শিক্ষা মন্ত্রীর কথা আলাদা, তিনি তো বলতে গেলে নমস্য ব্যাক্তি। তবে আমাদের অর্থমন্ত্রী যেন ছয় নম্বর রুটের বাস ড্রাইভার। ভদ্রলোকের উপর কারও আস্থা নেই, তাঁর কাজটা তিনি ছাড়া আর সকলেই বোঝেন। সে তুলনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চাকরিটা বেশ আরামের, পাইলটদের মতো। মাঝ আকাশে বিমান এক দুবার ঝাঁকুনি খেলে লোকজন একটু নড়েচড়ে বসেন। ঝাঁকুনির তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘনীভূত হয়ে আসে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁদের অব্যাক্ত প্রেম,
রাতের আঁধারে
হোসনে আরা মারে
হাইহুঁই ধুপধাপ।
ঘুমের আড়ালে
স্বপ্নের ময়দানে সে খেলে ফুটবল
বাস্তবের খাটে সে উল্টিপাল্টি খায় ঘনঘন তাহার মালিকানাধীন
কোলবালিশদুটি লয়ে
পাশে শুয়ে পেশাদার কবি আমি খেলায়েত খাঁ
টের পাই স্বপ্নেও হোসনে আরা প্রতিপক্ষের পায়ে পা পেচিয়ে অযথা
ল্যাং মারে সুদক্ষ ল্যাংচু হেন
সম্ভবত হলুদ কার্ডও পায়, কারণ বিবির হাসি-হাসি
বদনখানি মলিন হয়ে আসে ঘনঘন
বেশিরভাগই দেখা যেতো রিকশার পেছনে, কখনও কখনও টেম্পো কিংবা স্বল্প পাল্লার বাস গুলোর গায়েও লেখা থাকতো “মায়ের দোয়া”। রিকশার পেছনে ছবির সঙ্গে কিংবা ছবি ছাড়াই শ্রেফ “মায়ের দোয়া” দেখা যেতো। কেউ কেউ রিকশার পেছনের প্যানেলে ধর্মীয় বাণীও লিখে রাখতো, তবে “মায়ের দোয়া”র সঙ্গে কারো প্রতিযোগিতা চলতোনা। মনে হতো একরকম রক্ষাকবচের মত লেখাটা রিকশার জন্য একটা আবশ্যিক পূর্বশর্ত হয়ে উঠেছিলো। যেখানে রিকশার পেছনের প্যানেলে
১.
আগামী দিনের ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে অনুবাদযোগ্যতা।
একজন আগামী দিনে মানুষের যোগাযোগ এবং ব্যাপ্তি হবে
বহু দেশ এবং বহু ভাষার মানুষের সঙ্গে।
আগামী ইন্টারনেট নির্ভর বিশ্বের একজন নাগরিকের সম্পর্ক থাকবে শুধু তার ভাষার নয়, বিশ্বের নানা ভাষার মানুষের সাথে।
প্রযুক্তি নির্ভর অনুবাদ যন্ত্রের বিকাশের ফলে সব ভাষার মধ্যে একটা সাধারণ সার্বজনীন ব্যকরণ গড়ে উঠবে।
২
১.
ইংরেজিতে ভোজ্য প্রাণী আর তার মাংসের নাম দু'রকম। এ খিটকেল বাংলায় নেই। গরুর মাংসকে আমরা গরুর মাংস বলি, ঝামেলা শেষ। কিন্তু ইংরেজিতে গরু হচ্ছে কাউ, কিন্তু তার মাংস বিফ। বাছুর কাফ, কিন্তু তার মাংস ভিল। ভেড়া ল্যাম্ব, কিন্তু তার মাংস মাটন। হরিণ ডিয়ার, কিন্তু তার মাংস ভেনিসন। শূকর হগ/পিগ/বোর/সোয়াইন, কিন্তু তার মাংস পর্ক। সেদিন এক ভিডিওতে জনৈক পণ্ডিতের কাছে এর চমৎকার একটা ব্যাখ্যা পেলাম। ইংরেজিতে মাংসবাচক শব্দগুলো ফরাসি থেকে এসেছে, যখন ইংল্যান্ড শ'তিনেক বছর ধরে ফরাসি দখলে ছিলো। জ্যান্ত প্রাণীগুলোর নাম অ্যাংলো-স্যাক্সন রূপ নিয়ে রয়ে গেছে, কারণ ওগুলো পেলেপুষে সরবরাহের দায়িত্ব ছিলো বিজিত ইংরেজের। আর সে দুর্মূল্য পশু কেটেকুটে রেঁধে পরিবেশন করা হতো বিজয়ী ফরাসিভাষী কেষ্টুবিষ্টুদের। ছোটোলোক যোগানেওলার ভাষায় তাই জ্যান্ত প্রাণীর নাম টিকে গেলো, অভিজাত খানেওলার ভাষায় রয়ে গেলো মাংসবাচক নামগুলো।
মনে আছে, তোমায় গল্প করেছিলাম - কৈশোরে দেখা সে মায়াবী আলোর খেলা?
রক্তকরবী। মঞ্চে নারী ও পুরুষ, হাতের মুঠোয় হাত। মাত্র কয় পা হেঁটে তারা পার হয়ে গেল – যেন, অনেক দূরের পথ!
আমরাও।
তেত্রিশ বছর। কত দূর, কত-ও দূ-ঊ-র! জীবনের রঙ্গমঞ্চে, চোখের সামনে, সেদিনের তরুণ-তরূণী – আজ প্রায় আবছায়া। রূপালী মায়ার খেলা!
শুধু, তুমি আছ তাই, খেলা চালু আছে। না হলে আউট!
বেড়াতে যাচ্ছিলাম বউয়ের সাথে। বউয়ের বন্ধুবান্ধবীর একটি অনুষ্ঠানে, একসাথে হৈ চৈ আনন্দ যাত্রা। সেখানেই সেই ব্যাপারটির সুত্রপাত।
প্রথম দেখাতে খেয়াল করিনি অত। বাসে ওঠার সময় বউ তার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এক এক করে পরিচয় করাচ্ছিল, তখনই প্রথম দেখি ওকে এবং সৌজন্যের হাসি দিয়ে নিজের আসনের দিকে এগিয়ে যাই।