অভিষেকের আসরে হায় হায় করে যুধিষ্ঠির- মানুষ হারতে হারতে জিতে আর আমি হতভাগা জিততে জিততে হারি। কী পাইলাম আমি যুদ্ধ কইরা?
পাহাড়ে বেড়াতে এসে যে মেয়েটি নিঃসংকোচে
নাচে খুব- হাততালি দেয়
কঠিন হবেই তাকে উপেক্ষা দেখানো-
সুতরাং- ও পথে যেও না।
তোমার উদারনীতি অভিজ্ঞ প্রজ্ঞা
হৃৎপিন্ডে উৎকণ্ঠায় বাজাও-
কাপড় শুকাতে সে ছাদে এসে ভুলে যাবে
এর পরে নাওয়া-খাওয়া আছে
ঘুমে তার ছায়া হয়ে মারোয়ার ধুন
গভীর ঘুমের পথে খরনদী- তুমি হে কান্ডারি
যে সাপ ঘুমালো সবে তাকে আর জাগিওনা
তুমি হে কান্ডারি- দুঃসাধ্য ধাঁধার মতন,
আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।
[justify]১।
বাসায় ফিরে রাতে অনলাইনে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার এখানে রাত হলেও দেশে এখন ভোর সকাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পত্রিকায় এত বেশি নৃশংসতা যে, দেশটাকে ইদানিং যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়। অমানুষের দল আজকে আবার একটি বাসে পেট্রল বোমা মেরেছে। এবারের ঘটনা যাত্রাবাড়ীতে। সে বোমায় ২৮ জন আগুনে পুড়ে গেছে। তাদের মুখ, শরীরের চামড়া, শ্বাসনালী ঝলসে গেছে। পত্রিকার পাতায় বীভৎস ছবি গুলোর বিভিন্ন জায়গা ঝাপসা করে দেয়া আছে। তবু ছবি গুলোর দিকে তাকাতে পাড়ি না। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া মানুষের ছবি দেখার মত সাহস আমার নেই। তাই ছবি গুলো এড়িয়ে কোন রকমে খবরটা শুধু পড়ি। যাত্রাবাড়ী নামটা শুনে বুকটা দুরুদুরু করে কাঁপছিলো। এখানে আমার ভাই-বোন-বন্ধু-আত্মীয়-স্বজনরা থাকে। এই এলাকার রাস্তা দিয়ে তাদের প্রতিদিন আসা যাওয়া.....