Archive - 2015

July 18th

পথের গল্প

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: শনি, ১৮/০৭/২০১৫ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়ী চালানো শিখে ভার্জিনিয়ায় গাড়ী চালানো হচ্ছে ফাইটার বিমান চালানোর শিক্ষা দিয়ে রিকশা চালানোর মত ব্যাপার। ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় ৭০ মাইল স্পিড লিমিটের রাস্তায় লোকে অহরহই ৯০/৯৫ এ উঠে যাচ্ছে, রাস্তার দ্রুততম গাড়ী না হলে এই জন্য পুলিশ খুব একটা ধরেও না। কিন্তু ভার্জিনিয়ার গল্প অন্য, এমনিতে বেশিরভাগই মাত্র দুই লেনের রাস্তা, স্পিড লিমিটও ৬৫ এর বেশি খুব একটা উঠে না, আর পুলিশ স্পিড লিমিটের দশ উপরে উঠলেই প্রায় নিশ্চিত ভাবে টিকেট ধরিয়ে দেয়। আর ক্যাম্পাস টাউনে থাকি বলে শহরের ভেতরে বেশিরভাগ সময় ২৫ মাইলের আশে পাশে চালাতে হয়।


বিদেশে চাকুরী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্রমিক হিসাবে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা কালে তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারনে মেডিকেল টেষ্টে আনফিট হলে কেউ কেউ পরামর্শের জন্য আসে। আমি চিকিৎসা প্রসঙ্গের বাইরে একথা ওকথা আলাপ করি। অনেকের বেতন বাংলাদেশী টাকায় পনের-বিশ হাজার টাকা মাত্র। বলি, বউ বাচ্চা ফেলে বছরের পর বছর বাইরে পড়ে থাকবেন। এ টাকাতো দেশেও কামানো যায়। সে বলে কেমনে? কি কইরা? আমার কাছে অবশ্য জবাব নাই।


দাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধুর! তখন থেকে ওই বুড়োর দিকে নজর রেখেছে জলিল, বিরক্তি ধরে গেল প্রায়। কিন্তু বুড়োর চালচলনে কোনো পরিবর্তনের আভাস দেখতে পায় না ও। মাছটুকু কি বেচার ইচ্ছে নেই নাকি বুড়োর? মনে মনে বুড়োর উদ্দেশ্যে একটা গালি ছোড়ে জলিল। বাজারের এক পাশে এই টঙের উপর কি অল্প সময় বসে আছে ও? শুধু বসে থাকলেও হতো, বুড়োর মাছটুকুর দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে না? অন্য সব মাছের যা দাম রে, ভাই!


মিডওয়ের যুদ্ধ (শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিডওয়ের যুদ্ধ (শেষ পর্ব)

প্রথম পর্বের লিংকঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/54694

এখনও জাপানিদের পক্ষে যুদ্ধ জয় করা সম্ভব।

একমাত্র টিকে থাকা জাপানি ক্যারিয়ার হিরিয়ুর ডেক থেকে জঙ্গিবিমানের বহর উড়ে গেল।


ব্লগরব্লগরঃ আমাদের সময় - এক

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৮:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিটা জেনারেশনেই একটা 'বিশেষ সময়' থাকে, যেটাকে স্মৃতীচারণের সময় 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করা হয়। অনেক ঘেঁটে দেখলাম যে আসলে উদ্দাম কৈশরকালকেই সেই 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করতে আমরা ব্যাপক ভালোবাসি। প্রত্যেকটা জেনারেশনের কাছেই সেই সময়টা থাকে একটা ভিন্ন মাত্রা নিয়ে, সবার থেকে আলাদা। আমাদের সময়ে অমুক প্রচলন ছিলো, আমাদের সময়ে আমরা এইটা করতাম, ঐটা হতো ইত্যাদিকার কথায় এগিয়ে চলে স্মৃতীর পাতা।


