আমার ঘুরতে ভালো লাগে। অদেখা জায়গা, মানুষ। নতুন নতুন গল্প। এভাবে প্রতিদিন পৃথিবীটা বড় হয়ে ওঠে। একদিন অনেক দূরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। একদম নতুন জায়গা, ঘুরতে ঘুরতে যেমন হয় একজন মানুষের দেখা পেয়ে গেলাম, যার কথা শুনতে ভাল লাগছিলো। তিনি আমাকে আজব এক জায়গার কথা বললেন আর তার চেয়েও এক
ঘটনাটি তুচ্ছ এবং আপাতঃ অনুল্লেখযোগ্য। তবু কোন ঘটনা ইতিহাসের কোন সুত্রে কাজে লেগে যায় কেউ জানে না। যে কারণে বলা হয়, ভবিষ্যতের কাছে অনেক উত্তর লুকোনো থাকে।
একাত্তরের পঁচিশে মার্চ। রাত সাড়ে দশটার পর বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন তাঁর ঘনিষ্ট তিন সহচর। নেতার নির্দেশে আত্মগোপনে যাবার জন্য গাড়িতে উঠলেন তাঁরা। গাড়ি চলছে এবং উদ্বিগ্ন তিন নেতা আলাপ করছেন কী করা যায়, কোথায় যাওয়া যায়। পালানোর জায়গা স্থির হয়নি তখনো।
ধানমণ্ডি ১৩ নম্বর সড়কে আসার পর হঠাৎ করে তাদের একজন বললেন, গাড়িটা থামুক। তিনি ওখানে নেমে যাবেন। বাকী দুজন অবাক হলেন। এভাবে মাঝপথে নেমে যাওয়াতে আপত্তি করলেন। তিনি মানলেন না- জোর করে নেমে পড়লেন গাড়ি থেকে। ওখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিলেন।
আগস্টের ২৪ তারিখ, সকাল নয়টা। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার উত্তর সীমারেখার কাছ ঘেঁষে থাকা ছোট্ট শহর মরগানটাউন। ঘুম ভাঙ্গতেই বুঝতে পারলাম গত রাতের কনসার্টে মাতামাতির ধকল এখনো রয়ে গেছে শরীরে। ভদকা উইদ রেডবুল গিলতে গিলতে পিঙ্ক ফ্লয়েডের সুরের মূর্ছনায় রাতটা কেটে গেছে অনেকটা স্বপ্নঘোরের মত করে। কোনোমতে রেডি হয়ে গাড়িটা নিয়ে ছুট দিলাম পাশের শহর কোর এর দিকে । বেশী দুর না। মাত্র মিনিট পঁচিশের পথ। উদ্দেশ্য মেসন ডিক্সন
ঐ গল্পটা শুনেছ?
অসাধারণ বৈচিত্রপূর্ণভাবে বিকশিত প্রাণীদের কথা চিন্তা করলে প্রথমেই আমার মাথায় আসে পাখির কথা। বহু বছরের বিবর্তনিক চাপে এরা বিভিন্ন কাজের জন্য এতো সুন্দরভাবে অভিযোজিত যেটা শুধু তাদের ঠোঁট বিশ্লেষণ করলেই বোঝা সম্ভব। আসলে ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্বে পৌঁছানোটা ত্বরান্বিত করেছিলো একধরনের পাখির ঠোঁট। বিভিন্ন কাজের জন্য অভিযোজিত পাখির ঠোঁটগুলি দেখে নিন।
সবার শৈশবের ইনিংসটা দুধেভাতের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয় না। আমরা অনেকেই দূরে চলে যাওয়া শৈশবকে আহ্লাদে ভেসে গিয়ে কাছে ডাকতে চাই। অনেকেই হয়ত তাদের শৈশবের বুকে বেশ করে ইরেজার ঘষে লোপাট করে দেয়া যেতো যদি, এমন আক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘশ্বাস চাপেন। আমাদের ভাবনায় যে শৈশব আছে মলিনতাহীন, নিটোল এক সুন্দরের সরোবর হয়ে; অনেকের কাছে সেটা কেবলি সীমাহীন দুঃখের। সৌভাগ্যবশত আমরা যারা দারুণ শৈশবকে মুঠোবন্দী করতে সক্ষম হয়েছি, তারা ফেলে আসা চিররঙিন দিনগুলোর প্রতি সবটুকু ভালোবাসা মেখে বলতে চাই 'ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।' অন্যদিকে কষ্টময় শৈশবের মানুষটি তখন বয়ান করেন তার তিক্ত জন্ম ইতিহাস, 'একহাতে ফুলের গন্ধ, আরেক হাতে নরকের দুর্গন্ধ মেখে আমার জন্ম।'
জনমানসে মায়ের আশীর্বাদের দৈবী ক্ষমতায় বিশ্বাসটা যে কেবল অনুমান মাত্র নয় তা কিছু পরেই এর প্রকাশ থেকেই প্রমাণিত হয়। এই প্রকাশের বিষয়টিও মেয়েদের হাতেই হয়েছিলো। বহুকাল থেকেই বাড়ির মেয়েরাই কাঁথায়, কাপড়ে সেলাইয়ের ফোঁড়ে ছবি এঁকে এসেছে। সেই মেয়েরাই যখন শিক্ষিত হয়ে উঠতে শুরু করলো তখন বিভিন্ন ছবির সাথে সাথে তাদের সুঁই-সুতোর সেলাইয়ের মাধ্যমে কিছু কথা বা বাণীও লিখতে শুরু করলো । যেমন দেখি নীরদচন্দ্র বলছেন, কার
প্রতিনায়ক; আমাদের রক্তমাংসের জীবনে সমাজ নির্ধারিত বাঁধাধরা নিয়ম-নৈতিকতা ও ঔচিত্যবোধের বাইরে এদের অবস্থান। একক শব্দে ধারণাটাকে ধরতে এর চাইতে সুন্দর বাংলায়ন আর হয়না। সৃজনশীল শিল্পমাধ্যমে এদের আনাগোনা অবশ্যম্ভাবী না হলেও, দুর্লভ নয়।স্বাভাবিকভাবেই সমাজের দৃষ্টিতে তাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচক নয়। ‘স্বাভাবিকতা’টাই যেখানে সমাজ নির্ধারিত, সেখানে এই নেতিবাচক সীদ্ধান্তটা ধ্রুব ভেবে নেবারও কারণ নেই। সাদাচোখে এরা
আমি জাতীয় সংসদের পেশাবখানায় গেছি; জাতিসংঘের কয়েকটা শাখা অফিসের পেশাবখানাতেও গেছি। সবখানেই দেখছি পেশাবের ঘটির উপর দুয়েকটা এক-দেড় ইঞ্চি কোকড়ানো বাল পইড়া আছে। তার মানে সংসদ কিংবা জাতিসংঘেও বাঙালি বাল নিয়া ঘোরে। কিন্তু তারপরেও বালেরে বাল কইতে শরমায় বাঙালি…
ক্যান?
০২
বেইজিং এর রাস্তাগুলো্ নব্বই লক্ষ বাইসাইকেলে সয়লাব যাচ্ছে, এই কখা ভাবতে ভাবতে দুচোখের পাতা যদি আজ রাতে বন্ধ হতো.. আহা!