দ্বিতীয় অঙ্কঃ
মাধবীলতাকে দেখে আমার চমকে যাওয়ার কথা ছিলো না। অনেক বছর আমি এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। আমি জানতাম একদিন দেখা হবে মাধবীর সাথে। আমি খুব স্বাভাবিক স্বরে বলবো, ‘কেমন আছ তুমি?’ আমার হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা একটি প্রশ্ন করবো তাকে। জানতে চাইবো, ‘কেনো? কেনো, মাধবী!’ মাধবীর সাথে দেখা হলে কি কি করবো, সব যেনো আমি সাজিয়ে রেখেছিলাম।
আমার ইনবক্সে একজন একটি লিংক পাঠিয়েছে।“ভয়ংকর ধর্ষণ খেলায় মেতেছে আরব থেকে ইউরোপ”। যে পাঠিয়েছে যে, সে খুবই ভীত, সন্ত্রস্ত, এখন কী হবে ভাবনায়। পুরনো বাসী খবর। এই খেলার জের চলছে এখন জার্মানিতে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে হাজার খানেক(সম্ভবত)আরব যে তাহারুশ খেলেছে তার দাম দিতে হচ্ছে হাজার হাজার আরব রিফ্যুজিকে দেশে ফেরত গিয়ে। আমি তাকে বলি, এই খেলা কি আমার দেশের কাছে নতুন?
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে প্রায়ই হৃদয়-বিদারক প্রতিবেদন দেখা যায় আমাদের টিভি চ্যানেল গুলোতে। বছরের পর বছর ছেলেমেয়েদের দেখা পান না অনেকে - ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমার নিজের দেখা মতে- এই ভিডিওগুলো মানুষ যখন দেখে তখন সব থেকে বড় ভিলেইন হিসেবে অটোমেটিকালি যাকে ধরে নেয়া হয় সে হোল ছেলের বউ ও ছেলে (ছেলেকেও মনে করা হয় ছেলের বউ এর কুচিন্তায় বশ হয়ে যাওয়ার ফল!)। এটা হয়তো অনেকাংশে ঠিক যে সেইভাবে বনিবনা না হওয়া বা সঙ্গের অভাব