যেহেতু আজ বৃষ্টি হয়নি আর অফিস থেকে বেরুতেও দেরি হয়েছে তাই অনেকটা হালকা চালেই ওঠা সম্ভব হয়েছে বন্ধু পরিবহণে। শাহজাদপুর বাস স্ট্যান্ডের টং দোকান থেকে প্রাণ ডাল ভাজার প্যাকেট কিনে নিয়ে অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতেই বাসে উঠা গেলো। যদিও বাসের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকার ভবিতব্যকে বদলে দেয়ার মতো বড় কোনো অঘটন শহরটাতে ঘটেনি বলে দাঁড়িয়েই থাকতে হলো। তবু যেহেতু বৃষ্টি হয়নি আর ভদ্রস্ত অফিসগুলো আগেই ছুটি হয়ে গেছে তাই এখন পর্যন্ত কেউ পা মাড়িয়ে দেয়নি। এমনকি ভীড়টা এতোটাই সহনীয় যে, আমি ডালভাজার প্যাকেটটা খুলে খাওয়া শুরু করার আশায় একটু পরপর নেড়েচেড়ে দেখছি। মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখছি চারপাশ। সবকিছুকেই ধীর মাধুর্যমণ্ডিত মনে হচ্ছে। এই মনে হওয়া অবশ্য বন্ধু পরিবহণের থেমে থাকার কারণেও হতে পারে। শাহজাদপুর থেকে উঠার পর এটি বেশিদূর আগায়নি। বাসের ড্রাইভার জানালা দিয়ে মুখ বের করে উদাস মনে বসে আছে।
[justify]
[justify]
১৭ এপ্রিল ২০১৫।
বাসা থেকে বের হয়েছি সকাল সাড়ে সাতটায়। বৈশাখের আজ চতুর্থ দিন। গত চারদিন প্রচন্ড গরম, কড়া রোদ নেই অথচ চড়া তাপমাত্রা, বাতাস নেই- হাসফাস লাগে আমার। অথচ আজ এই সকালবেলা, বৈশাখের চতুর্থদিনের সকালবেলা হেমন্তের সকালের মতোই স্নিগ্ধ ও মায়াময়- হালকা কুয়াশার মতো চারদিক, ঘাসের ডগায় একটু শিশির।
ব্যানার: স্যাম
১.
বুকে শ্বাপদ মুখে তোদের অহিংসা অছিলা
এবার তবে করবি তো আয়
আমার মোকাবিলা[শপথ, সলিল চৌধুরী]
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ইতিহাসে তাই এই সালটিই শুধু নয় এর সাথে জড়িত ছোটো বড় সব ঘটনারই রয়েছে এক স্মরণীয় ভূমিকা। এর বিরুদ্ধ পক্ষের জন্য আমাদের চরম ঘৃণার পাশাপাশি পক্ষে থাকা মানুষদের জন্য অপরিসীম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানানোটাই শেষ কথা না। বরং তাঁদের সবার ভূমিকা, তা যত গৌণই হোক না কেন লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরী ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এক্ষেত্রে যত
কিছু লোক ওঁত পেতে থেকে আচমকা শেয়ালের পালের মতো চড়াও হয়েছে সন্তানবাহী মায়ের ওপর, উপস্থিত যুগলের ওপর। কয়েকজন ঘিরে রেখেছে শিকারকে, কয়েকজন তাদের জামা টেনে ধরেছে। সাহায্যের জন্য করা আর্তচিৎকার শুনে যাতে কেউ এগিয়ে না আসে, সেজন্য ভুভুজেলা বাজিয়ে আর্তনাদ চাপা দেওয়া হয়েছে।
"গিয়াছিনু সরোবরে স্নান করিবার তরে
দেখিয়াছি একজন অপরূপ কামিনী
চক্ষুমুখ পদ্মছন্দ কিবা ছন্দ কিবা বন্ধ
নিলাম্বরে ঝাঁপে তনু মেঘে যেন দামিনী।।
ঈশ্বর সহায় হন দূতী মিলে একজন
এইক্ষণে তার কাছে যায় দ্রুতগামিনী।
যত চাহে দিব ধন দিব নানা আভরন
কোন মতে মোর সঙ্গে বঞ্চে এক যামিনী।।" (ভারতচন্দ্র রায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি)
[আমি যে আজ সচলে কিছু একটা লিখতে যাচ্ছি এর কোনো দায়-দায়িত্বই আমার না, সকল দায়-দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিবেন আয়নামতি এবং ষষ্ঠ পাণ্ডব। ওনাদের সাথে আমার পরিচয় গুডরিডস সূত্রে এবং কিছুদিন ধরে আমি ওনাদের ঝাড়ির উপরে আছি এবং ওনাদের ঝাড়ি খেয়ে আমার বোধোদয় ঘটায় (কারো কারো মতিভ্রম ও মনে হতে পারে) ব্লগে পোস্ট করছি। এটি একটি বুক রিভিউ। যা আমি গুডরিডসে লিখেছিলাম তার সামান্য পরিবর্তিত ভার্সন।]