হুজুর গলার স্বরটাও বাড়ালেন। মাইক অপারেটরও বাড়িয়ে দিল মাইকের ভলিউম। হুজুর বয়ান করছেন আর মাঝে মাঝে শ্রোতাদের উদ্দেশে বলছেন--‘জোরে বলুন সোবানাল্লাহ।’
শ্রোতারাও সমস্বরে বলে উঠছে--‘সোবানাল্লাহ।’
তেমিন হুজুর কখনো বলছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’, তখনও মুসুল্লিদের বলতে হচ্ছে সোবানাল্লাহ। মাঝে-মাঝে হুজুর শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, ‘জোরে বলুন ঠিক কি না।’
ঠিক নয় এ কথা বলার ধৃষ্টতা বা বিদ্যা-বুদ্ধি কারো নেই। হুজুরের কথাটাকে শিরোধার্য মেনে তারা বলছে, ঠিক, ঠিক। কিন্তু হুজুর আওয়াজটা পছন্দ করলেন না। তাঁর ধারণা, মুসিল্লিরা আরো জোরে আওয়াজ দিতে পারে, কেউ কেউ হয়তো আওয়াজ করছেই না। তিবি আবার হাঁকলেন, ‘শুনিনি, আবার বলুন ঠিক কি না?’
এবার আওয়াজটা অনেক জোরালো হল। হুজুর বোধহয় এমন আওয়াজই চাইছিলেন।


বাংলাদেশে "জিটি" বেগুন- “জিটি” খাবারকে না বলুন!

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রিটেনের বৈজ্ঞানিক মহলে খাদ্য-বিষয়ক গবেষণায় খুব নামডাক ড: আরপাদ পুজতাই এর। ছোট্ট একটি সাক্ষাতকার দিলেন ব্রিটিশ টেলিভিশনে। বললেন, “জিটি-খাদ্যের কার্যকরীতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমার। কিন্তু এটি বৈধ করার আগে অবশ্যই সুদূরপ্রসারী পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার। বর্তমান এই অবস্থায় এই প্রযুক্তির কোনো ধরণের খাদ্য গ্রহণ করতে রাজি নই আমি”। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে নিজের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরলেন তিনি। কয়েকট


কোন বুদ্ধিমান এলিয়ান সভ্যতার কি আদৌ কোন কারণ আছে মানুষের সাথে যোগাযোগ করার?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুওরার এই প্রশ্ন এবং উত্তর থেকে আংশিক অনুদিত।

প্রশ্নটা ছিল এরকম-

প্রকল্পিতভাবে(hypothetically), মহাশূন্য পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে আসার জ্ঞান আছে এমন এমন কোন বুদ্ধিমান এলিয়ান সভ্যতা থেকে থাকে যদি, আমাদের সাথে যোগাযোগ না করার কোন কারণ আছে কি তাদের?


March 3rd

কথা (অ)সামান্যই

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ১১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাবতাম, মাছি মারা কেরানি হচ্ছে অফিসে তেমন একটা কাজ কর্ম পায় না, বসে বসে মাছি মারে, তেমন কেউ। আবার অনেক সময় ভাবতাম, খুব নগন্য কাজের জন্য যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তেমন কেউ বুঝি। মানে, অফিসে ব্যাপক মাছির উপদ্রব, রেগেমেগে বড় সাহেব একজন লোককেই নিয়োগ দিয়ে ফেললেন। তার কাজ হলো এইসব মাছি মারা। সে মাছি মারা কেরানি। তবে প্রকৃত মাছি মারা কেরানিকে চিনতে পারলে বুকে কাঁপন ধরে যায়। সে চাকরী করে ইংরেজ সাহেব


আই সি সি সহযোগী সদস্য ও সমমানের দলগুলোর সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের লজ্জাজনক পারফর্মেন্সসমূহ (পর্ব-১, কেনিয়া)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক যুগের বেশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করেছে। তারও অনেক আগে থেকে খেলে ওয়ানডে। কিন্তু বহু জ্ঞানীগুণীজন এবং পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ এখনো মনে করেন বাংলাদেশের উপযুক্ত খেলার ময়দান হলো আই সি সি সহযোগী সদস্যদের সাথে, একদিনের ক্রিকেটও নয়। আর এটাকে সঠিক প্রমাণ করতেই বাংলাদেশও যেন উঠেপড়ে লেগেছে, সেই শুরু থেকেই। হতাশাজনক ও জঘন্য পারফর্মেন্স প্রদর্শন শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং সব সহযোগী সদস্য ও সমমানের দলের


হারাই হারাই সদা ভয় হয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখনো কখনো উটের গ্রীবার মতো কোনো-এক নিস্তব্ধতা এসে ছুঁয়ে যায়, বলে যায় মৃদু পায়... ‘জানো, আমারো একটা পথ আছে...’ সেই পথটা কখনো খুঁজে পাই না...


