আমার আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবিতে গত তিরিশে অগাস্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের প্রশ্রয়ে আমার প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর যে শারীরিক হামলা করা হয় তাতে আমি ভয়াবহ ক্ষুব্ধ। আমার ক্ষোভের কারণ দুইটি - প্রথমত: এটি একটি ভয়ংকর অন্যায় যেটি হওয়ারই কথা ছিল না। দ্বিতীয়ত: এরকম ঘটনা শাবিপ্রবিতে এই প্রথম ঘটেনি। নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা এই পরিবেশটি অব্যাহত রাখছে বছরের পর বছর।
কার্ল সেগান কসমস সিরিজের যাত্রা শুরুতেই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। সাইনটিস্টদের আড্ডায় ঠাট্টা- মশকরার পাত্র হয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্স বা কসমোলজির সাধারন ব্যাপারগুলো নিয়ে টিভি শো করা, তখনকার দিনে আড়াই মাসের বাচ্চাকে পোড়া লঙ্কার চটপটি খাওয়ানোর মতই। সেগান কিন্তু পিছপা হননি। ঠিক তার বাদামী জ্যাকেটটার ধুলো ঝাড়ার মতই, ঝেড়ে ফেল দিয়েছিলেন হাসি-তামাশা গুলো।
আমরা যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিলাম দুইজন। তবে কোন একটা যুক্তিতে আমরা তৃতীয় আরেকজনকে ঠিক করলাম আমাদের সাথে যাবার জন্য। টিকেট কাটার সময় তাই তিনজনের জন্যই একটি করে মোহনগঞ্জের শোভন চেয়ারের সিট বরাদ্দ হলো। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি যেকোন যাত্রার ঠিক পূর্বমুহূর্তে একটা ঝামেলা তৈরি হওয়া একটা নৈমিত্তিক বিষয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘন্টাখানেক আগে তৃতীয় ব্যক্তি যাবেনা বলে আমাদের অবহিত করলো। অর্থাভাব
২০১৪ সালে অন্য একটি ঘটনায় সচলায়তনেই আমি একবার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে একটি লেখা দিয়েছিলাম। সেবারের মত এবারও চিহ্নিত করার সাহসী কাজটি করেছে আমার কিছু বন্ধু যারা এসব ব্যাপার আরো বিস্তারিত জানে। আমি শুধু মাত্র এখানে পোস্ট করছি।
ছবি ১:
এক জ্ঞানী লোকের পশ্চাৎদেশে একবার ইয়া বড় এক ফোঁড়া হল। বেচারা কোথাও গিয়ে বসতে পারেনা। শিষ্যরা তাকে বসার জন্য কাঠের চেয়ার এনে দিলে সে বলে, এইভাবেই দেশের সমস্ত কাঠ কেটে ফেলা হচ্ছে। বন জঙ্গল উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। মানিনা মানবো না। কাঁচুমাচু হয়ে শিষ্যরা ষ্টীলের চেয়ার এনে দিলে বলে, এইভাবে ষ্টীল মিল বানিয়ে দেশ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। কলকারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিক দূষিত করে ফেলছে। মানি না
“এই রূপক ভাই, উঠেন। আরে মিয়া উঠেন না। যমুন সেতু চইলা আইসে তো।“
ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে চোখ খুললাম। কিন্তু কিছু বলতেও পারলাম না। বেচারা এই প্রথম এত কাছ থেকে যমুনা সেতু দেখছে, ওর উৎসাহে পানি ঢেলে দেওয়ার তো কোন মানে হয় না।
আগেই বলে রাখি, লেখাটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে নয়। যদি ভাবেন এখানে লেখা হবে আইনস্টাইন তার রিলেটিভিটির অঙ্ক করার আগে বা হাতের আঙ্গুল কবার মটকাতেন, বা ফাইনম্যান নিউক্লিয়ার বোমার অঙ্ক কষার আগে ক’বার ডিগবাজি দিয়ে নিতেন, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এই গল্পের বিজ্ঞানীরা এখনো নিতান্তই সাদামাটা, পিএইচডি ধারী, বা পিএইচডি করনেওয়ালা ছাত্র (ভবিষ্যতের ফাইনম্যান-ম্যাক্সওয়েল আরকি!)।
চলমান ছাত্রজীবনে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে , এটা তারই একটা খিচুড়ি মিক্স। যথারীতি, ঘটনা-তথ্য সত্য, নামগুলো বদলে দিয়েছি।