১.
মন্ত্রী বলেছেন-“পরিস্থিতি ভালো, অবশ্যই ভালো।”
প্রথমে দেখে রেগেমেগে দুই চার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলাম। একটু পর মাথা একটু ঠান্ডা হলে ভেবে দেখলাম- নাহ্, ঠিকই তো, পরিস্থিতি আর খারাপ কি হয়েছে? দুই পক্ষের মারামারি নাই। একদল স্বসস্ত্র খুনি এসে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে চলে গেছে। তাও আবার তারা ব্লগার! কোন ট্যা ফো নেই, আওয়াজ নেই, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাহলে পরিস্থিতিটা আসলে খারাপ হলো কোথায়?
কেমন আছে বাংলাদেশ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এখন খুব কঠিন কিছু না। চারিদিক থেকে ঘনিয়ে আসা অন্ধকার ক্রমশ ঘিরে আসছে বাংলাদেশে এ কথা আমরা সবাই জানি। না ভুল বললাম, সবাই জানি না, ধর্মান্ধতা আর জঙ্গিবাদের বিস্তারের চেয়ে ও উন্নয়ন যাদের কাছে বড় কথা, জিডিপি আর চ্যাম্পিয়ান অব আর্থ পুরষ্কার পাওয়াটা বড় অর্জন মনে করে যারা, তাদের কাছে বাংলাদেশ ভালো আছে, ভীষন ভালো আছে। শুধু রাজনীতি বিশ্বাসে দলান্ধ মানুষ না, মূল ধার
এভারেস্ট যাত্রা মোটেও সহজ কোনো ব্যাপার নয় কঠিন পরীক্ষার মখোমুখি হতে হয় পর্বতারোহীদের, মৃত্যুমুখে পতিত সহপর্বতারোহীদের বরফে জমে যাওয়া মৃতদেহ পাড়িয়ে উঠে যায় একে একে পর্বতশৃঙ্গের দিকে। আমরা যারা সমতলের মানুষ, অনেকেই ভাবি এসব পর্বতে চড়ে কি লাভ? কি জন্য এসব দুঃসাহস দেখানো?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সচলায়তনের ব্লগার রণদীপম বসু, তারেক রহিম এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রধান ও সচল আহমেদুর রশীদ টুটুলের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দ্বিতীয় দফার আক্রমণে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রধান এবং ব্লগার ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আল কায়েদার মিডিয়া উইং গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট (জিআইএমএফ) হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। বর্তমানে রণদীপম, তারেক এবং টুটুল আশংকামুক্ত আছেন। এ বিষয়ে সচলায়তনে হাসিব মাহমুদের পোস্টে লাইভ আপডেট পাবেন।
ইস্কুলে থাকতে আমি প্রায়ই এলিফেন্ট রোড হাতিরপুল কি কাঁটাবন থেকে হেঁটে বাসায় ফিরতাম। সন্ধ্যা হয় হয় কিম্বা অন্ধকার ঝপ করে নামার ঠিক পরে। জোর কদমে হাঁটলে সময় বেশী লাগত না। এরকম এক হাল্কা বৃষ্টিমাখা সন্ধ্যায় আমি হেঁটে ফিরছি, এমন সময় পাশে একটা হোন্ডা থামল। হেসে হোন্ডায় বসা তরুণটি জিজ্ঞাসা করল এই তুমি আটান্নো নম্বরের না? ওঠো পিছনে ওঠো আমি ওদিকেই যাচ্ছি নামিয়ে দেব।
আমি ভালো করে তরুণটির দিকে তাকিয়ে দেখি দীপন ভাই।
গতকাল রাতে যখন প্রথম খবরটা পেলাম তখন ছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। আজকালকার যুগে ব্রেকিং নিউজের উৎস হচ্ছে ফেসবুক বা টুইটার। খারাপ খবরগুলো দ্রুত আসে সেখানে। তারমধ্যে আক্রান্ত চারজনই আমার ফেসবুক বন্ধু, এবং তিন সচল ব্যক্তি জীবনেও পরিচিত। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের অফিসে আক্রমণ এবং টুটুল ভাই, রণদা ও তারেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে মনটা খুব অস্থির ছিল। দ্রুত বাসায় চলে যাবার পরই দীপনের খবর আসে। এরপর সারা রাত শুধু নেটে খবর খুঁজেছি - আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছি - ঘুমাতে পারিনি। জানিনা আর কত নির্ঘুম রাত রয়েছে সামনে। কারণ যুদ্ধ এবার শুরু।
প্রগতিশীলদের মধ্যে আমরা যারা সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত নই, বা কখনও মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি করিনি তাদেরও কিন্তু একটা রাজনৈতিক চেতনা আছে। এই চেতনা কখনও আওয়ামী লীগের অনেক উদ্যোগকে সমর্থন করে, কখনও বাম উদ্যোগকে সমর্থন করে। আবার এই দুই পক্ষেরই নানা কাজের সমালোচনাও করে। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মিল এখানে যে, আমরা ধর্মান্ধতা, অন্ধকারের বিরুদ্ধে কথা বলি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও চাই। পার্টিজান অবস্
রোববার নভেম্বর ১, স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় আলতাব আলী পার্ক, ব্রিকলেইন, লন্ডনে প্রকাশক হত্যা ও ব্লগারের ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা আয়োজন করা হয়েছে। বিস্তারিত নীচে দেখুন।
রোববার, নভেম্বর ১, দুপুর ২টা, লন্ডন সময়
Sunday, November 1at 2:00pm in UTC
আলতাব আলী পার্ক, ব্রিকলেইন, লন্ডন
Altab Ali Park, Bricklane, London
ফেইসবুক ইভেন্ট থেকে:
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে ‘সাড়ে সাতাশ’। সেখানে তিনি নতুন গল্পের খোজে পুরোনো সাতাশটি গল্পের চরিত্রগুলোকে ডেকে পাঠান। চরিত্রগুলো নিয়ে উনি নদীর পাড়ে গোল-টেবিল বৈঠকে বসেন। ভুলে যাওয়া, ছায়ার মত নিত্য সঙ্গী হয়ে যাওয়া চরিত্র থেকে শুরু করে ডোডো পাখি, কাঁঠাল পাতা কিংবা মাটির ঢেলা, কেউ বাদ যায় না। একটু একটু করে নষ্টালজিয়া নেমে আসে নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে। তেমনি, সঙ্গীতাঙ্গনে আমারও প্রিয় কিছু চরিত্
আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা হতবুদ্ধি। আমরা সন্ত্রস্ত। আমরা আহত।
কিন্তু আমরা বাকরুদ্ধ হলেও আমাদের কলম চলছে। আমরা হতবুদ্ধি হলেও আমরা বুদ্ধিভ্রষ্ট নই। আমরা সন্ত্রস্ত হলেও আমরা সশস্ত্র। আমাদের কলম, আমাদের কিবোর্ড আর আমাদের মুঠোফোন আমাদের হাতিয়ার। আমাদের শানিত চেতনা আমাদের বারুদ।