১.
আবুল হাবুলকে বলে-“গালে থাপড়ায়া হুতায়ালামু।”
হাবুল চেতে গিয়ে বলে-“দেখ্ না মাইরা”
আবুল হাবুলের গালে চটাস করে চড় মারে। চড় খেয়ে হাবুল ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে। বলে-“পারলে আমগো বাড়ির সামনে আইয়া মার।”
আবুল বলে-“চল্”
দুজন মিলে হাবুলের বাড়ির সামনে যায়। হাবুল চোখ রাঙিয়ে বলে-“এইবার মেরে দেখ্।”
স্তব্ধ চারিদিক,ঘন কুয়াশা
পীচ ঢালা রাজপথ ধরে আমি হেঁটে চলেছি একা একা ।
খোলা চুলগুলো উড়ছে, হিম শীতল ঠাণ্ডা হাওয়া
অদ্ভুত সুন্দর কিছু মুহূর্ত,অস্পষ্ট কিছু ভাল লাগা ।
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা আধো আলো আধো ছায়া ;
গন্তব্যহীন পথ ধরে আমার এ হেঁটে চলা ।
ঐ শিশির ভেজা নরম ঘাসের চাদরে ,
আমার কত স্মৃতি পরে রয়েছে অনাদরে ।
মনের পর্দায় উঠল ভেসে, আমার শৈশব ;
কিশোরী মনের লাজুক স্বপ্নে ঘেরা আমার কৈশোর ।
বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
বাবা-মার ভীষণ আদরে বড় হয়েছি আমরা দুই বোন। আমি বড়। বৃহত্তর পরিবারের সব বোনদের মধ্যেও আমি বড়। ছোটবেলায় অসম্ভব চুপচাপ ছিলাম। আমার তিন বছরের ছোট বোন ছিল ঠিক তার উল্টো। মার কাছে আমাকে প্রায় ঘেঁষতেই দিত না। ভীষণ জেদ ছিল ওর। খাওয়া, পড়া কোনো কিছু নিয়েই সে কথা শুনতে চাইতো না। ওর আবদার নিয়ে আমার কর্মজীবি মাকে হয়রান হতে দেখে আমার খারাপ লাগত। তাই ৪-৫ বছর বয়স থেকেই সবসময় চেষ্টা করতাম, যেন আমার কারণে মা-বাবাকে
এটি যতটা না লেখা তার চেয়ে বেশি হল শব্দ করে চিন্তা করা। আমার সমস্যা হল নারী, জেন্ডার ইস্যু, সমাজবিজ্ঞান এসব বিষয়ে আমার কোনো পেশাগত প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা নেই, তবে আমার সৌভাগ্য হল আমার মা, বোন, জীবনসংগী সবাই স্বাধীন স্বাবলম্বী নারী। কাজেই আমার সঙ্গগুণ আছে। আমি সম্প্রতি প্রথম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইটি উল্টে পাল্টে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এটা পড়ে কি আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী আছে তার
আজ বৃহস্পতিবার। ভোটের দিন। কোনো উৎসব উৎসব ভাব নেই। হাঁক-ডাক নেই। গাড়ি-ভেঁপু, চিৎকার, চেঁচামেচি কিছু নেই। ঘুম ভেঙে ওঠে চার-পাশ দেখে বিশ্বাস হয় না আজ ভোট। কম্পিউটারে বারের নাম দেখি। ৭ মে, বৃহস্পতিবার। হুমম... আজই তো ভোট।
কেমন আছে বাংলার নারীরা? কিশোরী থেকে যারা তারুণ্যে এসেছে, তারুণ্য থেকে যারা পূর্ণ যৌবনা হয়েছে, হয়েছে কারও প্রেয়সী, হয়েছে কারও স্ত্রী তারপর একদিন হয়েছে মা। কেমন আছে সব কন্যা-জননী-জায়া-রা? কেমন আছে তারা নিভৃত গ্রামে কেমন’ই বা আছে শহরের চারদেয়ালের বদ্ধ ঘরে? স্ব-সম্মানে আছে তো কর্মজীবি নারীরা, নিজের অধিকারটুকু নিয়ে ভালো আছে তো গৃহিণী-রা?
(১)
যোগ্যতা...
==============
রেজা সাহেব আজ খুব খুশি।
একটি প্রথম সারির কর্পোরেট অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। মানুষ হিসাবে তিনি বেশ হাসিখুশি- অধীনস্থদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। সবাই জানে মধ্যবয়স পার হয়ে যাওয়া এই লোকটি কাজপাগল- নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন এই শাখাটা। অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে এই শাখাটি গিয়েছে। কিন্তু গত এক বছরে এই শাখাটি যেভাবে পারফর্ম করেছে সেটা অবিশ্বাস্য। এর পেছনে যেমন সবার পরিশ্রম আছে তেমনি আছে একটি মেয়ের অসাধারণ ডেডিকেশন, অক্লান্ত খাটুনি, আর বুদ্ধিদীপ্ত কিছু ডিসিশন।
॥এক॥
মেঘবতীদের ভেজা চুল যখন জলের ভারে ভরে ওঠে, সে চুল শুকাতে তখন তারা নেমে আসে রকি মাউন্টেনের উপর। একসাথে তারা মেলে দেয় তাদের চুল, দূর থেকে মনে হয় যেন মায়ের শাড়ির জবুথবু আঁচল--এখনই ঝরঝর করে নেমে আসবে শ্রাবণ-ধারার মতো।
তারপর বৃষ্টি নামে। তার সাথে চলে সুর্যের লুকোচুরি। এই রোদ, এই বৃষ্টি--বৃষ্টির সাথে রোদ, রোদের সাথে বৃষ্টি।
ধন্যবাদ সচলায়তন কে। কত অজানা কথা, অজানা গল্প, অজানা ক্ষোভ জানতে পারছি। নারী হিসেবে আমি নিজেও যে বৈষম্যের শিকার একেবারে হইনি, তা ও না। কিন্তু সে গল্প আজ থাক।আজ বরং অন্য এক নারীর গল্প বলি।এক সাধারণ নারীর গল্প।অথবা..... অসাধারণ।