বুয়েটের পাঁচ বছর মোটামুটি ঘোলাটে একটা সময়। কখন কী করেছি তার প্রায় কিছুই মনে নাই। তবে ফোর্থ ইয়ারে এসে মনে হয় আমাদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্স নিতে হলো। সেইখানে গ্রুপ প্রজেক্ট দেয়া হলো আমাদের ক্লাসরুমকে ভেন্যু হিসাবে রেখে কলম খেলার একটা গেইম বানানো। সারভাইভাল টেকনিক হিসাবে আমি বরাবরই ভালো কাজ পারে এমন ছেলেপুলেদের গ্রুপে জুটে যেতাম। এবারো বাপ্পি আর অভির সাথে গ্রুপ করে ফেললাম।
আমি ততদিনে দুনিয়াবি সকল বিষয়ে নির্বাণ লাভ করে ফেলেছি। গ্রেড, প্রজেক্ট কমপ্লিশন, ভালো প্রজেক্ট করে প্রচুর "বস!" শোনার লোভ (লাইকপূর্ব যুগে এটা একটা বড় কারেন্সি ছিলো) ইত্যাদি কোন বিষয়েই বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়ে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এই উপলব্ধি আর সাথে কম্পিউটার গ্রাফিক্স দিয়ে ম্যাজিক ঘটানোর উৎসাহে দুই গ্রুপমেটই আমাকে একদিন বললো, "তোর কিছু করা লাগবে না, আমরা দুই জন মিলে পুরা প্রজেক্ট নামায় দিবো।" ফেরেশতার মত দুই গ্রুপমেটের কথায় আমি একবারে আপ্লুত হয়ে রুমে ফিরে এসে ল্যান থেকে পাওয়া বাংলা নাটক দেখা শুরু করলাম।
ভণিতা ১।।
অনুবাদে আমার দারুণ ভয়। একটা সময় তীব্র আনন্দ নিয়ে সেবার অনুবাদ পড়েছি, অপেক্ষায় থেকেছি কখন রিটার্ন অব শি কিংবা কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো ছাপা হয়ে আমাদের পাড়ার সুমন ভাইয়ের দোকানে আসবে। পড়তে পড়তে ভাবতাম ইংরেজি পড়ার এবং সেইসাথে ইংরেজিতে লেখা বই কেনার মুরোদ হলে লেখাগুলো আবার পড়ে ফেলবো।
কবি হিসাবে আমার অপরাধ আমি জুনের সতারো তারিখে
আনমনে লিখেছিলাম একটি কবিতা। তাতে
ছিল না কুন পরনারীর প্রতি লালসা
ছিল না কুন নাইকা-মডেলের প্রতি মিষ্টি বচন
আমি শুধু হৃদয়ের সকল মধু ঢালিয়া খাতার পাতে রচেছিনু সুদুর আগ্নেয় দ্বীপ আইসলেন্ডের
প্রশস্তি। লিখেছিনু, হে বরফের মাঝে আগ্নেয়গিরি খচিত কাচা মাছের গন্ধে ভরা আইসলেন্ড
তুমি কি খাও?
কেন তুমার সন্তানদের পায়ে এমন মধুর জোর
"দইবড়াটা একটু চেখে দেখবেন কি, মাই লর্ড?" নার্সিসা ম্যালফয় একেবারে নতজানু হয়ে দইবড়ার বাটি রাখেন ভল্ডেমর্টের সামনে।
ভল্ডেমর্ট চোখ বন্ধ করে চুপচাপ গরুর গোস্তো দিয়ে পোলাও খায় চপচপ করে।
‘বিশ্বপ্রকৃতি’ লিখতে গিয়ে এপিকুরোসের বিশ্বদর্শনের বিশালতা লুক্রেতিউসকে অভিভূত, বিহ্বলিত করেছিল। গ্রিক ভাষায় শোনা সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ আবিষ্কার তাকে সুললিত, কিন্তু বেয়াড়া লাতিন ভাষায় প্রথম বারের মতো ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। তার কাজ ছিল কুসংস্কার দূর করা, বিরোধীদের যুক্তি খণ্ডন করা, বিজ্ঞান ও প্রজ্ঞার একটা নিশ্চিত ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করা, এবং মানুষকে নিষ্ঠুরতা ও নির্বুদ্ধিতা বিসর্জন দিয়ে সরলতা ও শান্তির
৪। আমরা ঢুকতে মিউজিয়ামের প্রৌঢ় কিউরেটর নিজেই এসে অভ্যর্থনা করলেন। ডক্টর আদিত্য পরিচয় করিয়ে দিলেন ওঁর সঙ্গে। ওঁর নাম অসিতদেবল বসু, উনি ইতিহাসবিদ। ঐ মিউজিয়ামে কাজ করছেন প্রায় ত্রিশ বছর। তবে এই কাজ ওঁর আংশিক কাজ, উনি ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা আর লেখালিখিও করেন। ওঁর বেশ কিছু ইতিহাসবিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে গত বিশ বছরে। এ ছাড়া বিভিন্ন জার্নালে বেশ কিছু গবেষণাপত্রও বেরিয়েছে।
সেই কবে তুমি
দুঃখের সূতোয় বোনা
সুখের চাঁদরটা হাতে দিয়ে বলেছিলে-
‘গায়ে জড়িয়ে নাও, যে শীত পড়েছে
ঠাণ্ডা লেগে যাবে।’
সে চাঁদর শরীরে মেখে আমি হাঁটতে হাঁটতে
পেরিয়ে এলাম অনেকটা পথ।
উঁচু নিচু আাঁকা বাকা পথগুলো
আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলো
আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না।
আমি থামতে পারতাম, কিন্তু থামি নি।
পথের মধ্যে অনেকেই ছিল, যাদের জিজ্ঞাসা করা যেত
কিন্তু করি নি।
ব্রাহ্মণ্য সভ্যতা বা সংস্কৃতি বলতে যা বোঝায় তার সৃষ্টিও একটা চিত্তাকর্ষক বিষয়। প্রথমত সমাজের অস্ত্রধারী যোদ্ধা শ্রেণিই ক্ষমতাবান ও সম্পদশালী হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু তাদের সহায় হয়ে দাঁড়ালো পুরোহিত শ্রেণি যারা শুধু পুজো-আচ্চাই করতোনা সেই সাথে সমাজের বিপুল বঞ্চিত শ্রেণিটিকে সংযত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করতো। তাদের এই কাজটা যোদ্ধা শাসক শ্রেণির জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠতে শুরু করলে এই পুরোহিত শ্রেণিটি নিজেদের সুবি
ঝোপের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে দিলু। বেশ কিছুদিন ধরে সে খেয়াল করেছে এই দিক দিয়ে একটা বাঘ যায়। বাঘটা একটু দূর দিয়ে যায় বলে সে কায়দা করতে পারছে না। অনেক দিন বাঘের মাংস খাওয়া হয়নি।