পথ যতটা দীর্ঘ হবার কথা ছিল তারও চেয়ে অনেক দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর। বিকেলের আগে পৌঁছে যাবার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। শেষ লোকালয় ছেড়ে এসেছি ঘন্টাখানেক আগে। ছোট ছোট টিলার ফাঁক থেকে বুনো ঘ্রাণ আসছে। অচেনা পতঙ্গেরা সঙ্গীত উৎসব শুরু করেছে। জঙ্গলের শেষ মাথায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এখানে কেবলই চা বাগান। মাইলের পর মাইল সবুজ। অন্ধকার হয়ে আসলেও ধূসর সবুজ আলো জেগে আছে চারপাশে। সেই ধূসরতার মাঝখানে একাকী দাঁড়ি
শাঁ শাঁ শব্দে প্রায় উড়ে চলছি উচু উচু সব গাছের ফাক দিয়ে। দু হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছি মাথার উপরের হ্যান্ডেল। শুধু একটা দড়ির সাহায্যে ঝুলে আছি মাটি থেকে প্রায় ৬০ ফিট উপরে। চলতে চলতে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি চারিপাশের আর নিচে দ্রুত অপসারমান সবুজের সমারোহ। দ্রুত চলে আসলো সামনের প্লাটফর্ম। বিশাল রেডউড ট্রীর উপর কাঠের মাচার মত প্লাটফর্ম তৈরী। গাইডের নির্দেশ অনুযায়ী হাত মাথার উপরে তুলে দড়ির উপর আঙ্গুল
[justify]রাত এগারোটায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো, আপনি মি. তুলি? হ্যাঁ বলতেই বল্লো, মাত্র ফোন পেলাম। আপনার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ থেকে নিয়ে আসবে ১৫ মিনিটের মাঝে। আসতে চাইলে আসুন। বল্লাম, আধা ঘন্টা লাগবে কমপক্ষে। উত্তরে হ্যাঁ সূচক জবাব পেলাম। আবার আব্দার করলাম, ছেলেকে নিয়ে আসবো... তাতেও হ্যাঁ।
ছত্রাকের দৃশ্যমান অংশ দেখে টের পাওয়া যায়, আক্রান্ত অংশের কোথায় কতটুকু পুষ্টি আছে, কিংবা কোথায় নিয়মিত রোদ পড়ে। ভাষাও তেমনই, যেখানে তার পুষ্টির সংস্থান হয়, সেখানে সে বাড়ে, আর প্রবল বাধার মুখে শুকিয়ে যায়। আজ মহাকাশে নভোযানে চরিত্রদের গুঁজে দিয়ে জমজমাট কোনো কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে গেলে কয়েক চরণ লেখার পরই হাত বাড়াতে হবে ইংরেজির ভাঁড়ারের দিকে, একটা দুটো শব্দ টোকানোর জন্যে। মহাকাশে বাংলা ভাষার পুষ্টির অভা
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"
দেশে ফোন করে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের সাথে বাংলায় (অথবা ইংরেজিতে) কথা বলতে গেলে দুটি সমস্যা (আমার চোখে সমস্যা) কানে ঘা মারে। প্রথমত, বাংলা বাক্যের গঠন নিয়ে আমার ভাতিজা, ভাতিজি, ও ভাগিনাদের ধারণা অস্পষ্ট; সোজা কথায় তাদের বাংলা অসুন্দর। দ্বিতীয়ত, ওরা ইংরেজি মোটামুটি ভালোই পারে, কিন্তু শব্দচয়ন সীমিত বলে সবকিছুই হয় 'ফেন্টাস্টিক', নয়তো 'ডিসগাস্টিং'। যে ব্যাপারটা বারবার বলেও কোনো লাভ হয় না সেটি ভয়ানক:
প্রথমে ফেললাম বইগুলো। অনেক কষ্টে সংগ্রহ করেছিলাম। জ্যারেড ডায়মন্ড, রিচার্ড ডকিন্স, চেনা অচেনা অনেক ফিকশন। বুকে পাথর বেঁধে অনুজপ্রতীম খানসাপকে বইগুলো পাঠিয়ে দিলাম।
নীতুকে খুন করতে যতোটা কষ্ট হবে ভেবেছিল রাতুল, তা হলো না।
আজ হ্যালোইন। জানেনই বোধ হয়, ৩১ অক্টোবর দিনটাতে উত্তর আমেরিকায় হ্যালোইন বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। এই উৎসবে যেমন খুশি তেমন সাজোর মতো করে বিশেষ করে শিশুরা সেজে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে চকোলেট চায়, গৃহস্থরাও সানন্দে বিভিন্ন কায়দার চকলেট কিনে রাখেন বাচ্চাদের জন্য। তবে উৎসবটা শুধু ছোটদেরই নয়, বড়রাও সেজেগুজে বেরোয় এই দিনটায়। হ্যালোইনের সাজাগোজের একটা বড় অংশ হলো ভুত, প্রেত, পেত্নী, জোম্বি বা বেতাল ইত্য