৬।
আমরা ফিরে যাচ্ছি আদিত্যনগর থেকে। প্রায় শেষরাত্রে উঠে তৈরী হতে হয়েছে, তারপরে আবার ঐ অত ভোরেও ডক্টর আদিত্য আমাদের জন্য ব্রেকফাস্টের আয়োজন করেছিলেন, কিছুতেই না খাইয়ে ছাড়েন নি। আমি অবশ্য চা আর টোস্ট ছাড়া আর কিছু খাই নি। কাশ্মীরাও টোস্টও খায় নি, শুধু চা আর একটা বিস্কুট খেয়েছে।
মঙ্গলকাব্য গুলোয় দেখি দেব-দেবীরা যেন অনেকটাই মরনশীল মানুষের আদলেই উপস্থাপিত। ব্রাহ্মণ্য সংস্কারে যেমন দেবতারা দূর স্বর্গলোকের অধিবাসী, মর্ত্য মানুষের সীমাবদ্ধতার অনেক উপরে অবস্থান করে, মঙ্গলকাব্যের দেবতারা তেমন নয়। এই দেবতাদের নিয়ে ভক্তরা ঠাট্টা করতে পারে, নিজের পাশের বাড়ির মানুষের মত কোন আনুষ্ঠানিকতা না রেখেও আচরণ করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যও আদিম সমাজেরই পরিচায়ক। বৈদিক সাহিত্য যখন রচিত হচ্ছে তখনই বৈ
[justify]আমার প্রবাস জীবন মোটামুটি আনন্দময়। আর এই আনন্দময় জীবনের বেশীরভাগই আমার স্ত্রীর অবদান। সে একেবারে খাঁটি বাঙালী বধু, গৃহকর্মে অতি নিপুণা। বিদেশে এসে বেশীরভাগ অবলা বাঙালী নারীরাই বেশ সবলা হয়ে উঠে। আমার স্ত্রীটি এখনও সেরকমটি হয়ে উঠতে পারেনি। ঘরের বাইরে একা বের হওয়া তার সাধ্যের বাইরে। রাস্তা পার হতে গেলে আমার হাত চেপে ধরে পার হয়। আমাদের বাসার পাশের গ্রোসারি শপ। সেখানেও সে একা যাওয়ার সাহস করে উ