চাষী নজরুল ইসলাম মারা গিয়েছেন। তাঁর জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভংগি আর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি অনেকের সমালোচনার যোগ্য হলেও তবে বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের পুরোধা ব্যক্তিদের একজন হিসেবে তিনি অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র। আবেগের বশে অথবা হুজুগে মাতাল হয়ে অনেকেই চাষী নজরুল ইসলামের 'ওরা ১১ জন' সিনেমাটিকে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা, 'প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা' ইত্যাদি বলেছেন দেখলাম। কথাগুলো পুরোপুরি সঠিক মনে কর
ভাবছিলাম ফেসবুকের কোন বাংলা এখনো চালু হয়েছে কিনা। যেমন ওভারব্রিজ এর বাংলা করা হয়েছে পদচারী সেতু, আর ফ্লাইওভারের বাংলা হল উড়ালসড়ক! ফেসবুকের জন্য “মুখপুস্তক” নামটা শুরু করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে। সারা পৃথিবীই এখন এই মুহুর্তে খুব ভয়াবহ রকমের সোশাল মিডিয়া জ্বরে কাতর! বাংলাদেশে মানুষ এখনো ফেসবুকটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। টুইটার, হাই ফাইভ বা অন্যান্য সাইটগুলো হয়ত বাংলাদেশের মানুষকে ঠিক ততটা প্রভাবিত করে না। এটা একেবারেই আমজনতাকে চিন্তা করে করা মন্তব্য, কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। বাংলাদেশ এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সোশাল মিডিয়ার জ্বরের এই জীবানু এখনো পর্যন্ত বহুলাংশেই শহুরে জীবনের প্রতিচ্ছবি!
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল ক্রান্তিকালীন সময়ে সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমগুলো গঠনমূলক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণ সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আমাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বের দাবীদার, যা কিছু ভাল তার সাথে চলবার প্রত্যয় ব্যক
অবশেষে কর্ণ আর অর্জুন মুখামুখি...
সতেরা নম্বর দিন শেষ বিকালে বিনা ঘোষণাতেই দুইপক্ষের সকল অস্ত্র থাইমা যায়। কেউ কাউরে মারে না; সকলে দর্শকই হইয়া আইসা খাড়ায় দুই যোদ্ধার লড়াই দেখতে...
প্রোফেসর মোতালেবের ডায়েরীটা আমার হাতে কিভাবে আসে সে এক লম্বা কাহিনী। সে গল্প না হয় আরেকদিন বলা যাবে। শুরুতেই বলে রাখি তার ডায়েরী লেখার স্টাইল অনেকটা প্রোফেসর শঙ্কুর মতো হলেও প্রোফেসর মোতালেব মোটেও প্রোফেসর শঙ্কুর মতো নন। তিনিও একজন বিজ্ঞানী তবে পরিপূর্ণ হালাল বিজ্ঞানী। তিনিই পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী যিনি ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে এক করে বিজ্ঞানকে পূর্ণতা দিয়েছেন। তার বড় বড় আবিষ্কারের মধ্যে খেজুর পিল (জেনেটিক্যালি মোডিফাইড খেজুর, একটি খেলে এক মাস না খেয়ে থাকা যায়), তাবিজ ওয়ার্মার (একই সাথে তাবিজ এবং বডি ওয়ার্মার। পরে থাকলে ভুত প্রেত শয়তান ও শীত দূর হয়ে যায়), এসিড পড়া (পানি পড়ার মত মত করে এসিড পড়া হয়। দুই চামুচ এসিড পড়া খেলে দাদ,খাঁজ-খুঁজলি, অর্শ, ভগন্দর, চর্মরোগ, ক্যান্সার, এইডস ও ইবোলা সহ সকল জানা অজানা রোগ বালাই দূর হয়ে যায়), ঢিলা কুলুখ বোমা (প্রচণ্ড শক্তি সম্পন্ন ঢিল আকারের আণবিক বোমা যেটা পকেটে নিয়ে ঘুরা যায়। মন্ত্র বলে ছুড়ে মারলে একই সাথে শয়তান ও দুষ্টু মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়), নাস্তিক বন্দুক (তাক করে গুলি করলে গুলি শুধু নাস্তিকদের গায়ে লাগবে। বিশ্বাসী হলে আঘাত না করে গুলি সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাবে), গেলমান রোবট (সেবা শুশ্রূষা করার জন্য রোবট। ঠিক কি কি সেবা করতে পারে তা প্রোফেসর মোতালেব গোপন রেখেছেন) অন্যতম।
#ইহা সহিহ ব্লগ নহে। অসহিহ ব্লগ পড়ে উত্তেজিত হলে ব্লগার দায়ী নহে।
এই ব্লগটা বেশ কিছু পাইকারি টপিকে খুচরা চিন্তার ফসল। ভাষার ব্যাবহার জঘন্য।
ডিসেম্বরের শুরুতেই হাড় কাঁপনো শীত জেঁকে বসছে। আয়েসি মানুষগুলো দশটার আগে লেপ-কাঁথা ছাড়ে না। কিন্তু নজীর আহমেদ-এর মতো দিন মজুরদের অতবেলা করলে চলে না। সাত সকালে উঠেই মাঠের পথ ধরতে হয় রাতের বাসি পানি-পান্তা খেয়ে। শীত-গ্রীষ্মের সাথে নিত্য যাদের বসবাস, শীত তাদের কাবু করতে পারবে কেন। তাই কার কাছে উপহার পাওয়া ছেঁড়া ট্রাক-স্যুট পরে তিনি বেরিয়ে পড়েন মাঠের উদ্দেশে। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারলেন না। অতিকায় একটা পাখি পড়ে আছে ক্ষেতে মাঝখানে। নজীর আহমেদ ছুটে গেলেন পাখিটার কাছে। না, মরেনি পাখিটা। জীবন্ত। অসুস্থ্। উড়তে পারছে না। এতবড় পাখি কখনও দেখেননি নজীর। শুধু নজীর কেন, গাঁয়ের কেউ কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। কাজ ফেলে পাখিটাকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন নজীর। ডাকলেন ডাক্তার। পশু ডাক্তার নয়। মানুষের ডাক্তার। তাও আবার হাতুড়ে। নাপা-টাপা মিলিয়ে কয়েকটা মানুষের ওষুধ খাইয়ে দিলেন ডাক্তার। দিলেন কয়েকটা ইনজেকশনও। অবাক ব্যাপার তাতেই কিছুটা সুস্থ্ হয়ে উঠল পাখিটা