ঘুরতে যাওয়ার শখ অনেক দিন থেকেই, কিন্তু কাজ, সময় আর সর্বোপরি পয়সার কারনে ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হয়ে উঠে না। বেশ কিছুদিন যাবত আছি দেশের বাইরে, কামলা দেওয়া হয় ইউরোপের এক কোম্পানিতে, আর্থিক সঙ্কট এর কারনে আর বন্ধু বান্ধবদের পীড়াপীড়ি থাকা স্বত্বেও যেতে পারি নাই অনেক গুলো ট্রিপে তাদের সঙ্গী হয়ে, তাই সব সময়ে ঘুরতে না যাওয়ার বিষণ্ণতায় ভুগতাম। যাই হক অবশেষে নিজেকে বললাম আর কত এবার যাবই যাব।
আমাকে দেখে মিতুলের মা এগিয়ে আসে। ভদ্রমহিলার হাতে একটা চাদর। স্কুলের উল্টোদিকে মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে চাদর বিছিয়ে অভিভাবকরা বসে থাকে। আমাদের বাসা থেকে আস্থার স্কুল হাঁটার দূরত্বে। আস্থাকে প্লে'তে ভর্তি করার পর আমিও দিন কয়েক এভাবে বসেছিলাম। পরে আস্থাই আমাকে বলেছে, 'মা আমি থাকতে পারবো। তুমি অফিসে চলে যাও। আমি কিচ্ছুতেই গেটের বাইরে যাবো না।' আমার মেয়েটা বড় লক্ষ্ণী। ও খুব দ্রুত স্কুলের সাথ