সাম্প্রতিক নাসিরনগর বৃত্তান্ত আমাদের কলঙ্কের তালিকায় আনকোরা কোনো সংযোজন নয়, এটি আবহমান বাংলার ইতিহাসেরই এবং ঐতিহ্যেরই একটি কালো অংশ। এই নিয়ে সন্ধ্যার এক আড্ডায় জোর বিতর্ক চলছিল, পারিষদেরা সকলেই শিক্ষিত। একজন বললো- সাম্প্রদায়িক কলহ হাজার হাজার বছর ধরেই বৈশ্বিক একটি সমস্যা; সম্প্রদায়ের বিভাজন তাতে কেবল ধর্মে ধর্মে নয়, বর্ণে বর্ণেও; এতে অত্যাচারি আর অত্যাচারিতের রুপ পরিবর্তিত হয় , কিন্তু অত্যাচারের র
একজনের শৈশবকে বোঝা গেলে, মানুষটির মনের ভেতর বাহির ধরা যায়। কেননা বলা হয়ে থাকে, মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত শৈশবকে বহন করে চলে। তাই নভেরাকে আমরা বুঝতে গেলে, তার শৈশবের ছবি সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। নভেরা আহমেদকে নিয়ে আলোচনার এটি একটি সীমাবদ্ধতা, আমরা তার কাছ থেকে কোন কথা শুনিনি। অন্যদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে যতটুকু পাওয়া যায় তা খুবই খন্ডিত এবং সীমাবদ্ধ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত ধারণা প্রসূত। সমস্ত কিছ
ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে অয়ন তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
বাংলাদেশে হিন্দুরা যেই পরিমাণ অসহায়ত্ব নিয়ে থাকেন, আমাদের পদে পদে লজ্জা পাওয়া উচিত আমরা এরকম একটা রাষ্ট্রব্যবস্থার নাগরিকত্ব ধারণ করি বলে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচুর চমৎকার সব কাজ আছে। এই সরকারের সময়ে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে দেশে অতটুকু আর কারো দিয়ে হতোনা এই কথা নিঃসন্দেহ হয়েই বলা যায়। কিন্তু একজন দরিদ্র কৈবর্তের শেষ সম্পদ মাছ ধরা জাল যখন লুট হয়ে যায় ধর্ম রক্ষার নামে, পূজারীর সামনে যখন ধুলায় লুটায় তার পরম আদরের প্রতিমা তখন এইসব উন্নয়নকে মনে হয় সেই মণিহারের মতো। যাকে ধরতে গেলেই লাগে, যারে পরতে গেলেই বাজে। আমরা উন্নয়নের ওম চাই চাই প্রিয় রাষ্ট্র-সুপ্রীয় সরকার কিন্তু আমার দেশের মানুষের চিতার আগুনের তাপে নয়। সময় থাকতে এই আগুন নেভান। চিতা যেন দাবানলে বদলে না যায়। দাবানল দেবালয় এড়ায় না।
একদিন থাকবে না মন্দির
থাকবে না প্যাগোডা বা গির্জা,
ঘোষ-বোস বড়ুয়ারা পালাবে
রয়ে যাবে খান-হক-মির্জা।
প্যাঁদানোর মতো আর রবে না
এই দেশে একখানা বেদ্বীনও,
কিন্তু যে বাঁশ ঝাড়ে বেড়েছে
সেটা রয়ে যাবে ভায়া সেদিনও।
পড়শীর ঘরে লাগা আগুনে
ওম নিয়ে আলুপোড়া চাবালে
নিজ ঘরও দাহ্য, সে কথাটা
বেমালুম ভুলে যায় আবালে।
দেশ থেকে "মালাউন" ভাগিয়ে
এই কথা মনে রেখে ঘুমিও,
শতভাগ মমিনের সে দেশে