ঘোড়াটির রং ছিল দুধ সাদা
শুধু লেজের দিকটা নীল
খেত সে যাই পেত এক গাদা
চিনি, চাল-গম-ভুসি তিল |
এক প্রত্যুষে সব ছেড়ে দিল
পেট ফুলে তার ঢোল
ডাক্তার এলো, হেকিমও জুটিল
হায় সেকি শোরগোল |
কেউ বলে গ্যাস কেউ কয় বায়ু
সকলেই হিমশিম
এই বুঝি শেষ হয় তার আয়ু ,
এই যা: এযে ডিম !
বাহিরিয়া এলো ডিমখানি ফেটে
উদ্ধত নব প্রাণ
সবি লেখা আছে সার্টিফিকেটে
ওটাই মোহামেডান |
কেয়া হাসছে, ওর দারুণ সুন্দর দাঁতগুলো সব দেখা যায়। কেয়া এমনিতেই অনেক সুন্দর, গালে টোল না পড়লেও ওর হাসিটা চমৎকার। উল্টোদিকের চেয়ার থেকে আমি কেয়ার হাসি দেখি, এক নজরে তাকিয়ে থাকার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি এদিক সেদিক তাকাই। রেস্টুরেন্টটা নতুন, এর আগে আসা হয়নি আমার। কাল সন্ধ্যায় কেয়া ফোনটা করেছিল বলে আজ আসা। বেশ সাজিয়েছে ভিতরটা, তার উপর নিরিবিলি।
আপডেট ২: বিশেষ বিবেচনায় শিশু অধিকার সপ্তাহটি আপাতত স্থগিত করা হলো। পরিবর্তী তারিখ শিঘ্রী ঘোষণা করা হবে। তবে অনুগ্রহ করে আপনারা শিশু অধিকার বিষয়ে লেখা চালু রাখুন।
------------------------------------------------
সাম্প্রতিক ব্লগার হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারের বিষয়টি মূল আলোচনা থেকে সরে যাওয়ায়, লেখার সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হলো। নতুন ডেডলাইন আগস্ট ২০, ২০১৫।
------------------------------------------------
প্রিয় পাঠক,
অতি সম্প্রতি সিলেটের শিশু রাজন এবং খুলনার কিশোর রাকিব হত্যাকান্ড সর্ম্পকে আপনারা অবহিত আছেন। এই দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিশু অবহেলা একটি নিত্যদৃষ্ট বিষয়। সচলায়তনে নারী সপ্তাহের আলোচনায় নারী ছাড়াও শিশু নিযার্তনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাই এ বিষয়ে আমাদের একটি উদ্যোগ নেবার ইচ্ছা তখন থেকেই।
ফেসবুক জগতটার সাথে তখন নতুন পরিচয় হয়েছে, দেশ-বিদেশের নানা মানুষের তোলা ছবি দেখি, তাদের শখের, রুচির প্রতিফলন দেখি ভার্চুয়াল জগতে। বিশাল সেই মহাসাগরের নানা মুখী স্রোতে আলতো ভাবে কারো কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, সেটা সময়ের সাথে আরও গাঢ় সম্পর্কে রূপান্তরিত হয়। শিশুকাল থেকে ডাকটিকেট সংগ্রহ করতাম, মূল কারণ ছিল নানা দেশের অধিবাসী এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা। পরে ভিউকার্ড থেকে পত্রবন্ধু হয়ে যখন বইয়ের
ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করতে করতে কার কার আঙুল ব্যাথা হয়ে গেছে আঙুল, থুড়ি হাত তুলুন। জি না, ভাববেন না রেস্টু করতে দিবো। ফিঙ্গার এক্সারসাইজও বাদ হবেনা। আরও বিভিন্ন রকমের এক্সারসাইজ আছে। তবে বিশ্বাস করুন, কিছু বিশেষ ধরণের এক্সারসাইজ আছে যেগুলো প্র্যাকটিস করলে কর্ড ধরতে অনেক বেশি সহজ হবে। খুব সহজেই স্কেল এর প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তাই বলি কি একটু কষ্ট হলেও এই এক্সারসাইজগুলো ভালো করে করুন, সবুরে মেওয়া ফলে আর ফিঙ্গার এক্সারসাইজে গিটারে সুর ফলে। তবে, একেবারেই হতাশ করছি না। এই পর্বে বিরক্তিকর ফিঙ্গার এক্সারসাইজের সাথে নতুন কিছুও থাকছে- নোট সার্কেল এবং প্রত্যেকটা তারের বিভিন্ন ফ্রেটের নোটের নামের চার্ট। ওহহো!! তার আগে তো জানানো দরকার গিটার টিউনিং কিভাবে করতে হয়...
