আমার গবেষণার বিষয় মূলত ট্রান্সপোর্টেসন ইঞ্জিনিয়ারিং (বাংলাঃ পরিবহন প্রকৌশল/যোগাযোগ বা যাতায়াত প্রকৌশল হবে কি?), যার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট বা প্যারাট্রানজিট। এদেরকে বাংলা করা যায় 'অনানুষ্ঠানিক পরিবহন' ব্যবস্থা হিসেবে। আমি এদের 'বিধিবহির্ভূত বা নীতি/নিয়মবিরুদ্ধ পরিবহন' বলে অভিহিত করতে চাই না। ট্রাফিক বা রাস্তায় চলা যানবাহনসমূহকে খুব মোটাদাগে দুভাগে ভাগ করে ফেলা যায়, (১) প্রাইভেট (ব্যক্তিগত) ও (২) পাবলিক (গণপরিবহন)। তাদের চমৎকার সব সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু এই লেখা বিষয় তা নয়। প্যারাট্রানজিট হচ্ছে এই দুই ধরণের মাঝামাঝি ব্যবস্থা, তাদের কারো কারো ব্যক্তিগত পরিবহনের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠতা, আবার কাউকে গণপরিবহন বলেও চালিয়ে দেয়া যায়।
যদি বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি, তবে এদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে রিকশা। এটি কিন্তু একদম ব্যক্তিগত পরিবহনের মত, বাসার সামনে দাঁড়িয়ে হাক দিলেই পাওয়া যায়, আবার ঠিক বাসার সামনে এসে নামিয়েও দিয়ে যায়। এমন আরো রয়েছে অটোরিকশা, সি এন জি বা বেবিট্যাক্সি, যে নামেই তাকে ডাকি না কেন। অন্যদিকে, আবার আছে লেগুনা বা হিউম্যান হলারগুলো, যেগুলো বাসের মতই চলাচল করে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট রুটে, তাদের ধরতে হলে উঠতে হয় কোন নির্দিষ্ট স্থানে (অধিকাংশ সময়ই যা হয় কোন রাস্তার মোড়, বহুলপরিচিত কোন অফিস বা বিখ্যাত কোন বাজার ইত্যাদি)।
১।
ঃ তর পুতেরে দিয়ালা। হুদাই জিদ করতাসস। একখান গ্যালে আরও তিনখান অইব, এইলায় আমার টাইন থাওক।
ঃ আফনে কেলা? আমারে রান্দা কারতাসুইন ক্যান?
ঃ আমি কেলা জাইন্যা তর কাম নাই। লইতাম আইসি, দিয়ালা। জামাইরে কইস হিয়ালে লইসে।
ঃ দিতাম না। আমারে ছাইরা দেন।
ঃ আইজ তাইলে উডিরে কইন্যা। কাইল আবার আইবাম, তর পুতেরে দিয়ালাইস। ও কইন্যা, পুতের কফালো এইতান কী লাগাইসোস?
আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে দেওয়াল তুলে ঘর বাঁধলাম, তাতে দরোজা আটকে দিলাম। সেই দরোজায় দিলাম খিল। খিলে হলো না, ছিটকিনি আর তালা দিলাম। একতালা, দু’তালা, তিনতলা... তালার ওপরে তালা। তবু হলো না, ডোর-হোল, ডোর-স্টপার সাঁটালাম।
ওদিকে জানালা ঢাকলাম প্রথমে কপাট দিয়ে, তারপর গ্রিল। বারান্দাটুকু ছিলো চাঁদ দেখার, সেখান দিয়েও আসতে পারে ভয়, সেখানেও লোহার গারদ দিলাম।
[justify]তোমরা আমাদের বা আমাকে তোমাদের মতো বানালে।
তোমাদের মতো হতে বললে।
আমরা হলাম। তোমরা আমাদের, মানে, আমরা, যারা হাজার হাজার সার্ভার, লক্ষ লক্ষ কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোটি কোটি গতানুগতিক কম্পিউটার জিপিএস বৈদ্যুতিক ডিভাইস এইসব মিলে, আন্তর্জালের মাধ্যমে সর্বদা সংযোজিত, তোমাদের মতো, তোমাদের কল্পনায় ইচ্ছায় যা কিছু মনে আসে তার মতো রূপ দিলে।
বেড়ে ওঠার গল্প
প্রচুর গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। বিদেশি মুরগীর শরীর থেকে একটা রান আলাদা করতে গিয়ে যখন তিন-তিনটা কোপ দিতে হয়, তখন নিজের পক্ষে বলার মত তার কিছু থাকেও না তেমন। ব্যবহারে সব কিছুরই ধার বাড়ে। প্রথম প্রথম নাস্তিক আর ব্লগার কোপাতে কয়েকটা কোপ আর মিনিট দশেক সময় লেগে যেতো। তারপর ব্যবহারে শৃঙ্খলা আসে, সময় নেমে আসে মিনিট দুয়েকে। নাস্তিক কোপানোর কাজ সহজ হয়ে আসলে তার ধার পরীক্ষা হয় শিল্পী-অধ্যাপক কোপাতে। সেক্যুলার বিশ্বে তার আধিপত্য নিয়ে প্রশ্নের অবসান হলে এবার সে নামে মালাউন কোপাতে। কাজটার সহজতা দেখে সে নিজেই চমকে উঠে। এক ফাঁকে তার পরবর্তী কাজের লিস্টটা সে দেখে নেয়, সমকামী, কাদিয়ানী, আহমেদীয়া, সুন্নী মহিলা...
