যে গান এখনো হয়নি লেখা
সেই গান গাইছিল সন্ধ্যা
কৃষ্ণ হলো কথা, সুর হলো রাধিকা
কথা আর সুরের যুগল নৃত্যে নাচছিল সন্ধ্যা
আর আমি যাচ্ছিলাম বনের ভেতর দিয়ে একা
আমাকে ভাবতে হয়েছিল সেই সব কথা
যে সব আত্মার ভেতরে এতোকাল মীমাংসিত ছিল
তোমার হৃদয়ও ছিল মীমাংসিত
আমার পায়ের তলার মাটি এ জন্যই থেমে ছিল
আর তোমার পথ এ জন্যই ছিল অতটা দ্রুতগামী
যাকে পেছনে ফেলে যায় মানুষ
[ নিধির ভয় পাওয়ার কিছু নাই
এই নজরুল সেই নজরুল নহে ]
বিদ্রঃ ২৭ মে, ২০১৫ বেলা ১০.৪৫ ঘটিকায় কিঞ্চিত সম্পাদনা করা হল। ধন্যবাদ।
ভিক্টোরিয়া ক্লাব, কলকাতার উপকণ্ঠ। এপ্রিল ১৮১০।
মেজর মার্কাস স্মল তার সদ্য লন্ডন হতে আগত বন্ধু ডাল্টন হামফ্রিকে নিয়ে ক্লাবে প্রবেশ করে বললেন, এই আমাদের সামান্য ক্লাব। এসো, ঘুরিয়ে দেখাই।
বিশাল দালান হাঁ করে দেখতে দেখতে ডাল্টন বললেন, হ্যাঁ। সামান্যই বটে। আস্ত এক কাউন্টি ঢুকে যাবে মনে হচ্ছে তোমাদের এই সামান্য ক্লাবের কম্পাউন্ডের ভিতর। অ্যাস্টোনিশিং ইন্ডিড। যাহোক, টুপি ছড়ি রেখে যাই কোথাও নাকি?
হ্যাঁ ঐ ফার্ট ক্যাচার দাঁড়িয়ে আছে একটা ওর হাতে দিয়ে দাও।
- দেখা হয়েছে ছেলেটার সাথে?
- না। ওয়েদার দেখছো না? রেনকোটটা বাইকে ছিল জন্য ফিরতে পারলাম। ফোন কোরেছিল দুপুর নাগাদ। কাল আসতে বলেছে। বেলা থাকতে থাকতে।
- ইস, আরো একদিন লেট। ও, শিলিগুড়িতে শুনেছো অবস্থা? লীনা হোয়াটস অ্যাপে কী লিখেছে জানো?
- কে লীনা?
- আরে, সৌগতদার বৌ, সেন্ট জর্জ পাবলিক স্কুলে পড়ায় না? আরে আমাদের বিয়ের পরে পরেই বিয়ে হল, মনে নেই?
- ও হ্যাঁ।
জাপানের অ্যানিমেশন বিশ্ববিখ্যাত। তাদের উদ্ভাবিত স্টাইলটি সারা পৃথিবীতে অ্যানিমে নামে পরিচিত। অ্যানিমেগুলো দেখতে হাতে আঁকা ছবির মতই। চরিত্রগুলোর শরীর বাস্তব অনুপাত মেনেই আঁকা হয়, মুখের অভিব্যক্তি কিছু কম থাকে, চোখের আকার বড় এবং চুলের স্টাইল বেশ অদ্ভুত হয়। ডিজনীর মত গতির বিষয়গুলোতে জোর না দিয়ে অ্যানিমে ডিজাইনাররা পুরো ফ্রেমের ডিটেইলে বেশি মনযোগ দেয় এবং ছবির মধ্যে ত্রিমাত্রিক অনুভূতি আনার চেষ্টা করে।
নির্দিষ্ট করে কোন কিছু নয়। কিছু একটা নিয়ে - যা হঠাৎ করে জলের অতল থেকে উঠে এসে ঘাই মেরে গেল অথবা নিরন্তর কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে । সেই খুচরো হাসি-কান্নাগুলো ভাগ করে নেওয়া। প্রধান স্রোতের খবরদারী কি খবর্দারী করা মাধ্যমে হলে বলতাম ভাগ করে দেওয়া। সেখানকার মহাজনেরা দিয়েই খুশী। নিতে হলে তারা লেখার কি অর্থ পড়ুয়া করল তার থেকে লেখার অর্থ প্রকাশক কি করল সেটা যে অর্থ সকল অনর্থের মূল বলে প্রচারিত সেই অর্থে নিতে পছন্দ করেন। ব্লগের লেখা সেই মিনারবাসীর নয়, সাগরতীরের, মিলাবে-মিলিবে, যাবে না ফিরে।
১