March 2nd

ক্রিমিয়ায় ঘুম নাই

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ৫:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৮ সালের মে মাস। পোল্যান্ড আর সুইডেন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সভায় একটা প্রস্তাব পেশ করে। আদতে ছয়টা প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্র, আরমেনিয়া, আজারবাইজান, বিয়েলারুশ, গিয়র্গিয়া, মলদোভা ও উক্রাইন এর সাথে বানিজ্যিক, অর্থনৈতিক, অবাধ যাতায়ত ইত্যাদি সংক্রান্ত একটা বহুমূখি অংশিদারিত্ব চুক্তি ছিল ঐ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য়।


আমারও ইচ্ছে করে

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ১০:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমারও ইচ্ছে করে তোমার মতো
হাওয়ার আঙুল ধরে হই স্বচ্ছল ঈগল
তারপর উড়ালের ঝাপটায়
ধাওয়া করি উত্তরাধুনিক মেঘ
একবিংশ শতাব্দির মানমন্দিরে
তুলে আনি প্রকান্ড শিকার;
ধারালো নখড়ে তাকে
করে তুলি লোভনীয় খাবারের স্তুপ
কিছুটা মেটাই ক্ষুধার জ্বালা
কিছুটা সঞ্চয়ে তুলে রাখি
বাকিটা সাজাই থরে থরে
ব্যপক বিজ্ঞাপণে
আমাদের প্রচলিত মেঠো পথে তারপর
সচেতন ফাঁদের মতো পেতে রাখি
রাষ্টবিজ্ঞানের এই গুঢ় থালা


জেতার আশার তবে কি শুধুই দুরাশা?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ৯:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্পটা যদিও বেশ পুরানো তবুও না বলে আসলে থাকা যাচ্ছে না। সেদিন ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বোধহয় নতুন এক মাত্রা যোগ হল। যার পর থেকে ক্রিকেট খেলায় জেতা যেন আমরা ভুলেই গিয়েছি। শুধু জেতা কেন আমরা বোধহয় খেলাও ভুলে গিয়েছি। গল্পটা না হয় একটু আগে থেকেই শুরু করা যাক। বেলা তখন বারোটা বেজে তেতাল্লিশ মিনিট। আমি টেলিভিশনের সামনে বসে চিন্তা করছি খেলাটা মাঠে গিয়ে দেখলে কেমন হয়। আগের রাতে আকাশের অবিরাম কান্নায় খেলার মাঠ প্রায় জলে থৈ থৈ করছে। দেড়টার দিকে মাঠ পরিদর্শন শেষে জানা যাবে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ওয়ান ডে ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলা ঠিক ক’টায় শুরু হবে। মনে হল খেলা শুরু হতে যখন দেরীই হচ্ছে তাহলে মাঠে যাওয়ার একটা চেষ্টা দেয়া যেতে পারে। মাকে ডেকে বললাম,“চল খেলা দেখতে যাব।”
মা জবাব দিলেন, “ টিকিট?”
“মাঠে গেলেই আশা করি পাওয়া যাবে।”


চলতি পথে পাওয়া - ৮,৯,১০

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: রবি, ০২/০৩/২০১৪ - ৯:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৮.

কি যে এক অদ্ভুত যন্ত্রণা হয়েছিল কিছুদিন! পথে চলতে গেলে পথও চলা শুরু করত আমার সাথে। অথচ পথের শেষটা দেখব বলেই পথে নেমেছিলাম। সকালে হাঁটতে বেরুলে ঘর থেকে যেই না বাইরে আসতাম, দিব্বি সেজেগুজে পথ এসে ঠিক জুড়ে যেত সাথে। বলত- চল, তোমার সঙ্গী হই, তুমি বুঝি একা?