আমাদের মায়ের মাঝে কোনো রহস্য ছিল না। মা ছিলেন সাদামাটা চেহারার বৈচিত্র্যহীন একজন মানুষ। মায়ের পরনে বরাবরই আটপৌড়ে পোশাক। ঘরে বা বাইরে বেরোলেও মায়ের পরনে মাড়হীন জংলি ফুলের নরম শাড়ি থাকতো। সাথে থাকতো কালো রঙের কুঁচি দেয়া বোরকা। সুতি শাড়ির বদলে কখনো জর্জেট বা সিল্ক নতুবা শাড়ির বদলে কামিজ বা ম্যাক্সি পরাও দেখিনি মাকে। মায়ের তোলা শাড়িগুলো আলমারি থেকে বের হতো কদাচিত। কোথায়ই বা যাবে মা?
সর্বপ্রথমে মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমার এই নিদিষ্ট বিষয়ে কেন আগ্রহ তার ভূমিকা পাঠকের সুবিধার জন্য দেওয়া দরকার বলে মনে করছি ৷ হুমায়ুন আজাদের 'পার্বত্য চট্টগ্রাম:সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝর্ণাধারা' নামক ছোট্ট বইটি সম্ভবত অবশ্যপাঠ্য ও প্রিয় বই বিশেষত তাদের কাছে-যারা ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন- অফলাইন মাধ্যমে হিল ট্র্যাকসের পাহাড়ী/আদিবাসীদের (সরকার ও অনেক বাংগালীর মতে উপজাতি/ক্ষুদ্র ন
উপনিবেশের মানুষ হিসেবে আমরা জগদ্দর্শনের জন্যে প্রকাণ্ড কিছু চশমা না চাইতেই পেয়েছি, স্বশাসনের ঝাপটা চশমাগুলো আমাদের চোখ থেকে সরাতে পারে নি। সব ক্ষেত্রে সে চশমা খোলার প্রয়োজনও হয়তো পড়ে নি। মোগলাই-বৃটিশ-পাকি চশমার ভেতর দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে গিয়ে আমাদের দেখার চোখও এখন এমন যে খালি চোখে দেখতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। ভাষাও এমনই একটা চশমা।
পৌলস্ত্য বধ কাব্য নামে বাল্মিকীর হাতে যখন রামায়ণের আদি পুস্তকটা রচিত হয় তখন এর শত্রু-মিত্র-নায়ক সকলেই আছিল রক্ত মাংসের মানুষ। কালে কালে এর নায়ক রাম যতই অবতার হইতে থাকেন ততই তার মিত্ররা হইতে থাকে নখ-ল্যাঞ্জা-লোমওয়ালা জন্তু জানোয়ার আর শত্রুপক্ষ পরিণত হয় রাক্ষস খোক্কস কিংবা ভূতুমের রূপকথায়। আর পৌলস্ত্য বধ থাইকা পুস্তকখান রামায়ণ হইবার পথে রাম-রাবণ-বামুন-বান্দর সকলেই হইয়া উঠেন বেসুমার অলৌকিক ক্ষমতার অধ