পর্ব ১: আম্রিকা সমাচার
আম্রিকার ছোট শহরগুলোতে বসবাস করার অনেক অসুবিধার মাঝে একটি—যাতায়াতের সমস্যা। বিশেষত নিজস্ব গাড়ি ছাড়া এখানে চলাচল একেবারেই অসম্ভব। প্রথম ছ'মাসে তা বোঝা হয়ে গেছে।
শহরে আসার আগে তেমন একটা খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। এবং সে ভুলের মাসুল পরের ক'মাস দিতে হয়েছে। ভাগ্য ভাল যে বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছে।
সতেরো বছর আগে সোফিয়াকে যখন আমি প্রথম দেখি তখন সে ঘুমন্ত মায়ের পাশে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সারাহ রেস্তোঁরার পাশে অগ্রণী ব্যাংকের বন্ধ কলাপসিবলের সামনের ছায়াটুকুতে মা মেয়ের অস্থায়ী নিবাস। আর ঠিক সেই জায়গায় আমার অফিসের গাড়ি থামতো। সকাল সাতটায় প্রতিদিন অফিস যাবার সময় আমাদের দেখা হতো। অমন সুন্দর শিশু আমি এই শহরে আর একটিও দেখিনি। সবুজ চোখের সোনালী কোঁকড়া চুলের দুধে আলতা বর্ণের শিশু
মাহবুব আজাদ-এর গল্পগ্রন্থ "আশাকর্পূর" এর পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে বসে প্রথমেই আগামী পাঠককে সাবধান করাটা দায়িত্ব মনে করি, যাঁরা ফুল ফল লতা পাতাসমৃদ্ধ গোল গোল ভালো ভালো গল্প পড়তে আগ্রহী, এই বই তাঁদের জন্য না। যাঁরা 'মানী লোকের মান সম্মান' বজায় রেখে সমঝোতা আর শান্তির গল্প পড়তে আগ্রহী, "আশাকর্পূর" তাঁদের জন্যও না। খাদি পাঞ্জাবি আর মোটা চশমায় সাজানো মূর্তির আড়াল থেকে খুঁড়ে আনা সত্য প্রাণীকে দেখে যাঁরা 'সব
[justify]
১ লা মে ২০১৫।
সালেহ চৌধুরীর উত্তরার বাসায় উপস্থিত হই আমি ও নজরুল সকাল ঠিক দশটায়। এর আগে এসেছিলাম ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখে, প্রথমবারের মতো। মাঝখানের এই দিনগুলোতে আমি এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বই ও প্রকাশনাগুলো সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করেছি। দাস পার্টির অপারেশন সমুহের উল্লেখযোগ্য একটি স্থান সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘুরে এসেছি, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপচারীতা হয়েছে যারা অন্য গ্রুপের হলে ও একই সাব-সেক্টর টেকেরঘাটে ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছি বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, শাল্লা দিরাই অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাস পার্টির জীবিত গেরিলাদের সন্ধান নেয়ার, বিশেষ করে ইলিয়াসের- যিনি শুরু থেকে একেবারে শেষযুদ্ধ পর্যন্ত কমান্ডার জ্যোতির সাথে ছিলেন।
দুমাস সে অর্থে দীর্ঘ সময় নয়। কিন্তু এই সময়ের ব্যবধানেই সালেহ চৌধুরীকে বেশ ক্লান্ত লাগে। নিজ থেকেই জানান পা ও কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। চেয়ারে বেশীক্ষন বসে থাকতে পারছেন না। কুশল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমি তাকে গত দুমাসের আমার কাজের অগ্রগতি জানাই।
[justify]নিগার ঘুম ভাঙ্গলো সকাল দশটা চল্লিশে। চোখ কচলে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই মেরুদণ্ডে বয়ে যাওয়া শীতল স্রোতটা অনুভব করলো সে। অ্যালার্মের স্নুজ অপশনটাকে গালি দিতে দিতে যথাশীঘ্র কিছু অজুহাত খুঁজতে থাকলো। আজ সোমবার; থিসিস ডে। থিসিস সুপারভাইজারকে ঠিক সকাল দশটায় ফোন করে শিডিউল নেয়ার দায়িত্ব ছিল তার উপর। আজকের গ্রুপ-রিপোর্টটাও তারই করার কথা ছিল।
“স্কুলশিশুকে ধর্ষণের দায়ে স্কুল শিক্ষকের যাবজ্জীবন” এই শিরোনামের একটি সংবাদ [১] থেকে এই লেখার সূত্রপাত।সংবাদটি থেকে যা যা জানতে পারলাম তা হল-- ক) অপরাধের ঘটনাস্থল, কাল, অপরাধীর নাম, বয়স, শিশুটির বয়স, খ) আদালতের অভিমত এবং রায়, আর গ) মামলার পূর্বের অপরাধীর এক সময়ের বাসস্থানের ঠিকানা (স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে জেলা এবং মামলার পূর্বের যেখানে বাস করত সেই এলাকার নাম)। একটু পর মাথায় এলোমেলো কিছু ভাবনা এল,শিশুটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও, যৌন অপরাধী সম্পর্কে তেমন পরিষ্কার কিছু জানতে পারলাম না।
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিজের দেশের মানুষের উপর এরকম অত্যাচার যারা করতে পারে তারা হিন্দু- মুসলমান- বৌদ্ধ যাই হোক মানুষ নয়। কিন্তু এইরকম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে, অপ্রাসঙ্গিক ফটো শেয়ার করে যারা অন্যান্য দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তারা এদের চেয়েও ঘৃণ্য!
কখনও নারী বিষয়ক কথা উঠলে, সবাই কেন জানি ইসলামিক শরিয়া ফলো করে চলা সৌদি আরবের নারীদের কথা বলে। বাংলাদেশ সরকারও তাই ড্যাং ড্যাং করে সৌদিতে ৫০,০০০ নারীকে গৃহপরিচিকা বা খাদ্দাম হিসেবে পাঠাচ্ছে । এই দেশে নারীদের কাজের ক্ষেত্র কম , পারশ্রমিকও কম , তাই সৌদি তে গিয়ে যদি একটু ইনকাম করতে পারে, সে আশায় নারীরাও যাচ্ছে। সৌদিতে অলরেডি চলে গেছে আমাদের বাসায় কাজ করত আমেনা। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়ে বাংলাদেশে জ
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষের জন্য সহজলভ্য ও মৌলিক চিকিৎসাসেবাই সাধারণভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলে পরিচিত। সহজ কথায়, মানুষ যেসকল উপকরণ ও কৌশল অবলম্বন করে দৈনিন্দন স্বাস্থ্যরক্ষার ব্যবস্থা করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলা যায়।