[ সচলের নারী সপ্তাহের প্রথমার্ধে প্রচণ্ড পেশাগত ব্যাস্ততার পাহাড়ে চাপা পড়ে ছিলাম। আর শেষার্ধে নিতান্তই নারীঘটিত কারনে মানসিকভাবে কিঞ্চিৎ টালমাটাল সময় কাটাচ্ছিলাম। উদভ্রান্ত সেই সময়ের ফাঁক-ফোকরে সচলে ঢুঁ মেরে একেকটা লেখা পড়ে মানসিক স্থিরতার তলানী যাওবা থাকত সেটুকুও কর্পূরের মত উবে যেত। এই অবস্থার মাঝেই ম্যাটল্যাবে এটি লিখে ফেলা। একটি ছিমছাম গোছানো পোস্টের আকাঙ্ক্ষী পাঠকেরা দূরে থাকুন। ]
কৈফিয়তঃ
আমি কেন যেন না ধরেই নিয়েছি আমার সময় আর খুব বেশি নেই। কাজেই গত বছর দু'য়েক সেই অল্প সময়টা কী ভাবে ফাঁকিবাজি করে পার করে দেয়া যায় সেই ধান্দাতেই ছিলাম। ফাঁকি মারতে মারতে এমন হয়ে গেছে যে হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম কিছুদিন আগে যে আমি নিজেই নিজেকে ফাকিদেয়া শুরু করেছি সেইরকম পর্যায়ে। অর্থাৎ, নিজের অজান্তেই নিজেকে বুঝ দেয়া শুরু করেছি - 'আরে হবে। আজকের দিনটা দেখইনা; যদি কাল বেঁচেই থাক তাইলে না হয় এই কাজটা কর।' এবং বলাই বাহুল্য প্রতিদিনই আসলে আজকের দিন এবং সবসময়ই আগামীকাল বলে আরেকটা দিন থেকেই যায়।
[justify]বড় হতে হতে টের পাই, আমাদের অন্যতম প্রধান কৌতুহলের নাম যৌনতা। যা খুব ঢেকে রাখার একটা জিনিস, আড়ালে আবডালে লুকিয়ে রাখার ব্যাপার। বড়রা যখন ইশারা ইঙ্গিতে নিজেদের মধ্যে দুষ্টুমি করতে থাকে, তা দেখে নিজের ভেতরে আরো বেশি কৌতুহল লুকিয়ে রাখার জিনিস। যে কৌতুহল লুকিয়ে রাখতে হয়; প্রকাশ্যে প্রকাশ করতে নেই, প্রশ্ন করতে নেই। শুধু ফিসফিস করে বন্ধুদের সঙ্গে গোপনে আলাপের বিষয় এটা। আচমকা একটা ন্যাংটো মেয়ের ছব
যদি আমার শৈশবের একমাত্র সুখের স্মৃতির পাতা কেউ আমাকে খুঁড়ে আনতে বলে তাহলে একটা মাত্র নাম আমার মন থেকে ওঠে আসবে - দাদু। আমার বাপের বাপ। আমার দাদু ছিলেন হোমিওপ্যাথের ডাক্তার। অবিভক্ত বাঙলার কুমিল্লায় জন্ম-কর্ম মানুষটার। দাদুর কাছে শুনেছি সেখানেই দাদুর চেম্বার ছিলো। সাথে আয়ুর্বেদের চর্চাও করতেন। সবসময় চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, মুখে সিগারেট এবং টেবিলের উপর ইয়াব্বর মান্ধাতা আমলের বইয়ে মুখ ঢেকে রাখতেন। রুপোর একটা সিগারেট-ভক্ষক ছিল দাদুর, নাম জানিনা তাই সিগারেট-ভক্ষক বললাম। ঐটা ছিল কলমের মুখটা (ক্যাপ) যেমন হয় সেই টাইপের কিছু একটা এবং সেটা গুঁজা থাকত সিগারেটের শেষ প্রান্তে। সেটার আবার একটা লতানো অংশও ছিল, রুপোর তৈরি। দেশভাগ, দাঙ্গায় সর্বহারা হন দাদু। কোপ খেয়ে একটা হাত প্রায় অচল হয়ে গিয়েছিল তার। পূর্ব-বঙ্গ ছেড়ে একবস্ত্রে বউ ছেলেপিলে নিয়ে একসময় ত্রিপুরা রাজ্যের রাজাদের রাজধানী ছিল সেই উদয়পুরে মাথা গুঁজেছিলেন তিনি। এই উদয়পুরের সাথে জড়িয়ে আছে কত রাজাদের ইতিবৃত্ত। এবং রবীন্দ্রনাথের অমর গাঁথা - ভুবনেশ্বরী মন্দির, 'রাজর্ষি', হাসি-তাতার কথা - 'এত রক্ত কেন'?...
