Archive - 2015

November 17th

November 16th

বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: রবি, ১৫/১১/২০১৫ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন দুঃসময়!
দেশ, দেশের বাইরে--সবখানেই।
যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন 'শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যর্থ পরিহাস'---সেই তিনিই আবার গেয়েছিলেন শান্তির প্রার্থনা সঙ্গীত --'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'।
রবীন্দ্রনাথের এই প্রার্থনা হয়ত ছিল ঈশ্বরের প্রতি অথবা হয়ত প্রতিটি মানুষের মনে যে সুকুমার বৃত্তিটুকু বেঁচে থাকে সকল হীনতা-দীনতার মুখে--তার প্রতি।

আমার খুব ভাবতে ইচ্ছে করে হয়ত শেষোক্তটিই সত্যি।


November 15th

ওয়ালীউল্লাহর চাঁদের অমাবশ্যা ও আমাদের অনড় বাস্তবতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/১১/২০১৫ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটা মূলত এক বন্ধুর অনুরোধে গেলা ঢেঁকি। সরকারী অফিসে ইদানিং বুক রিভিউর মতো একটা বিষয় শুরু হইছে। তো এর পাল্লায় পড়ে আমার বন্ধুর মাথা খারাপ। সে আইসা ধরলো, আমি লেইখা দিতে হবে, আর সে ওইটা প্রেজেন্ট করবো। নানান মুলামুলির পর রাজি হইলাম। তার জন্য হাজারখানেক শব্দে লিখতে গিয়ে মনে হইলো একটু আরাম কইরা লেখি। তারে তারটা বুঝাইয়া দিয়া, আমি আমারটা নিয়া আগাইলাম। আমি কোনো সাহিত্য সমালোচক না। সাহিত্য ঠিকঠাক বুঝি


November 13th

ঐশী-কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১১/২০১৫ - ৩:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে, কেউ বিশ্বাস করেনি। এমনকি যিনি মামলা দায়ের করেছিলেন, তিনিও আদালতে দাঁড়িয়ে অকপটে বলেছিলেন যে, ঐশী বাবা-মাকে খুন করতে পারে, তা তার বিশ্বাস হয় না। উল্লেখ্য, মামলা দায়েরকারী ব্যাক্তিটি ঐশীর-ই আপন চাচা। নিজের ভাইয়ের হত্যাকারীর জন্য তার মনে হঠাৎ অপত্য স্নেহ জেগে উঠেছিল কিনা আমরা জানি না, কিন্তু অন্য সবার মত তারও হয়ত মনে হয়েছিল, একজন সুস্থ/স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে নিজ বাবা-মা'কে হ


November 11th

পুঠিয়া রাজবাড়ি এবং মন্দির দর্শন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১১/২০১৫ - ১০:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


November 10th

খাওয়া

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১১/২০১৫ - ১:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন আগে গেল আমার ছড়া ও ননসেন্সগুরু সুকুমার রায়ের জন্মদিন। আমার অন্ধকার সময়ে যে মানুষগুলো শক্তি যোগান, তাদের একজন তিনি; নিজের মৃত্যুশয্যায় যিনি তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিমের আবোল তাবোল গল্প বলে গিয়েছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষমতা আমার নেই, আছে কেবল অনুকরণের ক্ষুদ্র প্রয়াস, আর এই সামান্য উপহার।


November 8th

দুঃস্বপ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/১১/২০১৫ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইভানের ঘরের জানালাটা বেশ বড় । বাড়ীটা ওর দাদার আমলের, বর্তমানে এরকম জানালাওয়ালা বাড়ি কোথাও দেখাই যায় না । জানালা টা খুললেই দূরের পাহাড় আর বড় বড় গাছের সারি দেখা যায় । যে কারোরই এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভাল লাগবে । তবে ইভান সব সময় জানালাটা বন্ধ করে রাখে এবং পর্দাও নামিয়ে রাখে । এর পেছনে জটিল কোন কারণ নেই, এইসব সৌন্দর্য তার কাছে পুরোপুরি অর্থহীন, এই যা । তবে আজ জানালা খোলা এবং সে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আ


November 7th

বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও

ঝরাপাতা এর ছবি
লিখেছেন ঝরাপাতা (তারিখ: শনি, ০৭/১১/২০১৫ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওঁত পেতেছে হিংস্র শ্বাপদ তোমার ঘরের কোণে,
দুধ-কলাতে পুষছ তাদের নিরপেক্ষতার ভানে।
চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স করে ভালো যাচ্ছে কেটে দিন,
সকাল বিকাল বাজাও কেবল সুশীলতার বীণ।
মরছে মরুক যত মুক্তমনা, তোমার তাতে কি !
দু'দিক সামলে চললে তবেই জুটবে পাতে ঘি।
ভক্তরা সব দিচ্ছে তালি, বাড়ছে মুখের জেল্লা,
ভার্চুয়ালে বয়ান ফলাও, সেইফ রাখিতে কল্লা ।
মৌলবাদ আর জঙ্গি নিয়ে- কিসের কথা বল্?


November 5th

নূঢ়া ডাক্তারের আয়না

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১১/২০১৫ - ১:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাতসকালে ডাক্তার নূঢ়া চৌধুরী যত্ন করে গোঁফটা ছাঁটছিলেন। গোঁফ ছাঁটা কঠিন কাজ। দুইদিকেই খেয়াল রাখতে হয়। একদিকে ছোট করলেন তো আরেকদিকে বড় হয়ে গেল! খুব যত্ন নিয়ে দুইদিকেই সমান রাখতে হয়।
নূঢ়া সেটা ভালোই পারেন। দুইদিক সমান রাখার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নাই।
গোঁফটা ছেঁটে নিজের চেহারাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছোট্ট আয়নার মধ্যে দেখছিলেন।


খেলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১১/২০১৫ - ১২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঘণ্টা বাজছে। ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা……বারো………একুশ……আঠাশ...............উনচল্লিশ......তেতাল্লিশ...... । স্টিভ হার্মিসন স্বপ্নে নিমগ্ন, দারুন একটা স্বপ্নের একেবারে শেষ পর্যায়। তার সামনে টেবিল ভর্তি খাবার। ঝলসানো হাঁস, আস্ত ভেড়ার রোস্ট, সেদ্ধ বিট, তেল মাখানো জলপাই…….। হার্মিসন গুনে শেষ করতে পারেনা। রোস্টের দিকে কেবল হাতটা বাড়িয়েছে - ঘুম ভেঙ্গে গেল তার। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত, আজকাল সয়ে গিয়েছে। কতদিন ধরে এই একটা স্বপ্ন দেখে চলেছে সে! আহা একবার, শুধু একবার যদি স্বপ্নটা শেষ হত! চোখ বুঁজে শুয়ে থাকে হার্মিসন | কিছুক্ষণই, তারপর সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে পিট পিট করে তাকায়। চোখে পড়ে খোলা আকাশ। আকাশের কোল ঘেষে দাড়িয়ে থাকা কালো গ্রানাইটের চূড়ায় অস্পষ্ট দেখা যায় - একটি রুপোলি ঘন্টা। রুপোলি ঘন্টা দুলছে অবিরাম, ডান থেকে বাঁয়ে আর বাম থেকে ডানে। ঘন্টা বাজছে, ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা......তেষট্টি........সাতাত্তর......উনআশি.........নব্বই...... তিরানব্বই। অবরোধের আজ তিরানব্বই তম দিন।