কখনও কোথাও কিছু লিখিনি , এই প্রথম এমন জায়গায় লিখবার জন্য বসলাম , ভাবিনি নিজের কথা কোথাও এইভাবে লিখতে হবে। শুরুতেই যেহেতু অনভিজ্ঞ তাই দোষত্রুটি থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি হয়ত সব গুছিয়ে বলতে পারব না।
অনেকখানি সাহস সঞ্চয় করে অনেকটা রাগ আর জেদের বসে কীবোর্ডের সামনে বসা এই ভেবে যে হয়ত আমি-ই শুধু এই অবস্থার শিকার নই।
এদেশে বর্ষা ঋতু বলে বিশেষ কোনো ঋতু নেই। তাই বোধহয় বৃষ্টি পড়ে ভীষণ রকমের দীনতা নিয়ে। একটুও ভালো লাগেনা এমন কৃপণতা। দেশের উদার অকপট বৃষ্টিধারা তখন তুমুল মিস করি! মেজাজ খারাপ করে বিচিত্র ভাবনা ভাবি এদের বৃষ্টির গরিবি দেখে। দেশটা বড়লোক হলে কী হবে! বাংলাদেশের মতো এদের আকাশ উদার হয়ে ঢালতে জানেনা। কাঁদতে শেখেনি তেমন মুদ্রায়। এদেশের বৃষ্টি মাটির সোঁদা গন্ধ নিয়ে ভাসতে- ভাসাতে জানে না!
স্যার অনন্ত জলিলের ক্ষত বিক্ষত হৃদয় প্রশ্ন করে, What is Love?
দুপুর বেলার চিক চিক করা রোদ্দুর আর শোঁ শোঁ হাওয়ার ভেতর দিয়ে হুলিয়া মাথায় নিয়ে একজন ছন্নছাড়া যুবক গ্রামে ফিরছে, মনে তার সহস্র প্রশ্নের ঝাঁক ঘুরছে অবিরত, কেউ তাঁকে চিনতে পারছে কি পারছে না, না কোন রাজনৈতিক নেতা, না কোন পরিচিত সাধারণ জন। সময় এতটাই পাল্টে নিয়েছে তাঁকে, বিক্ষুদ্ধ, টালমাটাল, অসাধারণ, বিস্ফোরণ্মুখ, অগ্নিঝরা, গর্ভবতী সময়। সেই অসাধারণ সময়ের এককোণে খুব সাধারণ কিছু ঘটনা ঘটছে বারহাট্টার ট্রেনে
১.
পর্ব তিনঃ মাইক
নামঃ মাইক
বয়সঃ ৪৮।
জন্মঃ মিসর
নাগরিকত্বঃ মার্কিন
পেশাঃ ক্যাবড্রাইভার
শেখার নাকি কোনো বয়স নেই, তাই এই বুড়ো বয়সেও কোনোকিছু শিখতে আপত্তি নেই আমার। বেশ তো, নতুন নতুন জিনিস শিখব, নতুন নতুন কাজ করব আবার করতে করতেও এটা ওটা শিখতে থাকব-মন্দ তো নয়। কিন্তু কিসের কী, নতুন কিছু শিখতে গিয়ে দেখি পুরনো যা কিছু সঠিক বলে জেনে এসেছি আর ভালবেসে করে এসেছি, সে সবই ভুল! তাহলে আর শেখার আগ্রহ থাকে, বলুন?
বলি রে মানুষ মানুষ এই জগতে/ কী বস্তু কেমন আকার পাই নে দেখিতে।।
যে চারে হয় ঘর গঠন/ আগমেতে আছে রচন/ ঘরের মাঝে বসে কোনজন/ হয় তাই জানতে।।
এই মানুষে না যায় চিনা/ কী বস্তু কেমন জনা/ নিরাকারে নিরঞ্জনা/ যায় না তারে চিনতে।।
[লালন সাঁই]
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১.
মানুষের জীবনে ধারাবাহিকতা থাকাটা কি আবশ্যক? অথবা ধারাবাহিকতা কি স্বাভাবিক বিষয়? সিনেমায় দেখা নায়কের চরিত্রগুলো সম্পর্কে আমরা জানি ছেলেবেলা থেকেই যে ছেলেটা সুবোধ মানবিক দর্শনীয়, বড় হয়ে সেই ছেলেটিই সিনেমার মধ্যমনি। আর যে দুষ্ট ছেলেটি ছেলেবেলায় স্কুলের বন্ধুদের মেরে রক্তাক্ত করতো, বড় হয়ে সে ভিলেনই হয়। উপন্যাসেও একই জিনিস দেখি। নায়কের মধ্যে শুধুই সাধুতা, ভিলেনের মধ্যে কেবলই মন্দতা।
গরমের ছুটিতে দেশে ফেরার সবচেয়ে বড় আনন্দ মনে হয় বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন খাওয়া।
তিনু মাসি বাসায় আসা মানেই কোনো একটা উপলক্ষ আছে।
তাই মাসি “চল, নিমন্ত্রণ আছে।“ বলতেই মাথার ভেতর সানাই বেজে উঠলো। আহা, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, পোলাও। সুন্দর করে সেজে আসা... ইয়ে মানে, যাই হোক - বিয়ে বাড়ির মজাই আলাদা।
তো চটপট পাঞ্জাবি পরে রেডি হয়ে গেলাম।
কার বিয়ে? রিক্সায় উঠে জিজ্ঞেস করলাম।
ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি সকালটা একমনে বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে, কী মুগ্ধতা!
আবার কাল রাতে হঠাৎ দেখলাম এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে তীর
ছুঁড়ে যাচ্ছে কোন এক অদৃশ্য যাদুগর, তখন মনে পড়ে মার্টিন লুথার কিং
' অন্ধকার নেমে এলেই তবে দেখা যায় আকাশ জুড়ে ফুটে আছে তারার মেলা'।
বলিষ্ঠ পায়ে হেঁটে চলে যায় সময়, বৃষ্টি আর বসন্ত, রৌদ্র আর শরৎ