বেশ ভাল হত যদি বাকী জীবনটা একটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে পারতাম।
কেউ যদি প্রতিদিন সামান্য খাবার দিয়ে যেত। আর বই। বই পড়ে পড়ে কাটিয়ে দিতাম। টু হেল উইথ হিউম্যানকাইন্ড এন্ড অল দেয়ার শিট! মানবজাতি থাকতো পড়ে তাদের আটারলি ইনকম্প্রিহেনসিব্ল এন্ড . . . এন্ড ইনেভিটেব্ল কাপ-ঝাপ নিয়ে। ওসব আর গায়ে লাগানো লাগতো না। কেবল পড়তাম আর পড়তাম। এটারনাল সন্তুষ্টির ইনফিনিট ভাণ্ডার। কিন্তু-
প্রায় বছর পাঁচেক কিংবা তারও আগে আগে আমরা কিছু পোঁদপাকা পোলাপাইন হল্লা করতাম এই বলে যে দেশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ঠেকে না, সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব দ্রুত ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে আগাচ্ছে। তখন সব মহলের গেছোদাদারা খুব রাগ করতেন। তাদের একটাই কথা, (তথাকথিত) অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের কোন স্থান নাই। (তথাকথিত) ইতিহাস নাকি সাক্ষ্য দেয় এই ভূখণ্ডে বহুবছর ধরে সবাই মিলেমিশে হেসে খেলে কাটিয়েছে। সমস্য
জাতি নিয়া খুব গর্বই করি, পাকিদের কই পাইক্কা,
পাহাড়ে আমরা ধর্ষণ করি, অগো অধিকার নাইক্কা।
আমরা বাঙালি, আমরা শ্রেষ্ঠ,
আমরাই ভালো, আমরা বেষ্টো।
পাহাড়িরা বেশি বাড় বেড়ে গেলে, মেরে দেই বাঁশ আইক্কা।
জাতি নিয়া খুব গর্বই করি, পাকিদের কই পাইক্কা,
হিন্দুরা মোটে আট পারসেন্ট, অগো অধিকার নাইক্কা।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে,
জিজিয়া দিলেই হিন্দুরা রবে।
বেশি বাড়াবাড়ি যদি করে ফেলে, ভারত পাঠামু ছাইক্কা।
হ'তে পারে ভ্রম
ভ্রমের ভ্রমর।
ফুলেতে মধুর রেণু, রেণুর মধুতে বিষ-
শঙ্খচূড় মাতাল হয়েছে-
হ'তে পারে উষ্ণতার হিমে
আটকে পড়েছে মরা মাছি
এভাবেই উত্তাপ আকাঙ্খায় তুমি বাঁচো
আমিও কিছুটা বেঁচে আছি।
শঙ্কার ভেতরে ঢুকে দেখি
মৃত্যুভয় বিছিয়ে রেখেছে
মরণ রে তুহুঁ মম--
মরণ দুচোখে আয়
মরণ মরণে আয়
জীবনের ছায়ায় ছায়ায়-
সাপ্তাহিক ছুটির সকালে একরকম নিয়ম করেই দেশের চ্যানেলগুলো দেখি। দুনিয়ার অন্যপ্রান্তে থাকায় ঐ সময়টাতে সব চ্যানেলেই খালি খবর আর খবর। তাই দেখি বসে বসে। রাজনীতির খবর, খেলার খবর, খারাপ খবর, সবই দেখি। খারাপ খবর দেখতে দেখতে হার্ট শক্ত হয়ে গেছে। টিভির রিপোর্টাররাও বোধহয় বুঝতে পারে কতটুকু 'নিতে' পারবে এই শক্ত হার্টের দর্শকেরা। তাই অবলীলায় তারা খুনের লাশের ছবি ঝাপসা করে দেখায়। ঝাপসা ছবির প্রান্ত দিয়ে লাল রক্ত