দৃশ্য-এক
- হ্যালো অমুক, আমি তমুক বলছি, তোমার খালু কী বলেছেন আমি ফোন করবো আজ?
-বিস্ময় চাপা দিতে দিতে অমুকের প্রশ্ন -আমাকে কেন ফোন করতে হলো জানতে পারি?
- হোয়াট দ্য ***! তুমি আমার বায়োডাটা দেখোনি? ইমেলে এ্যাচাট করে পাঠিয়েছি তো।
এখুনি ইমেল খোলো।
তোমার নামটা পছন্দ হয়েছে বুঝলে? স্মার্ট নেম। আমার লাস্ট নেমের সাথে দারুণ মানাবে।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা গুহায় বাস করতো, গণি মিয়া ছিলো একজন গরিব কৃষক। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ফেসবুক বলে কোন জিনিস ছিলো না। সেই সময় আমাদের যতরকম গিয়ানজাম করার জায়গা ছিল এই সচলায়তন। হেন কিছু নেই যেইটা নিয়ে আমরা একটা ব্লগ লিখে ফেলতাম না।
আমি অনেকদিন ধরে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের বেল কার্ভগুলো দেখতে আগ্রহী। বেল কার্ভ দেখতে এরকম।
১'লা বৈশাখ একলাই কেটেছে আমার; যদিও বরাবর একলাই কাটে। তবুও সারা বছর একে অন্যের আরোপ-প্রত্যারোপ, খিস্তিখেউর, গলা উঁচিয়ে ঝগড়া করা শর্মা বাড়ির জেলাসম যৌথ পরিবার ঐ একমাত্র পয়লা বৈশাখের দিনটিতেই চুপচাপ একসাথে থাকে, খাওয়া-দাওয়া করে, শেয়ার করে সবকিছু। আমিও থাকি, নীরবে দেখি।
উঠল বাই তো মন্দারমনি যাই। যাই ক্যামনে? বাড়ি থেকে সাতশ কিলোমিটার ডিঙিয়ে কোলকাতা। সেখান থেকে দীঘার বাস ধরে চালখোলা বলে একটা গঞ্জ আছে সেখান থেকে নেমে ট্রেকার ধরে মন্দারমনি।
এই কথাগুলো কোনদিন কাউকে বলিনি খুব কাছের দুই একটা বন্ধু ছাড়া। আমার স্বামীও জানেনা। জানলে যে সে খারাপ ভাবে নেবে তাও না। সে যথেষ্ট উদার মনের মানুষ। কিন্তু বলতে পারিনি। যদি কোনদিন একবার রাগের মাথাতেও কিছু বলে ফেলে আমি মরে যাব। আর আমার মনে হয় ছেলেরা আসলে ব্যাপারগুলো বোঝেনা। হয়তো আমি ভুল। কিন্তু সাহস হয়না।
নগরপাল নির্বাচন নিয়ে একখানা কিছুমিছু ছড়া। পুরোটাই নীড়পাতায় চলে আসে বলে শুরুতে একটু ভূমিকা জুড়ে দিলাম। এই ভূমিকার ভূমিকা নিতান্তই মাহীবিচৌধ্রির মতো, কোনো কাজের কাজে আসবে না, কিন্তু রাখতে হয় বলে রাখা।
ফেইসবুকে একটি ইংরেজি কবিতা দেখে খুব ভাল লাগলো। একটি মেয়ে যাই রাঁধছে, যে কাজই করছে, তার স্বামীপ্রবরের সেটি মনমতো হচ্ছে না, কোনভাবেই স্বামীটির মায়ের সমকক্ষ মেয়েটি আর হতে পারছে না। ভাষা-দেশনির্বিশেষে বলতে গেলে সব বিবাহিত নারীকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই ভাবলাম বাংলা করে ফেলি।
ক্লারিফিকেশন: ১৩ তারিখ শেষ পর্যন্ত সময়সীমা আছে। সবচেয়ে পশ্চিমের সময় প্যাসিফিক টাইম জোন অনুযায়ী ১৩ তারিখ রাত ১২ পর্যন্ত লেখা নেয়া হবে। অর্থাৎ ঢাকা সময় ১৪ তারিখ দুপুর একটা পর্যন্ত লেখা জমা দেয়া যাবে। যারা লিখছি লিখব করে সময় করে উঠতে পারেননি, তারা এই বেলা লিখে ফেলুন। লেখা জমা হয়েছে ৪৬টি। আসুন আমরা এটিকে পঞ্চাশ অতিক্রম করতে সাহায্য করি।
==== ==== ==== ==== ====
আপডেট: নারী সপ্তাহ নিয়ে সচলায়তনের এই আয়োজনে আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। অনেকে জানিয়েছেন সময়াভাবে তারা লিখতে পারছেন না। তাছাড়া তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়গুলো প্রস্তুত করতেও সময় লেগেছে অনেকের। এই আলোচনা যেনো চালু থাকে এবং আরো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে যেনো লেখা আসতে পারে সেজন্য নারী সপ্তাহের লেখার সময় বাড়িয়ে ১৩ই মে পর্যন্ত করা হলো। আলোচনা চলুক এবং লেখা আসতে থাকুক। বছর জুড়েই যুদ্ধ চলতে থাকুক নারী সপ্তাহ শেষ হয়ে গেলেও।