সময়: ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯
স্থান: টিএসসি
ঘটনা:
[justify]বার চারেকের মত মিলান যাওয়া হলে ও লাস্ট সাপারটা দেখি দেখি করে ঠিক দেখা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার জানা ছিল না বিধায় অগ্রিম টিকেট না করার জন্য শেষ মুহূর্তে আর টিকেট পাওয়া গেলনা। ঠেকে গিয়ে শিখলাম যে এই মুরাল দেখতে হলে মেলা আগে থেকে বুকিং দিতে হবে, লোকজন নাকি মাস চারেক আগ থেকেই বুক করে ফেলে। যাই হোক এবার কনফারেন্স এর সুবাদে লাস্ট সাপার দেখা হবে এই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ইমেইল
এপ্রিল, ১৮১০। কলকাতা।
সকাল।
ইংরেজ সওদাগর এবং কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মার্কাস স্মলের নতুন বাসভবনের ডাইনিং রুমে ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করে গেল চাকর সুবহান আলি। বড় ডাইনিং রুম, উপরে উঁচু গম্বুজ। ভবনটি আগে এক স্থানীয় হিন্দু মহাজনের ছিল, সে পানির দরে কিনে নিয়েছিল মূল মুসলমান মালিকের কাছ থেকে বছর বিশেক আগে। বেশ খোলামেলা মাজারের মত স্থাপনা। বাইরে ফোয়ারা। মৃদুমন্দ বাতাস।
মার্কাসের অতিথি সদ্য লন্ডন থেকে আগত কবি ডাল্টন হামফ্রি বেকন আন্ডায় কামড় দিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছে বললেন, যাই বল মার্কাস, নেপোলিয়নের ধান্দা ব্যানফিল ঠিকই ধরতে পেরেছিল।
ছুরি দিয়ে এক টুকরো সসেজ কেটে মুখে দিয়ে নির্বিকার কন্ঠে মার্কাস বললেন, ব্যানফিল একটা উজবুক।
[img]DSCN1542 by Kabir Ahmed 26, on Flickr[/img]
অন্তর্ধান (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
(৩)
‘১২ নম্বরকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না। বুঝতে পারছো?’ রমজান ঘরে ঢুকতেই শুরু করেন যুবায়ের মাহমুদ। ঘরটা একটু আলো-আঁধারিতে। তূলনামূলক অন্ধকারে বসে কথা বলছেন যুবায়ের। বরাবরই তাই করেন। রমজান তখনো ধাতস্ত হয়নি পুরোপুরি। বড় সাহেবের ডাক শুনে একরকম ছুটতে ছুটতেই এসেছে সে। এরকম জরুরী তলব সাধারণত তিনি করেন না। কী কারণ তাই ভাবছিলো রমজান। আসার পথে সোবহানের সাথে এ নিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করেছে। যদিও রমজান ভালো করেই জানে যে এই চেষ্টা অহেতুক। কারণ রমজানই হচ্ছে বড় সাহেবের ফাস্ট হ্যান্ড। সোবহান তার পরে। এর পাশাপাশি আর কেউ আছে কিনা তা অবশ্য রমজান জানে না। রমজান অনেক কিছুই জানে না, এই যেমন বড় সাহেব। রমজান শুধু জানে অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। ব্যাস এইটুকুই।
সবাইকে পহেলা বৈশাখে ১৪২২ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আরও একবার বৈশাখ আমাদেরকে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সু্যোগ দিয়েছে। এই শুভ ক্ষণেও মৌলবাদীদের একদল পহেলা বৈশাখকে অমুসলিম বা হিন্দুদের বা বিধর্মীদের উৎসব সুতরাং ‘নাজায়েজ’ বলে বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা বোমা হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক লেখালেখি বা অনলাইন প্রচারণায় প্রতিনিয়ত দেখছি। মৌলবাদীদের অ
প্রথম অধ্যায়
…
(১)
‘সোনার পাথরবাটি’ কিংবা ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ জাতীয় প্রবাদগুলো ছোটকাল থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি এবং এসব অবাস্তব বস্তু বা বিষয়ের মর্মার্থও আমাদের বোধের অগম্য নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু একালে এসে যখন তথাকথিত কোন বিদ্বানপ্রবরের মুখে নতুন আঙ্গিকে এমন কথা বলতে শুনি- ‘বিজ্ঞান চাই কিন্তু বিজ্ঞানবাদিতা চাই না’, তখন আঁৎকে উঠে পুরনো কাসুন্দিকেই আবার নতুন করে ঘুটানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে কি! কথাটা কি কোন বিদ্বানের অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষণিকের প্রলাপ ভাববো, না কি এর ভেতরে কোন রহস্য ও গূঢ় উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খোঁজার আগে আমরা মনে হয় কিছু তরল কথাবার্তা সেরে নিতে পারি!
যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা