Archive - 2015
April 9th
যাদুর শহর ঢাকা
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/০৪/২০১৫ - ৮:১৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্ট রোড এবং কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থলে বাসগুলো সুযোগ পেলেই ইউটার্ণ নিয়ে অনেক খানি রাস্তা কমিয়ে ফেলে। নয়তো বনানী ১১ থেকে বাঁক নিয়ে সেই মহাখালি ফ্লাই-ওভারের নিচ থেকে ঘুরে এসে কচুক্ষেতের রাস্তায় ঢুকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই করার কথা। গতকাল বাসটা সুযোগ পাওয়ার পরেও যখন ট্রাফিক আইন না ভেঙ্গে সেই মহাখালি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে গেল তখন বাসের প্রতিটা যাত্রী ক্ষেপে উঠলো। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আক্রমন করা হয় বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে। বাংলা ভাষায় সর্বনামের তিনটি রূপ থাকায় মানুষের জন্য রাগ বা ঘৃণা প্রকাশের কাজটি বেশ সহজ। প্রথমে আমরা বাস ড্রাইভারকে আপনি আর কন্ডাক্টরকে তুমি দিয়ে শুরু করি এবং এক সময় রাগ আর ক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে দুজন'কেই তুই বলা শুরু করি।
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (দুই)
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/০৪/২০১৫ - ৬:৩২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
ভাষা: লিঙ্গায়েত নির্মানে একটি শক্তিশালী প্রপঞ্চ।
April 8th
এক একদিন প্রতিদিন-১১
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৪/২০১৫ - ১১:৫২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
১।
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। একমাথা ঢেউ খেলানো এলোমেলো চুলের মেয়েটির বড্ড বকবকানীর স্বভাব। দিনভর তার অনাবশ্যক মুখরতায় সবার ক্লান্তি আসে। মা-ঠাম্মা বলেন, সে কথা বলতে শেখার পর থেকে শুধু কথা বলে যেতেই শিখেছে, চুপ থাকতে শেখেনি একটুও। ঠাম্মা বলেন, বালিকার বাস কথার রাজ্যে, তাই ওকে চুপ করে থাকা শেখানোর চেষ্টা করেও লাভ নেই কোন। বালিকা কিন্তু আসলেই চুপ থাকতে চায়, ঝামেলা বাঁধায় গল্পগুলো। শহর থেকে বাড়ি আসবার সময় মায়ের জন্য বাবার কিনে আনা লাল পেড়ে সুন্দর শাড়ীটার গল্প, বড়দি-দাদার বইয়ের 'কাজলা দিদি'র গল্প, রোজ সন্ধ্যায় 'ঠক্কে' বলে ডেকে ওঠা বাড়ীর সামনের আঙিনায় বুড়ো অশ্বত্থের কোটরে লুকানো সেই তক্ষকের গল্প; আরো কত কত...। সেসব গল্প সবাইকে না বলে তার চলতে চায় না একটুও,পেটের মধ্যে এত্ত কথা জমিয়ে রেখে তার ঘুম-খাওয়া-খেলা কিচ্ছু হতে চায় না। কিন্তু তার কথা শোনার মত নিঃসংশয় এবং আগ্রহী শ্রোতা তার মেলেই না দিনভর। সে অপেক্ষায় থাকে, সন্ধ্যের।
April 6th
ছবি ব্লগ -৬: নিজের প্রিয় কিছু ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৬/০৪/২০১৫ - ৪:০৮অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
জীবন চলছে, ভাল ভাবে চলছে না খারাপ ভাবে চলছে তার বিচার করিনা। যেমন চলছে চলুক, যা হবে দেখা যাবে টাইপ একটা ব্যাপার এসে গেছে। এ্যামবিশনের খ্যাতা বালিশ পুড়িয়ে সেটার ছাই গাঙের পানিতে ভাসায় দিয়ে মোটামুটি নির্ভার আছি। টুকটাক বই পড়ি, আর অবসরে একটা গেম খেলি, মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলি। ২ মাসের মধ্যেই জীবনে আরেকটা বিরাট পরিবর্তন আসবে, ব্যাপক টেনশনের ব্যাপার স্যাপার, তাই সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিচ্ছি বেশি করে। ঘুমাল
নতুন ওয়াজিব ও অন্যান্য
লিখেছেন সৌরভ কবীর [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৫/০৪/২০১৫ - ১১:০৯অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
১.