হারপার লি’র টু কিল এ মকিংবার্ড পড়েছিলাম এইচএসসি পরীক্ষার পরপর। কালো মলাটের ছোটখাট পেপারব্যাকটা ফ্যান্টাসি বইপোকা এই আমার কাছে শুরুতে বেশ ধীরলয়ের লাগছিলো, কিন্তু একটু পর দেখলাম গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছি, ১৯৩০ এর আমেরিকান সাউথের ছোট শহর মেকোম্ব শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছি।
[justify]
১৯জুন। পহেলা রমজান। সকাল বেলা।
কাকৈলছেও, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
সেহরীর পর সামান্য কিছু সময় আমরা ঘুমিয়েছি। আটটার দিকে বের হই। আমি, নজরুল, তানিম ও ইলিয়াস। সামান্য পায়ে হেঁটেই নদীর পাড়ে আসি। কাল রাতে এসে পৌঁছে ছিলাম অন্ধকারে। এখন সকালের নরম আলোয় নদী দেখি, নদীবর্তী জনপদ দেখি। শেরপুর থেকে কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জ হয়ে এদিকে এসেছে ভেড়ামোহনা নামে। ভেড়ামোহনা নেমে গেছে আরো ভাটিতে। পেছন দিকে সুনামগঞ্জ, দিরাই হয়ে কালনী এসে মিশেছে। ভেড়ামোহনা ও কালনী মিশেছে আরেকটু ভাটিতে, সেখান থেকে মেঘনার মোহনা। ঐ মোহনা ধরে এগুলেই ভৈরব। আমর দাঁড়িয়ে আছি কাকেলছৈও লঞ্চঘাটের কাছে। একসময় কাঠের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিলো এইঘাট।
নদী এখানে বিশাল। ইলিয়াস তার পরিচিত এক ইঞ্জিন নৌকা নেন। ছোট্ট একটা নৌকা। মাঝি ও ইলিয়াস হালের কাছে বসেন, আমি তাদের সামনে দাঁড়াই। নজরুল ও তানিম সামনের দিকে। নৌকা ভাসে ভাটিতে, আমরা পশ্চিমে নামতে থাকি- যতো ভাটিতে যাই ততো নদী আরো প্রশস্ত হতে থাকে। কিছুক্ষন যাওয়ার পর নদীর বুকেই বিদ্যুতের খুঁটির লম্বা সারি দেখি উত্তর-পুর্ব কোনে। ইলিয়াসকে জিজ্ঞেস করি- কোন এলাকা? বলেন- জয়সিদ্ধি। ইটনা থানার জয়সিদ্ধি। বাংলার প্রথম র্যাং লার আনন্দমোহন বসুর বাড়ি, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ তার অবদান।
খ্রিস্টের জন্মের খোঁজ বাদার বাঘ রাখে না। খ্রিস্টের জন্মের আগেও সে গরানের শ্বাসমূলকে সচকিত করে নিঃসাড়ে নদীর জলে নেমে ওপারে কোনো হতভাগ্যের মাংসে দাঁত বসিয়েছে। বালথাজার, মেলকিওর আর গাসপার যখন বেতলেহেমের রাস্তা ভুলে হাঁ করে আকাশের তারা দেখছিলো, তখনও বাঘ শেষ রাতের অন্ধকারে নদীর ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের ছায়া ঠেলে অনায়াসে চড়াও হয়েছে এক তরুণ চিত্রলের ওপর। ক্যালেণ্ডার বাঘের কাছে বাহুল্য। বংশ পরম্পরায় বাদার বুক
আমার ছেলেটা বড়ই বোকা | আমি নিজে যে খুব চালাক চতুর সে দাবি করবনা | তবে এটি মনে আছে যে সাত বছর বয়েসেই শিখে গিয়েছিলাম কীভাবে ওমানের রংচঙে স্ট্যাম্প এর বদলে বুলগেরিয়ার সাদাকালো কিন্তু মহা মূল্যবান স্ট্যাম্প বাগিয়ে নেওয়া যায় | আসলে পাড়াময় অগুন্তি বাচ্চা কাচ্চাদের ভিড়ে রীতিমত খামচা খামচি করে বেড়ে উঠেছি আমরা, বোকা হবার সুযোগটাই ছিলনা | আমার ছেলেটা বেড়ে উঠছে একা, আত্মীয় পরিজনহীন পরিবেশে | ওর