কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।
অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।
এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।
যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,
বিদেশ বিভুঁইয়ে এখনও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখা বাবা মাদের নিত্য যুদ্ধ লেগে থাকে বাচ্চাকে বাংলা ভাষা শিক্ষা দেবার, চর্চা করার। অনেকেই কিছুদিন লেগে থাকার পর হাল ছেড়ে দেন। কারণ ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উপাদান তো চাই। বিদেশে বাংলা বই এর অভাব, শিশু সাহিত্য তো আরও দুর্লভ। আর বাংলায় বাচ্চাদের টিভি অনুষ্ঠানের তো অস্তিত্বই নেই। নিজে ছানা পোনা ঘরে আনার আগে তাই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিলাম। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগাতে তাই সব রকম বাংলা শিশু সাহিত্যের বই জোগাড় করলাম। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার থেকে শুরু করে হালের হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল সবাই হাজির হলেন । ছানার আগমনের পর সেগুলো গুড়া বয়সেই তাকে পড়ে শোনাতে গিয়েই হলো বিপত্তি।
কারো কারো ক্ষেত্রে মারফি’স ল যে কতটা কার্যকর উদাহরণ হতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো অক্সফোর্ড রোডের সেলুনগুলো রোববার বন্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে। দু’তিন সপ্তাহের গড়িমসি শেষে যখন সময় এবং সম্মতি দুটোই জুটলো ওদের বাবা ছেলের কাকের বাসা, বাজারের ঝাঁপিসম চুলগুলো ভদ্রস্থ সমাজোপযোগী করার, ঠিক সেদিন মাইলকয়েক পথ হেঁটে এসে জানা গেলো গুণেগুণে কেবল সেলুনগুলোই আজ বন্ধ থাকবে, যদিও আশেপাশের অন্য সব দোকান বহাল তবিয়ত
মদের বোতল থেকে
বেরিয়ে এলে মনে হয়,
পৃথিবী দুলছে!
জানপ্রাণ বাজি ধরে,
টলতে টলতে মানুষ ও ধ্বংস
লড়ছে কুস্তি-
মদের ভেতর
এই সব নাই, সানজিদা ও আমি
এখনো খুব ভালো বন্ধু, হাত ধরে
কার্জন হলের লনে হেঁটে বেড়াই, আঙুল কেটে
চিঠি লিখি-
রক্তের সেই সব অক্ষর
যতো পুরোনো হয়
নেশার বুদ্বুদ বাড়ে, মনে হয় জাতিসংঘের
শান্তি এসে জড়ো হচ্ছে
ক্রমাগত
বেরোলেই ভয়,
লাল লাল চোখ করে
রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!
ব্যক্তিগত ডায়েরী টাইপ লেখা বাদে আর কিছু লিখছি না আজকাল। তৃতীয় পক্ষের সমালোচনা বিষয়ক কিছু নিয়ে লেখালেখি বিপদজনক হয়ে গেছে, যদি সেই পক্ষটি অর্থ- বিত্ত কিংবা রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক হয়। এছাড়া ২০১৩ সালের পর অনেক কিছু বদলে গেছে বাংলাদেশে। তার আগ পর্যন্ত মোটামুটি স্বাধীনভাবেই ‘যা খুশী’ তা নিয়েই কিবোর্ড চালাতাম। তারপর থেকে কলমের বিপক্ষে চাপাতি এসে এমন এক সতর্ক যুগ নামলো যে, যাই লিখি তার আগে সাড়ে দশবার ভাবি
১.
আগে অফিসে যাওয়ার সময় দুই ভাই-বোনই বায়না করতো, মা, অফিসে যাবো। চকলেট বা নসিলা দিয়ে শান্ত করতাম। মাঝখানে কিছুদিন হেল্পিং হ্যান্ড নাই। স্টাফের কাছে থাকা, বাবা-মার ছটফটানি। ব্যাপক স্বাধীনতা। দুপুরে লাঞ্চে এসে দেখি বাসা আমার জঙ্গল। বকাবকি, হুলস্থূল। এরপর আমার ছেলের কাতর প্রশ্ন, মা অফিসে যাও না ক্যানো? কখন যাবা? দুষ্টামি করবো।
২.
প্রভু নামেই তাকে সবাই চেনেন। জানেন। পরিচয়ের প্রথম ক্ষণ থেকেই আমরা দেখেছি- ছোট বড়, প্রখ্যাত-অখ্যাত, জ্ঞানী-মূর্খ, রাজা-ভিখিরী সবাই তার সমান সঙ্গী। প্রভুকেও সবসময় কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে ‘প্রভু’ আর ‘আপনি’- বলে সম্মোধন করে সমান সম্মান করতে দেখেছি। তার সঙ্গ আমাদের কাছে ছিল চোখের ওপর থেকে একটা পর্দা সরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার মতন। এর ফলে জীবন এবং প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ আরও স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়।
[justify]প্রবীর সিকদারকে জেলহাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড চাইলে সেই আবেদনের শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করে তাঁকে জেলে পাঠান আদালত। আজ এই শুনানী হবে।
The most dramatic of Mom’s lessons, came one Sunday afternoon. One of our cats was behaving in an odd way. Mom had us all sit down by the cat while she explained the process of birth. After all the kittens has slipped safely out of the mother cat, Mom explained in great detail the wonder of life.from A Child Called 'It'