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
'হোয়েন গড ওয়াজ এ্য ওমেন' :
আমেরিকান গ্রন্থকার ও ভাস্কর শিল্পী মারলিন স্টোন রচিত গ্রন্থ, 'হোয়েন গড ওয়াজ এ্য ওমেন'।
শত শত বছর আগের কথা।
স্কুলের সিড়িতে শিক্ষকের সাথে বসে আছি।
এমন সময় খবর এলো, সিনিয়র দুই ভাই এক বড় আপুকে নিয়ে মারামারি করেছে।
এই বড় আপুটা খুব ভাল। কী লক্ষী! চোখ ভরা কথা।
তাকিয়ে দেখি, শিক্ষক হাসছেন। স্মৃতির মধ্যে টুপ করে ডুবে গিয়ে ফিরে আসা হাসি। মিটিমিটি।
শিরোনামটা বলে দিচ্ছে আমি একজন পুরুষ, অন্তত: নিরানব্বুই ক্ষেত্রে। বাংলায় লিখছি, কাজেই এবার অনুমিতি নিরানব্বুই দশমিক নয় নয়ে অথবা একশতে গিয়ে ঠেকা উচিত। নিপীড়নে বাঙালি পুরুষের জুড়ি মেলা ভার। সেটা যৌন হলে তো কথাই নেই। আমি ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা বলব, পাঠক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপাতত: মাথা ঘামাচ্ছি না। ব্যক্তি আমাকে নিয়ে কে কি ভাবলো সেটাতে আসলে আমি ছাড়া ম্যাস পপুলেশনের কিছু যায় আসে না। ঘটনাগুলো বাস্
গোড়াতেই স্বীকার করে নেয়া ভালো যে, আমি সমতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে খানিকটা কাজ করলেও, নারীবাদ বিশেষজ্ঞ নই। ফলে, জ্ঞানের ঘাটতি আছে, কিন্তু নিষ্ঠায়, যাপনে এবং আচারে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নারীবাদীর চেয়ে কম নারীবাদী নই। নারীবাদ পাঠ করা সুবিধাজনক, কিন্তু শুধু পাঠ করে নারীবাদী হওয়া সম্ভবত কঠিন। বিশেষত একজন পুরুষের পক্ষে।
আমাদের সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভাব নাই। এই ধরনের আচরণের প্রবক্তা পুরুষেরা হলেও কম বেশি পুরুষ নারী সবাই এটাকে চালু রাখতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতি নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে নিষ্ঠার সাথে। খুব প্রচলিত একটা কথা, ধারনা যেটা আমার জীবদ্দশায় বোধকরি সবচেয়ে বেশিরভাগ শুনা প্রবচনগুলোর একটা তা হল “নারীরাই নারীর শত্রু” আমার কাছে এই প্রবচনটাকেও ভয়াবহ রকমের পুরুষতান্ত্রিক স্টেরিওটাইপিং মনে হয়। এই এক