(আমি মূলত একজন পাঠক। নারী সপ্তাহ উপলক্ষে একটি ছোট্ট গল্প লেখার চেষ্টা করেছি। গল্পের প্রতিটি উপকরণ আমার নিজের জীবন অথবা আমার পরিচিত মানুষদের জীবন থেকে নেওয়া।)
হ্যালো...... এই যে ভাইয়া, শুনছেন?
আমাকে বলছেন?
জী, আপনাকেই বলছি।
বলুন।
যা দেখলাম, বিস্ময়ে একেবারে ‘থ’! দুটো পায়ের ছাপ। মানুষের। খুব বড় নয়। মহিলার। কিন্তু আশ্চর্য এবং আতঙ্কের বিষয় হলো পায়ের পাতা পেছন দিকে ঘোরানো! নানুষের পায়ের ছাপ যখন ভেজা মাটিতে পড়ে তখন ডান পায়ের বুড়ো আঙুল বাঁদিকেই থাকে। সবার শেষে কড়ে আঙুল। আর বাম পায়ের একেবারে বাঁয়ে কড়ে আঙুল এবং সবার শেষে বুড়ো আঙুল। দুই পা পাশাপাশি রাখলে বুড়ো আঙুল দুটো পাশাপাশি থাকবে। ছাপের বাইরে দিকে থাকবে দুই কড়ে আঙুল। কিন্তু এখানে ঠিক তার উল্টো। দুটো ছাপ পাশাপাশি রাখলে হিসাবটা দাঁড়াবে কড়ে আঙুল দুটো পাশাপাশি আর বুড়ো আঙুল দুটো বাইরের দিকে।
শরীরে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। সত্যিই তা হলে চুরাইল আছে! মাছ ধরা লোকটা কি দেখেছে তাকে। আবার জিজ্ঞেস করার জন্য পেছন দিকে ফিরলাম। কিন্তু নেই লোকটা! চারদিকটা ভালো করে দেখলাম। কোথায় গেল? এই পাহাড়ি পথে এক মিনিটে একটা লোক উধাও হয়ে যাবে! অসম্ভব? কী ঘটছে এসব!
এসেছি নিজের কথা বলতে। আমরা মেয়েরা আজীবন বাবার কথা, ভাই বোন, স্বামী সন্তান, সংসারের কথা বলি। নিজের যে দুটা কথা আছে তা আর বলা হয় না... কাওকেই না।
ছোটবেলা থেকেই শুরু করি।
সচলে আমার প্রথম লেখা। হাত কাঁপছে। সাত বছর ধরে সচল পড়ছি। লেখার সাহস করিনি কখনো। কত বড় বড় লেখক এখানে! কিন্তু 'নারী সপ্তাহের' আহবানে আজ আর পাঠক হয়ে বসে থাকতে পারলাম না। বানানে খুব কাঁচা আমি, বিশেষ করে 'র' আর 'ড়'। সময় অভাবে অভিধান দেখে ঠিক করে নিতে পারলাম না বলে দু:খিত। তাই সম্ভব হলে বানান ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে তুলিরেখাকে অনুরোধ করব।
একদিন খবর পেলাম ছোট ফুপা মৌলবাদী হয়ে গেছেন। খবরটা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। কারণ আমার সেই সুদূর অতীতের কথা মনে পড়ে গেল।
বহু আগে এক ঝড়ের সন্ধ্যায় কুশিয়ারা নদী পার হওয়া প্রয়োজন ছিল আমার। বৃষ্টি ও বাছাড়ে তখন সকল খেয়া বন্ধ করে বসেছিল মাঝিদের দল। যাত্রীরা নদীপারে কেউ ছাতা কেউ কলাপাতা কেউ হাতের তালু মাথায় দিয়ে নিজেদের বিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতা হাতড়িয়ে আশাবাদী কিংবা হতাশ হচ্ছিল সম্ভাব্য শীঘ্র প্রথম খেয়া নৌকার যাত্রাকালে। কিন্তু কেউই তাড়া দিচ্ছিল না মাঝিদের...
কিংবদন্তীর জাপানিজ চিত্রকর হকুসাই ও হিরোসিগের কাঠখোদাই করা অপূর্ব সব শিল্পকর্ম সেবার প্রথমবারের মত এসেছে জাপানের চৌহদ্দি পেরিয়ে ইউরোপে, হেলসিংকিতে সে চিত্তহরণ করা প্রদর্শনী দেখে বেরোতে যাচ্ছি জাদুঘরের বাইরে। সেখানেরই একজন কর্মচারী বলল পাশেই চলা প্রাচীন জাপানের জনজীবন নিয়ে অন্য ধরনের এক প্রদর্শনী যেন অবশ্যই দেখে যাই, সেখানে নাকি তুলে আনা হয়েছে কয়েকশ বছর আগের জাপান।
আমার ছোটবেলায় মাসুদ রানা পড়াটা খুব একটা ভালো চোখে দেখা হত না - ইঁচড়ে পাকা বলে মনে করা হত ৷ তবুও লুকিয়ে চুরিয়ে প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই পড়া শুরু করলাম ৷ অ্যাকশন, এডভেঞ্চার আর লাস্যময়ী নায়িকা ভরপুর কাজী আনোয়ার হোসেনের এই অসাধারণ সিরিজ নিশ্চয়ই অনেকের মনে দাগ কেটেছে ৷ আরেকটু বড় হয়ে যখন ইংরেজিতে নানা থ্রিলার পড়া শুরু করলাম, তখন আবিস্কার করলাম এ গল্প তো আমার পড়া ! কাজীদা মাসুদ রানার বোতলে ভরে আগেই খাইয়ে দিয়েছেন ৷