সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, আমার বয়স তখন ছয় কি সাত। পাড়ার এক খালাম্মা এসেছেন আম্মার সাথে গল্প করতে। আমি একটা ভাঙা গাড়ি নিয়ে খেলতে খেলতে কান পেতে শুনছি তাঁদের কথা।
“আর বইলেন না আপা, আমাদের দেশের বাড়ির এক বউ বটি নিয়ে বসেছিলো কুমড়া কাটতে। তার শাশুড়ি 'আরে করস কি বউ করস কি’ বলতে না বলতেই বউ দিলো বটিতে টান। দুই মাস পরে যখন বাচ্চা হোলো তখন দেখা গেলো বাচ্চার উপরের ঠোটটা কাটা।”
এই নামটা যে দিয়েছিলাম সেটা আমার মনে ছিল না, ওনার ঠিকই মনে ছিল।
ঠাট্টা করে এই নাম ধরে আর ডাকার দরকার হবে না।
গল্পদাদু আর সন্ন্যাসীর সাথে ভালো সময় কাটবে এখন।
আপনাকে আমার অনেক হিংসা আনিস ভাই, এতো ভালোবাসা নিয়ে ক'টা মানুষ যায়..
আমাদের পরিকল্পনা ছিল খুব সাদামাঠা- লুইসকে বল দাও।সে কখনোই পেছপা হবে না।– ডেজা ভ্যু।এইরকম কথাটা যেন কাকে নিয়ে শুনেছিলাম-লিওনেল মেসি!হ্যা,মেসিই।কিন্তু এই লুইস কি মেসি?
'মহাভারত' আমাদের প্রায় সকলেরই অল্প-বিস্তর পঠিত। আর মহাভারতের চরিত্রগুলো নিয়ে নানামুখি বিশ্লেষণ আছে।
আজ তাই অন্য দৃষ্টিতে শকুনি চরিত্র সম্পর্কে যৎসামান্য বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা।
শকুনি:
[justify]
২৫ সে জুলাই, ১৯৪৫
শোক দিবসকে আক্ষরিক অর্থে কারবালা বানিয়ে ধারালো অস্ত্রে বুক-পিঠ চাপড়ে হায় হোসেন অবলম্বনে হায় মুজিব কমেডি করে শোক দিবসকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছে কিছু ভাঁড়। হায় মুজিব অবস্থাই বটে! আসুন, এই কমেডি পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন একটু পড়ে দেখি- সেটাই শোক দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে টুঙ্গিপাড়ার সমাধি পরিনত হতে পারে তাজিয়ায়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন খুব কম, বাগ্নী হিসেবে বলে গেছেন অনেক কিছু। অনুভূতিময় এই উদ্ভ্রান্ত সময়ে সেই কথামালা পাঠ করেও যদি তাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায়, অনাগত কোনও অন্ধকারে হয়তো সেটিই কাজে দেবে। মানবিক আবেগহীন এবং দর্শনবিমুখ যান্ত্রিক অনুভূতির অর্গলে বঙ্গবন্ধুকে বেঁধে রাখলে তিনি ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে উবে গিয়ে লালুসালু মোড়া পীরের আসনে গিয়ে বসবেন। এই সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধুর পঠন-পুনর্পঠন হোক জোরেশোরে। ব্যানারের ম্লান ছবি হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসুন ব্যাবহারিক দর্শনে।
[justify] ক’দিন যাবৎ আমাকে পুরোনো গলিতে ঘোরার নেশায় পেয়েছে। গলিতে গলিতে ঘুরি। গলির লোকজনের সাথে কথা বলি। ছবি তুলি। গন্ধ নিই। গলিতে মিশে যাই, যেতে যেতে ফিরে যাই পুঁতিগন্ধময়, অন্ধকার, সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেসব বুড়ো গলির যৌবনকালে। তখন জীবন ফিরে পায় সে গলি। গমগম করে ওঠে আমার চারপাশ— মানুষের হাঁকডাক, ঘোড়ায় টানা গাড়ির ক্যাচক্যাচ, দৌড়ে বেড়ানো শিশুদের কোলাহল আর তাদের মায়েদের সতর্ক ডাক। এ এক বিচিত্র ভাব। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা কোনো বৃদ্ধের পেছন ফিরে তাকানোর গল্প। সে গল্পে আবেগ আছে, ইতিহাস আছে, আনন্দ আছে, আছে স্বপ্ন মিলিয়ে যাবার হতাশা। চলুন ঘুরে আসি তেমন এক গলি। যার নাম ‘রক্তের গলি’, ইংরেজিতে Blood Alley. কীভাবে গড়ে উঠলো এ গলি? কেমন করে গড়ে উঠলো এর ইতিহাস? চোখ মুদে চলুন একটু পেছন ফিরে তাকাই।
= স্লামালাইকুম স্যার, ডেকেছিলেন?
= ওয়াইলাইকুম, ওয়াইলাইকুম আবির সাহেব, বসুন, বসুন।
= জ্বি স্যার।
= এই যে এইটা আপনার।
= কি স্যার?
= কি মানে? আপনার পথের দিশা, উন্নতির সোপান! I mean, আপনার এ্যানুয়াল টার্গেট! হেঃ হেঃ। মেইলে soft copy পাঠিয়ে দেয়েছি। গতবারের মত এবারো আপনার কাছে 100% এর বেশী achievement চাই। বুঝতে পেরেছেন?
= বুচ্ছি স্যার।