বাসায় ঢুকতে যেয়ে কলিং বেলের কাছে হাতটা আপনা থেকেই থেমে গেলো। দেয়ালে সুইচটার উপরে নতুন একটা শোপিস ঝুলছে, আরবি কিছু শব্দ-বাক্য লেখা তাতে। কোন সুরা-দোয়া হবে নিশ্চয়ই, পাঠ করলে অশেষ সওয়াব অথবা শয়তানের প্রবেশাধিকার ক্ষুণ্ণ করে গৃহস্থের কল্যাণকামী কিছু। ক’দিন আগেও তো সেখানে কার্জন হলের সামনে থেকে কেনা টেরাকোটার নারীমুখটার লাজুক হাসি দেখেছিলাম, কবে বদলে গেলো মনে করতে পারছি না একেবারেই। অবশ্য আমাদের বাসার
মডারেটানুভূতি এবং নিস্পৃহনুভূতি আহত হতে পারে, সাবধান!
পুরো উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার শিক্ষিতমহলে যা ঘটেছে তাকে "রেনেসাঁস" বলা যায় কি-না, এবং তার সাথে চতুর্দশ শতকের "ইতালীয় রেনেসাঁসের" তুলনা করা যায় কি-না সে নিয়ে বিতর্ক আছে। আর সব বিতর্কের মতো এই বিতর্কেরও দুটো চরম-পক্ষ রয়েছে: এক পক্ষ একে রেনেসাঁস বলে মানেনই না, আর অন্য পক্ষ একে একেবারে ইতালীয় রেনেসাঁসের কাতারে ফেলেন। শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় এ নিয়ে একটা থিসিস লিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্
হে
কুকুর,
মিছিলের রাস্তা ছেড়ে
সুরম্য
পুঁজিপতির কাছে
চলে যাও-
এখানে একমাত্র
তারই আছে
মানুষ মাড়াইকল,
যেখানে নরোম আখ নয়
বরং
হাড় মাংস মন
সব গলে
বেরিয়ে আসে
উচ্ছিষ্ট অর্থের মতো,
তিন বেলা
পেট পুরে খেতে পারবে
চাও তো
চারবেলা-
পূত্রের ছুঁড়ে দেয়া হাড়
কন্যার চু চু চুমোয়
নাদুসনুদুস অনুভূতিতে
তারপর
লেজ নাড়তে নাড়তে
অল্পদিনেই
তুমি
হয়ে উঠবে
তার
কাছের সম্পাদক,
১.
গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলো, যাতে প্রাণ হারালো আইনপ্রয়োগকারী বাহিনির দুইজন সদস্যসহ ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক, আহত হলেন ১৩ জন, সেই ঘটনাটি বিস্ময়কর কিন্তু মূলত অকল্পনীয় কিছু নয়! তেমনি অবাক হওয়ার কিছু নেই ঈদের দিনে শোলাকিয়ায় পুলিশসহ চারজনের মৃত্যুতে।
গত ১ জুলাই ২০১৬ ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দেশি বিদেশি নাগরিকসহ আনুমানিক ৩৩ জনকে জিম্মি করে। জিম্মি ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম জঙ্গি হামলা যেখানে জিম্মিদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পাঁচ জঙ্গির পর
৩.অনির ভীষণ জল ভীতি আছে। কিন্তু অনি দেখেছে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজকর্ম জল ছাড়া হয় না। জল ভীতির সাথে অবশ্যম্ভাবীভাবে জড়িয়ে থাকে স্নান ভীতি। ছোটবেলা থেকে অনিকে স্নানে নিতে মাকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে শীতকালে মা আর অনির মধ্যে এই স্নান করা নিয়ে কম লুকোচুরি খেলা হয়নি। মায়ের আঁচলে সেই সব দিনের অনেক গল্প আছে। খাওয়ার টেবিলে মাঝে মাঝে মা অনির ছেলেবেলার গল্প করে আর হাসে। বাবার স্টকেও অনি-তোড়ার ছেলেবে