উনি বাংলাদেশ থেকে বেশ অনেকদিন হলো কানাডায় এসেছেন। কথা হলো । ব্যাপক বিরক্ত অন্টারিওর নতুন যৌন শিক্ষার কার্যক্রম নিয়ে।" দেখেন তো, গ্রেড ফাইভে এরা ছেলে মেয়েদের স্বমেহন সম্পর্কে শেখাবে? ভাবুনতো ক্লাস ফাইভের ছেলে যদি এসে বলে, বাবা ক্লাসে আজ মাষ্টারবেশান শিখে আসলাম, তাইলে আপনার কেমন লাগবে?" তাই এখানকার রক্ষণশীল কমিনিউটির শ্লোগান , শিশুদের শিশুই থাকতে দিন।
আরো অনেকের মতো আমারো ইন্টারনেট মেইলে যাত্রা শুরু হটমেইলকে দিয়ে। হটমেইলে আমি প্রথম কাকে চিঠি লিখেছিলাম আজ মনেও নেই। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সেই চিঠি প্রাপক আমার কাছের কোন মানুষ ছিল না। অফিসের কোন কলিগ, সম্ভবতঃ বিদেশী কলিগ কাউকে লিখেছিলাম হয়তো। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করাতে একাউন্ট সাসপেণ্ড হয়ে গিয়েছিল বলে হটমেইলের সবকিছু মুছে গেছে তাই মনে পড়ে না কোথায় প্রথম লিখেছিলাম।
প্রথমে ভাবলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করি লিখে ফেলি। কিভাবে বড় আওয়ামীলীগ হবেন? How to be a Shomser Uncle নামে।পরে হাই তুলে মনে হল অত কথায় কাজ কি। অল্প কথায় কাজ সেরে ভাগি বরং। জাফর ইকবাল কে সেটা আমরা সবাই জানি। দেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন, নামকরা শিক্ষক, কলামিস্ট, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি নানা পরিচয় দেয়া যায়। আমার কাছে তার পরিচয় একটাই। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। একের পর এক ভয়ঙ্কর সব অন্যায় হয়ে যাবার পর যখন দেশের সব বড় বড় লেখক বুদ্ধিজীবীরা গাছ ফুল লতা পাখি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন এই জাফর ইকবালের মতো অল্প কিছু লোককে দেখি সহজ কথাটা সহজে বলে ফেলতে। বাকিরা যখন রাজামশাই সিল্কের কাপড় পড়েছেন নাকি মসলিন সেই নিয়ে নানা গবেষণা করে যায় তখন এরকম দুই একজন বোকা লোককে এসে মুখের উপর বলতে দেখি, রাজামশাই তো ন্যাংটো! তারপরেও অনেক কারণে অনেক লোকের মন ভরে না। তিনি কেন এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, তিনি কেন ওই করলেন না, নিশ্চয়ই তবে তিনি সেই দলের বলে হেঁচকি তুলে কেঁদে যায়। এই বাতিঘরের কি কি সমস্যা, তার আলো কত উজ্জ্বল, তার দেয়াল কত শক্ত এসব নিয়ে যারা আলোচনা করতে চান করে যান। আমার লেখার উদ্দেশ্য বা বিষয় তা নয়। আমার কাছে দোষত্রুটি মিলিয়ে এই বোকা, আবেগপ্রবণ, আশাবাদী লোকটি এখনও আশার বাতিঘর। তাই সেটা মেনে নিয়ে এবারে বরং মোশতাকের এর কাছে যাই।
আমরা ভুলে যাই। কারণ লজ্জার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চে’, ভুলে যাওয়া অনেক সহজ। তাই আমরা প্রতিদিন আড্ডা দেই- রাজনীতি,ধর্ম আর ক্লাব ফুটবল নিয়ে ঝগড়া করি; মিথলজির মত চিত্তাকর্ষক বিষয়ের সাথে পার্থিব পলিটিক্স আর জাতিগত ইতিহাসের মত জটিল বিষয় মিলিয়ে অব্যার্থ ভাবে প্রমাণ করি আমরা এক এক জন জ্ঞানের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। তক্কে তক্কে অপেক্ষা করে বসে থাকি- কোন ব্লগার মরলেই, কোন নারীর উপর অন্যায় হলেই আমরা ফেসব