ঘুম থেকে উঠি, হাত মুখ ধুই
কফির কাপ হাতে নিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করি
স্ক্রিন জুড়ে দেখি রক্তাক্ত মগজ
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারগুলো একে একে বদলে যায়
কেউ কেউ অভিজিৎ রায় হয়, কেউ রাজীব, কেউ বাবু, কেউ বিজয়
কেউ বা মাজল মি নট, কেউ শুধুই অন্ধকার।
ছোট কেউ মরলে একটা স্ট্যাটাস পয়দা করি
বড় কেউ মরলে আস্ত একটা ব্লগ
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে হুঙ্কার দেই, কলম চলবে
লাইক, শেয়ার আর কমেন্ট আসে নগদে
পাঠক জীবনে লেখক কৃষণ চন্দরের কোন ধরণের লেখার সাথে পরিচয় ছিলো না এতকাল। ফলে কোন ধারণাও ছিলো না লেখকের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম নিয়ে। গত বইমেলায় নানান স্টলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে একটা আনকোরা লেখকের অদ্ভুদ সুন্দর নাম চোখে পড়লো। বইটির নাম দেখেই পছন্দ হলো, কি সুন্দর নাম ‘আমি গাধা বলছি’, তাই কিনে ফেললাম। নাম দেখেই এইটুকু বুঝেছি এটা স্যাটায়ার ধর্মী কোন লেখা হবে। কিন্তু সেই স্যাটায়ারের পরিধি যে এত ব্যাপক হ
আপনার সাথে দেখা হয়েছে অনেকবার
অফিসে, রাস্তায়, ছাপাখানায়, মিছিলে
আপনি কথা বলতেন নির্ভয়ে, স্থিরতায়
আমার অপরিসর খুপড়িতে লাল চা
হয়েছিলো কোন একদিন, বাঁধাই ঘরের
সামনে দাঁড়িয়ে খুনসুটি করেছি, কার
কাজ আগে করানো যায় তার জন্য
তাড়া দিয়েছি মলাট মাল্লারকে
মিছিলে মিশে যাওয়া মুখে আপনি
ছিলেন, ছিলাম আমিও। চিৎকারে
অনভ্যস্থ আমাদের গলা ভেঙে গেলে
ফুটপাতের আদা চা’য়ে ভাগ বসিয়ে
সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আরেক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনন্ত বিজয় মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ব্লগার অনন্তের প্রকাশিত চারটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন তিনি।
আজ সকালে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবেই খুন হন অনন্ত বিজয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি গওসুল হোসেন জানান, অনন্ত বিজয় দাশ সকাল ৯টার দিকে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে শহরের দিকে আসার সময় হামলার মুখে পড়েন।
বরাবরের মতোই আগে থেকে ওত পেতে থাকা চারজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার গল্প
মৌটুসী বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরিয়েছে কিছুদিন হলো। তার পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়ে গেলেও ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পরের সেমিস্টারে যেতে হচ্ছে তাকে। প্রায় ছয় মাসের এই সময়টুকুতে একটা চাকুরী করতে চাচ্ছিল সে।
তিন বৎসর পর ওদের ভর্তির টাকা জমা হলো। ওরা ভর্তি পরিক্ষায় উৎরে গেল। শুরু হলো নতুন যুদ্ধ। আমার বাসায় কখনো গৃহ শিক্ষক রাখা হয়নি, কখনো ওদেরকে কোচিং করাই নি। তবুও ওরা মেধা স্থান দখল করতো, বৃত্তি পেতো। আমি রাত জেগে ওদের জন্য নোট করতাম, তার পর যখন নোটে চোখ বুলাতাম সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। পাবলিক পরীক্ষায়ও ওরা সব চেয়ে ভাল রেজাল্ট করেছে। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ওদেরকে আনন্দময় শৈশব দিতে পারি নি। একটা গল্পের বই বা খেলনা পাবার জন্য ওদেরকে মেধা স্থান দখল করতে হতো। পছন্দের টিফিন খাবার জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। কারন সপ্তাহে একবারই ওরা টিফিনে টাকা পেতো।