ই-বই এবং পিডিএফ তৈরি ও প্রকাশে সচলায়তনের সহযোগিতা চাই ৷
কবিতা ও প্রবন্ধের বই ৷
বেয়াদব গদ্য চাই
রাজিব মাহমুদ
ভূমিকাঃ
যখন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলাম, তখন আমরা বাঙালী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর একুশেকে কেন্দ্র করে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। আমাদের বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনের বাৎসরিক কর্যক্রমের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতো সেটাই, ভার্সিটির বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া করে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করে। যতদুর জানি আজও পার্ডুতে এটা অব্যাহত আছে। এখনকার কথা জানি না, তবে আমাদের সময় অনুষ্ঠানটার মৌলিক কাঠামো ছিল অনেকটা এরকমঃ
পর্ব = ৪
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।
গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”
মাহালু নদীর তীরে ঘোড়া ছুটিয়ে যেতে যেতে কিছুক্ষণ পর মুস্তফা টের পেল পেছনে আর কেউ আসছে। নৌরাবাদের কেউ পিছু নিল নাকি? ঝট করে পিছনে তাকিয়ে একঝলক আগন্তুককে দেখে সন্তুষ্ট হয়ে আবার টেনে ঘোড়া ছোটাল সে।
ইদ্রিস। ইদ্রিস আসছে পেছন পেছন।
যাক, ভালো হল তবে। সে ছাড়া আরও অন্তত একজন দেখেছে সাদতকে চম্পট দিতে।
[justify]আমরা সামাজিক জীব, রবিনসন ক্রুশো নই, তাই আমাদেরকে নানা প্রকার সামাজিকতা করতে হয়। বাঙালীর সামাজিকতার বড় অংশ সামনাসামনি বা ফোনে কুশলাদি জিজ্ঞেস করার সাথে অন্য দশজনের নামে কূটকচালি করা, এবং নিমন্ত্রণের নামে ঐ প্রকার কূটকচালি সহযোগে ভুড়িভোজে সীমাবদ্ধ। উভয় প্রকার সামাজিকতায় কূটকচালির সাথে প্রায়ই ফুটানি দেখানো যুক্ত হয়। অবশ্য কিছু কিছু নিমন্ত্রণ বিশুদ্ধ ফুটানি দেখানোর উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সামাজিক
[justify]তিরানার শহরতলী ছাড়িয়ে বহুদূর দিগন্তে দাইতি পর্বতশ্রেণির অপসৃয়মাণ কায়াকে পেছনে ফেলে আমরা যখন আলবেনিয়ার এক সরু মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছি তখন অপরাহ্নের শেষ প্রহর। তবে তাই বলে সূর্যের উত্তাপের কমতি নেই। আমাদের গাড়ির বুড়ো চালক তাই ক্ষণে ক্ষণেই স্বেদাসিক্ত হয়ে নিজের সাদা রুমালটি ললাটে ছুঁয়ে নিচ্ছেন। ভদ্রলোক যে বেজায় ক্লান্ত তা বেশ অ