গত কিছুদিনে দুটি খুবই নতুন ধরণের খবর চোখে পড়ল। প্রথমে অক্টোবরের আঠার তারিখ একটি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রদর্শনীতে একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী দেশে ইন্টারনেট অব থিংকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি, রোবোটিকস এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলেছেন। এরপর নভেম্বরের ষোল তারিখ জানতে পারলাম ঢাকার একটি রেস্তোঁরা রোবট পরিচারক নিয়োগ দিয়েছে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। কারণ, আমার ধারণা দেশের সব ভাল ভাল আ
এক.
বাসার ঠিক পেছনেই পাইন হিকরির একটা জঙ্গল। যখন বাতাস আসে, যখন হাওয়ার দমকে কেঁপে কেঁপে ওঠে বুড়ো থুড়থুড়ে গাছ গুলোর পাতা, তখন বড় ভয় লাগে, মনে হয় কারা যেন কেঁদে কেঁদে কথা বলছে। বাতাস না থাকলে আবার শুনশান চারিদিক। হঠাৎ হয়তো দুরের কোন গাছের ডালে ডানা মেলে ডেকে ওঠে একটি পাখি, কখনো বা ভয়ার্ত গলায় খ্যা খ্যা করতে করতে বেরিয়ে পড়ে কোন কাঠবিড়ালির ছানা। জংগলটার দিকে চোখ পড়লেই মনে হয় কী যেন একটা গুঁড়ি মেরে বসে রয়েছে গাছগুলোর আড়ালে।
পথে দুজনে দেখা হলো।
যে দিকে দুচোখ যায় চলে যাবে বলে
মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল ওরা।
দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে
পৃথিবীর দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো,
একটিই পথ। চলে গেছে দূরে।
দিনের আলোর মত ঝকঝকে।
ওরা পাশাপাশি হেঁটে চলে যতক্ষণ না
সন্ধ্যের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।
রাত নামলো,
ওরা মুখোমুখি বসে
পাশাপাশি বসে
দুজন।
দুজনের চোখের সামনে শুধু দুজনেই।
প্রেমময় অন্ধকার
আড়মোড়া ভাঙা পাহাড়ের কোলে কেবল মিঠে রোদ এসে পড়েছে। না গরম, না ঠাণ্ডা-এমন একটা সকালে শিশির ঝরা ঘাষ মাড়াতে শহরের বুকে ত্রস্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া প্রাতঃরাশকারীদের ঢল নামে। পাহাড়ে সেসবের বালাই নেই। কেমন একটা রিল্যাক্স ভাব চারদিকে। ধীরস্থির সবাই যেন বলছে, এত তাড়া কীসের বাছা, একটু জিরো।
আজ (১০ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার) প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী শিল্প সাহিত্য পাতায় অদিতি ফাল্গুনীর যে ছোটগল্পটি ছাপা হয়েছে "[url=http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/1362201/%E0%A6%AA%...
[justify]
আজকের মিছিল দারুণ জমজমাট। যেদিকে তাকানো যায়, মাছির মতো ভনভন করে মানুষের মাথা। সমবেত এইসব মানুষ মাছির গুঞ্জনের কানপাতা যায় না। তোপখানা রোড থেকে আবদুল গণি রোড, মৎস্য ভবন থেকে প্রেসক্লাব, নওয়াবপুর রোড হয়ে কাপ্তান বাজার থেকে গুলিস্তান জুড়ে যত আলো-বাতাস; মানুষকে এড়ানো তাদের সাধ্যে নাই। এসব বাতাসের ঠেলা খেয়েই বোধহয় লোকজন আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। ডিভাইডার দেয়া রাস্তার বিবিধ প্রান্ত থেকে তাই স্লোগান ওঠে-‘স্বৈরাচার, স্বৈরাচার- নিপাত যাক, নিপাত যাক!’ অথবা‘পুলিশি জুলুম- বন্ধ করো, বন্ধ করো!’
[justify]২০১৭ সাল ‘অক্টোবর বিপ্লব’ তথা ‘রুশ বিপ্লব’-এর শতবর্ষপূর্তির বছর। বিপ্লবের দিনটা গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা মতে ৭ই নভেম্বর হলেও সেসময় রাশিয়াতে ব্যবহৃত জুলিয়ান পঞ্জিকা অনুসারে ২৫শে অক্টোবর তাই এর নাম অক্টোবর বিপ্লব। একে ‘অক্টোবর বিপ্লব’ বলা ঠিক নাকি ‘রুশ বিপ্লব’ বলা ঠিক সেসব নিয়ে ঢেড় কথা হয়েছে, সে বিষয়ে আর কথা না বাড়াই।
(পূর্বের অংশ এখানে সংযুক্ত করা হলো)
গতকাল ৪ঠা নভেম্বর ছিল ৪৬-তম সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশর সংসদে সংবিধানটি গৃহীত হয়, কার্যকর করা হয় প্রথম বিজয় দিবস, ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২, থেকে। সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনঃ
এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।
আমি বড় হয়েছি জঙ্গলে। চার পাশে বন-বাঁদর-হনুমান, সাপ-ব্যাঙ-প্যাঁচা, বাঘ-বেড়াল (স্থানীয় নাম 'টলা')-তক্ষক-খরগোশ, কি ছিল না সেখানে!