(আঞ্চলিক ভাষা সংযুক্ত করে অশেষ কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন টিউলিপ এবং নীল কমলিনী)
----------------
জয়তুন বেওয়া দুই হাতের ওপর ভর করে হেঁচড়ে হেঁচড়ে আবার মাটির ডিবির সামনে দাঁড়ায়। মাটির গায়ে হাত বুলাতে বুলাতে বলেন তুমার দুক্কু লাগতাসে গো চাষার ব্যাডা? হেয় নাকি মাফ চাইব। রাজার সোয়ামী রে বলে হে মারছিলো? রাজায় মাফ কইরবার কেডা?
জয়তুন বাড়ির পথ ধরে। আলী হোসেন ডেকে বলে ও হেসরি বেডি, বিচার শুইন্না খুশী হইছুনি?? হেঁচড়ে হেঁচড়ে চলে তাই গ্রামের লোকেরা বলে হেসড়ি বেটি।
গত সপ্তাহে মধ্য-জার্মানীতে ভূতুড়ে আবহাওয়া। এই রোদ এই বৃষ্টি এই তুষার। সেই তুষার আবার মাটিতে পড়তে পড়তে জল। রোদ একটু উঁকি দিতে না দিতেই অশ্লিল মেঘ। পরশু রাত থেকে একটু একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকে দুপুরে বেশ ভালো। শীত থেকে পোলভোল্ট করে গ্রীষ্মে না গিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন বসন্ত পাওয়া যাবে আশা করার মত।
১.
আমি যদি ভুল করেও কখনো বলি, আজ আমার ভাল লাগছে না, তবে সবাই আমার ভাল না লাগার একটাই কারণ ধরে নিয়ে আমাকে স্বান্ত্বনা দিতে থাকে। খুব শুভাকাঙ্খীর মতো আমাকে বোঝাতে থাকে, এসব কষ্টের গল্প সব মায়েরই কম বেশি থাকে আর সময়ের সাথে সাথে পুরনো ক্ষত সেরে যায়। আমাকে নিরুত্তর দেখে তারা নিজের দায়িত্বে গাফিলতি হচ্ছে ভেবে শেষ পর্যন্ত শেষ বুদ্ধি বাৎলে দেয়, সুরভি তুমি ব্যস্ত থাকো। কেন যেনো সব কিছুর পরও এই একটা উপদেশ আমার
[একটু ভূমিকা করি। এই সিরিজে আমি মূলতঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের অপারেশান সমূহে ভূমিকা রাখা কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। আমি অল্প কজন মানুষের আত্মবিসর্জনের কথা জানি। কিন্তু সারা দেশে এরকম আরো কত লক্ষ মানুষ তাদের জীবন দিয়েছেন। তাই আমি চাই এই সিরিজে আরো কেউ কেউ যুক্ত হোক। এই সিরিজে যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারে, করলে ভালো হয়, করা দরকার। কেননা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মুক্তিযুদ্ধের ছোট
গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্ট রোড এবং কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থলে বাসগুলো সুযোগ পেলেই ইউটার্ণ নিয়ে অনেক খানি রাস্তা কমিয়ে ফেলে। নয়তো বনানী ১১ থেকে বাঁক নিয়ে সেই মহাখালি ফ্লাই-ওভারের নিচ থেকে ঘুরে এসে কচুক্ষেতের রাস্তায় ঢুকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই করার কথা। গতকাল বাসটা সুযোগ পাওয়ার পরেও যখন ট্রাফিক আইন না ভেঙ্গে সেই মহাখালি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে গেল তখন বাসের প্রতিটা যাত্রী ক্ষেপে উঠলো। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আক্রমন করা হয় বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে। বাংলা ভাষায় সর্বনামের তিনটি রূপ থাকায় মানুষের জন্য রাগ বা ঘৃণা প্রকাশের কাজটি বেশ সহজ। প্রথমে আমরা বাস ড্রাইভারকে আপনি আর কন্ডাক্টরকে তুমি দিয়ে শুরু করি এবং এক সময় রাগ আর ক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে দুজন'কেই তুই বলা শুরু করি।
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
ভাষা: লিঙ্গায়েত নির্মানে একটি শক্তিশালী প্রপঞ্চ।
১।
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। একমাথা ঢেউ খেলানো এলোমেলো চুলের মেয়েটির বড্ড বকবকানীর স্বভাব। দিনভর তার অনাবশ্যক মুখরতায় সবার ক্লান্তি আসে। মা-ঠাম্মা বলেন, সে কথা বলতে শেখার পর থেকে শুধু কথা বলে যেতেই শিখেছে, চুপ থাকতে শেখেনি একটুও। ঠাম্মা বলেন, বালিকার বাস কথার রাজ্যে, তাই ওকে চুপ করে থাকা শেখানোর চেষ্টা করেও লাভ নেই কোন। বালিকা কিন্তু আসলেই চুপ থাকতে চায়, ঝামেলা বাঁধায় গল্পগুলো। শহর থেকে বাড়ি আসবার সময় মায়ের জন্য বাবার কিনে আনা লাল পেড়ে সুন্দর শাড়ীটার গল্প, বড়দি-দাদার বইয়ের 'কাজলা দিদি'র গল্প, রোজ সন্ধ্যায় 'ঠক্কে' বলে ডেকে ওঠা বাড়ীর সামনের আঙিনায় বুড়ো অশ্বত্থের কোটরে লুকানো সেই তক্ষকের গল্প; আরো কত কত...। সেসব গল্প সবাইকে না বলে তার চলতে চায় না একটুও,পেটের মধ্যে এত্ত কথা জমিয়ে রেখে তার ঘুম-খাওয়া-খেলা কিচ্ছু হতে চায় না। কিন্তু তার কথা শোনার মত নিঃসংশয় এবং আগ্রহী শ্রোতা তার মেলেই না দিনভর। সে অপেক্ষায় থাকে, সন্ধ্যের।
জীবন চলছে, ভাল ভাবে চলছে না খারাপ ভাবে চলছে তার বিচার করিনা। যেমন চলছে চলুক, যা হবে দেখা যাবে টাইপ একটা ব্যাপার এসে গেছে। এ্যামবিশনের খ্যাতা বালিশ পুড়িয়ে সেটার ছাই গাঙের পানিতে ভাসায় দিয়ে মোটামুটি নির্ভার আছি। টুকটাক বই পড়ি, আর অবসরে একটা গেম খেলি, মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলি। ২ মাসের মধ্যেই জীবনে আরেকটা বিরাট পরিবর্তন আসবে, ব্যাপক টেনশনের ব্যাপার স্যাপার, তাই সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিচ্ছি বেশি করে। ঘুমাল
১.
"কিছু মানুষ আছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা কখনোই কাছাকাছি হয়না। দূরত্ব বজায় রেখে সহানুভূতি প্রকাশ করতে চায়। সমস্যা হলো আমি সহানুভূতি গ্রহণ করিনা; নিজ সমস্যাগুলো আমি নিজেই মোকাবেলা করবার চেষ্টা করি। আমার পরিস্থিতির কারনে কেউ আমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে না পারলে সমস্যা নেই এবং সহানুভূতি দেখানোর প্রয়োজন নেই। I hate sympathy." -- ওয়াশিকুর বাবু, ২২ মার্চ ২০১৫।