"কিছু মানুষ আছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা কখনোই কাছাকাছি হয়না। দূরত্ব বজায় রেখে সহানুভূতি প্রকাশ করতে চায়। সমস্যা হলো আমি সহানুভূতি গ্রহণ করিনা; নিজ সমস্যাগুলো আমি নিজেই মোকাবেলা করবার চেষ্টা করি। আমার পরিস্থিতির কারনে কেউ আমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে না পারলে সমস্যা নেই এবং সহানুভূতি দেখানোর প্রয়োজন নেই। I hate sympathy." -- ওয়াশিকুর বাবু, ২২ মার্চ ২০১৫।
বৈঁচি : কুড়ি বছর পর দেখা বুনোফল
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৫/০৪/২০১৫ - ১১:০৯অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
April 5th
ওলামা লীগের ১০ দফা সমাচার ও শত্রুমিত্র বিবেচনা
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: রবি, ০৫/০৪/২০১৫ - ২:২৮পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি এসেছে বছর দুই আগে। এখনও পর্যন্ত তাদের এই মধ্যযুগীয় বর্বর দাবিনামা থেকে সরে আসার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। আজকে আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১২-১৩টি ধর্মীয় সংগঠন যাদেরকে সরকারঘেষা বলে মনে করা হয় তারা একটি মানববন্ধন করেছে। রেকর্ডের সুবিধার্থে দাবিনামাগুলো এখানে টুকে রাখা হলো।
যত সব ফ্যালাসি
লিখেছেন পৃথ্বী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৪/২০১৫ - ৮:১৮অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
- ব্লগরব্লগর
- চিন্তাভাবনা
- fallacy
- logical fallacy
- কুযুক্তি
- কূটযুক্তি
- ফ্যালাসি
- যুক্তি
- হেত্বাভাস
- যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)
যদি নিজের আপন নিভৃত কোণ হতে বাইরে পদার্পণ করেন, তা সেটা মানুষের সাথে আড্ডায় হোক আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কের পাবলিক ডিসকাশনই হোক, উত্তপ্ত বাক-বিতন্ডার ক্রসফায়ারে জর্জরিত হওয়া অনিবার্য। এসব আলাপ-আলোচনা অধিকাংশ সময়েই হেত্বাভাসের ঘন অরণ্যে হারিয়ে যায়; পরিণামে, কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে না। পাবলিক ফোরামের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সময়ের বিকট অপচয় মনে হয়, মানুষকে তার প্রত্যেকটা
April 4th
মনোটোনাস মনোলোগস (০/৫)
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ০৪/০৪/২০১৫ - ২:৫৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]
মানুষ স্মৃতির কাছে ফেরে।
ফেরার কি কোন মাত্রা বা পরিধি থাকে? বর্তমান থেকে অতীতের এই এতোটুকু নাকি সবটুকুতেই ফিরতে পারে মানুষ? স্মৃতিতে ফেরা একটা ভ্রমনই বটে।
ত্রিশবছর আগে যে উচ্চবিদ্যালয়ে বিদ্যার্থী হয়ে প্রবেশ করেছিলাম তার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল আয়োজন ছিলো। ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ছিলো প্রবল। এরই ফাঁকে ৪০ মাইল দূরের সেই ছোট্ট শহরে গিয়েছিলাম। সেই শহর আমার প্রথম অনেককিছুই জানে। শৈশবের প্রায় পুরোটা এবং কৈশোরের অনেকটুকুই সেখানে। এইসব আয়োজনে প্রথামাফিক অনেককিছুই থাকে। আমি প্রথা যথসামান্য মেনে বের হয়ে গিয়েছিলাম একটু পুরনো মন্দিরের কাছে। আমাদের শৈশবে মন্দিরটা জরাজীর্ণ ছিলো, একটা টিলার উপর, পাশ দিয়ে নির্জন একটা পায়ে হাঁটা পথ আর স্রোতস্বীনি নদীর দুর্দান্ত একটা বাঁক। মন্দিরের টিলায় উঠলে উত্তরে দীর্ঘ পাহাড়ের নীল হাতছানি। কোন কোন রোদেলা দিনে সেই পাহাড়ে ঝর্ণা ও দেখা যেতো। মন্দিরে উঠার কোন সিঁড়ি ছিলোনা তখন, অনেকগুলো তেঁতুল গাছ ছিলো। পুরহিত মশায়ের প্রায় ভেঙ্গে পড়া একটা চালাঘর ছিলো। তার ছেলে প্রদীপ ছিলো আমাদের বন্ধু।