আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নের প্রায়োগিক এবং তাত্ত্বিক গবেষণা এবং কর্মপন্থার এখনো অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় গ্রামীন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা, বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে এখানে আলোকপাত করা হল।
বৈশাখী মেলায় আড্ডাবাজির ফাঁকে ফাঁকে তন্ময় যে রঙ্গিন সাজে পরীর মত দেখতে হওয়া মেয়েগুলির দিকে তন্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেনি, তা নয়! এরপর রাতে টিভির নিউজটা স্বভাবতই বুকের মাঝে ভীষন ক্ষত সৃষ্টি করল, চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগল, দিনের বেলা দেখা সেই স্বপ্নের পরীদের বিবস্ত্র করছে কতগুলো জানোয়ার! পরীদের আর্তচিৎকার ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের বিশাল শুণ্যতায়!
এই মুহুর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ চলছে। এর আগে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ ও একটি টি২০ ম্যাচ। টেস্টে ড্র করলেও ওয়ানডে ও টি২০র সবক'টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে। সাফল্যের কিছু দিক দেশি ও আন্তর্জাতিক রেকর্ডবইতে কয়েকটি কীর্তি জায়গাও করে নিয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম এই খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বেশ কয়েকটি ফিচার রিপোর্ট, ম্যাচ প্রিভিউ, পোস্ট-ম্যাচ রিপোর্ট, টুকরো সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে এই খেলা
আমি, আমরা তখন অষ্টম কিংবা নবম শ্রেণীতে পড়ি; আমাদের বন্ধু শৈলীও তাই। শৈলী আমাদের কলোনীর মেয়ে। আমরা এক সঙ্গে শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছি, বড় হয়েছি। কলোনীর আরো অনেক মেয়েইতো ছিল; যাদের সাথে এক্কা-দোক্কা, বরফ-পানি আর দোকান-দোকান খেলা খেলতে খেলতে বড় হয়েছি আমি; তবু আজকের এই পড়ন্ত বেলায় স্মৃতির ক্যানভাসে শৈলীর মুখখানাই ভেসে উঠছে বারবার। শৈলী ছিল অনেকটা প্রচণ্ড কালবোশেখীর তাণ্ডবে টিকে থাকা একটি সপ্তপর্ণ বৃক্ষের ম
নারী দিবসের লেখাগুলো পড়তে পড়তে রাগে ফুঁসছিলাম। আমাদের দেশে মেয়ে হওয়া কতটা যন্ত্রণা সেটা বাংলাদেশের মেয়ে হলে না জন্মালে মনে হয় বোঝা সম্ভব না।
কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হলো স্রোতের বিপরীতেও চলার গল্প কিছু থাকুক, আশার কথা কিছু থাকুক।
সত্যি বলতে কি, সেটার জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই, মানসিকতার সামান্য একটু বদল হলেই চলে।
ঘটনা ১-
ছোটবেলায় আব্বুর সাথে বাজারে যেতে বেশ ভালোবাসতাম। বাজারে গিয়ে বিবেচকের মতো সবজি পরখ করে দেখতাম। একবার টিপে টমেটো গেলে ফেলাতে ঐ মাতুব্বরিতে ভাঁটা পরে।
আমি বিশ্বাস করি না বাংলাদেশের এমন কোন নারী আছেন যিনি ঘরে বা রাস্তায় যৌন নিপীড়নের শিকার হন নাই। কেউ হয়তো আমার সাথে দ্বিমত জানাবেন। কিন্তু আমার কথা হলো, নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমাকে উত্তর দেয়া জরুরী না।
ব্যানারশিল্পীদের কাছ থেকে অপূর্ব সব ব্যানারে প্রতিদিন সজ্জিত থাকতে চায় সচলায়তন। সচলায়তনে যে কেউ ব্যানার পাঠাতে পারেন। টেক্সটে সচলায়তনের নাম আর শ্লোগান [চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির] রাখতে হবে ব্যানারে, তবে শ্লোগানটা ঐচ্ছিক, আবশ্যিক নয়। আকার ৯৬৫x১৫০ পিক্সেল। ফাইল সাইজ ৫০ থেকে ১০০ কিলোবাইটের মধ্যে। ইমেইল করে দিন banner এট সচলায়তন ডট com বা contact এট সচলায়তন ডট com।
আমাদের সমাজে এই নারী হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি কি রকম? "ভালো" মেয়ে প্রশ্ন করে না, জোরে হাসে না, জোরে কথা বলে না, তর্ক করে না, প্রতিবাদ করে না, নিজের চাহিদার কথা মুখ ফুটে বলে না। সে জটিলতা বোঝে না, রাজনীতি তো নয়ই। তার শরীর তার লজ্জার বস্তু তাই নিজেকে আবৃত রাখে সে। পা ঢাকে, মাথা ঢাকে, তাতেও যখন হয় না তখন মুখ ঢাকে। একসময় নিজের মনুষ্যত্বটুকুও ঢাকে প্রাণপণে। হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এণ্ডারসনের "লিটল মারমেইড" গল্পটির কথা মনে আছে কারো? সেই যে ছোট্ট জলপরী, রাজপুত্রের কাছে এবং তার সমাজের কাছে গ্রহনীয় হওয়ার জন্য ধীরে ধীরে একটি একটি করে স্বকীয়তা হারায় সে? সবশেষে হারায় তার কণ্ঠস্বর।