আফ্রিকার জুলুদের দেবতা উনকুলুনকুলু গিরগিটিকে ডেকে বললেন, গিরগিটি তুমি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বলো তারা মরবেনা, তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে কিন্তু মৃত্যু হবেনা তাদের। কিন্তু অলস গিরগিটি চললো ঢিমে তালে পা ফেলে, তার উপর পথের মধ্যেই উবুকুয়েবেজানি গাছের পাকা বেগুনি রঙের ফল দেখে তাই খেতে শুরু করলো পেট ভরে। শুধু তাই নয় গাছের মগডালে চড়ে বসে নরম রোদে শরীর মেলে দিয়ে পড়লো ঘুমিয়ে। এদিকে দেবতা উনকুলুনকুলু ব্যাপারট
[justify]পালনকারীর সংখ্যা বা পালনকারীদের ভৌগলিক বিস্তার যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে খ্রীষ্টিয় নববর্ষ (গ্রেগরিয়) সম্ভবত পৃথিবীর সবচে’ বড় সেক্যুলার উৎসব। মোটামুটি সারা দুনিয়ায়, সব দেশে, জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে কয়েক শত কোটি মানুষ জানুয়ারির ১ তারিখ (ডিসেম্বর ৩১ মধ্যরাত থেকে) এই উৎসবটি পালন করে। স্থানভেদে এই উৎসব পালনের তরিকা ভিন্ন, তবে সর্বত্র খানাপিনা-নাচগান এই উৎসবের আবশ্যিক অংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয়তে
রক্তাক্ত ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে জল্লাদ। ইতিমধ্যে জবাই করা হয়ে গেছে বেশ কয়েকজনকে। এবার সিরিয়াল পড়েছে ছেলেটির। জল্লাদের সহকারী দুজন একপ্রকার টেনে হিঁচড়ে তাকে মঞ্চে তুললো, রক্ত মাখা বেদীর সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসতে বাধ্য করলো। চুল ধরে টান মেরে মাথা বেদীর উপর পজিশন করলো, অপেক্ষা শুধু জল্লাদের ছুরির।
মুক্তিযুদ্ধ চলছে, নিচতলার ক্লিনিকটায় কোনো রোগী নেই। ২৯/১ পুরনো পল্টনের এই বাড়ির দোতলায় থাকেন সপরিবারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চৌধুরী।
পুর্বকথাঃ
এরা মাঝে মাঝেই জানতে চায়, আমি কোথা থেকে এলাম। আমি বলি- একটা ভালভ টেনে, আর সে ভালভটা ছিলো সুতোয় বাঁধা। তখন অবাক বিস্ময়ে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালভ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এদের, সুতো জিনিসটাও অচেনা। আমি নিজেও বুঝিয়ে বলতে পারিনা, আমার কিছু মনে নেই। এদের কৌতূহল অবশ্য ওই পর্যন্তই, খুব বেশি ঘাটায় না আমাকে। আমিও নিবিষ্ট মনে কাজ করে যাই।
'সসেমিরা' একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ সঙ্কটজনক অবস্থা অথবা কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। শব্দটি কালিদাসের 'দ্বাত্রিংশৎ-পুত্তলিকা' আখ্যানকাব্যে বর্ণিত চারটি শ্লোকের প্রত্যেকটির আদ্যাক্ষরের সমষ্টি।
পর্ব = ৫
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।
পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আবারও মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে রাখাল রাহার এক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান অনেক বিস্ময় ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একবার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রশ্নফাঁসবিরোধী বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে চাননি, আবার পরে তা অস্বীকার করে বিবেকের দায় মিটিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম প্রশ্নফাঁসের দায় আবারও শিক্ষকদের কাঁধে চাপান