July 17th

আমার ছাত্র বাপ্পী

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুয়েটে ভর্তির পর, প্রথম যেই টিউশানি পাই, সেইটা ছিল বাপ্পীকে পড়ানোর। কলাবাগানের স্টাফ কোয়ার্টারে ছোট্ট একটা দুই বেডরুমের বাসা, সেখানে যেয়ে আমি বাপ্পীকে পড়াতাম। বাপ্পী আমার এক বছরের ছোট, তখন তার ঢাকা কলেজে টেস্ট পরীক্ষার কিছু বাকী। প্রি-টেস্টে বা কোন একটা পরীক্ষায় প্রচন্ড খারাপ করার পরে ফিজিক্স আর ম্যাথ পড়ানোর জন্য শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।


কালবৈশাখী

সো এর ছবি
লিখেছেন সো [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবা মা চলে গেলে কিচ্ছু ভাল্লাগেনা বৈশাখীর। কত করে বলল, ভালো হয়ে থাকবে। তাও ওরা শুনলো না? তিনতলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। চারদিক কি সুন্দর হালকা ছাইরঙে ছেয়ে আছে , গাছের পাতাগুলো নড়ছেনা একদম। এমন একটা দিনে ঘরে থাকা যায়?


July 16th

প্রিয় ছবিদল - ১

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০১৫ - ৩:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনের বেশিরভাগ সময় কংক্রিটের জঙ্গলে কাটিয়ে দেওয়ায় মনের ভেতর একটা তৃষ্ণা কাজ করে। চারিদিকে এত সুন্দর প্রকৃতি, তার কিছুই তো দেখা হলো না ! তাই যখনই ছিটেফোঁটা সুযোগ পেয়েছি, উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে গেছি সবুজ, নীল, লালকমলা কিংবা সাদার সান্নিধ্য পেতে।


আমরাতো ভায়া "সিরিজ বিজয়", ছাড়া কিছু আর খাইনে!

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০১৫ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডেল স্টেইন নাকি বলেছিলো হেসে
"যাবোনাতো ঐ বাংলাদেশে
চুনোপুটিদের বিপরীতে আমি
হাতটা ঘুরাতে চাইনে!"
আমরা তো ভায়া "সিরিজ বিজয়"
ছাড়া কিছু আর খাইনে!

স্টেইনলেস দল, ব্যর্থ মিশন
দেখে আমাদেরও কষ্ট ভীষন
(যেচে পড়ে এক উইকেট দিয়ে)
"সেলামী ঈদের, ভাই নে"
আমরা তো ভায়া "সিরিজ বিজয়"
ছাড়া কিছু আর খাইনে!

ক্রমাগত কত চলিয়াছি বামে
কত বদনাম বাঘেদের নামে
হেরে যেতে যেতে শিখে গেছি আজ


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪৬: চোরকাঁটা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০১৫ - ১২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC00448
আষাড়ে ঝমঝম বৃষ্টি নামে। মাঝে মাঝে মেঘের পর্দা সরিয়ে উঁকি মারার চেষ্টা করে সূয্যিমামা। কখনও চেষ্টা ব্যর্থ, কখনওবা সফল। টানা বৃষ্টিতে মজাই লাগত আমাদের। স্কুল কামাই করার জন্য বৃষ্টি বিশাল এক ছুতো। কিন্তু প্রকৃতিও বোধহয় মা-বাবার পক্ষে থাকত। ঠিক দশটা বাজার আগে থেমে যেত বৃষ্টি। ছাতা হাতে ধরিয়ে স্কুলে ঠেলে পাঠাতেন মা। বৃষ্টিকে গালিগালাজ করতে করতে পথে জমা পানিতে পা ডুবিয়ে স্কুলে যেতাম। স্কুলের খেলার মাঠে পা দেওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টির প্রতি সেই ক্ষোভ অভিমান কোথায় ধুয়ে মুছে যেত! আমাদের মতো শিক্ষকেদেরও তো আলস্য আছে। তাছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষকই ভিনগাঁয়ের। তাঁদের আসতে দেরি হত। হয়তো বা সেদিন আর আসতেনই না। আমরা তখন ফুটবল নিয়ে নেমে পড়তাম মাঠে। বৃষ্টিধোয়া মাঠে তখন চোরকাঁটার বান ডেকেছে। গোটা মাঠটাই ভরে উঠেছে গ্রামীণ এই ঘাসফুলের গালিচায়।